ডাবলিনে ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হল মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভাল
এক হাজারেরও বেশি লোক সমাগমে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভাল ২০২৪। ক্লনগ্রিফিনের ফাদার কলিনস পার্কে ষষ্ঠবারের মতো এই ইভেন্টটির আয়োজনে ছিল ডাবলিন সিটি কাউন্সিল, তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশন, বেলামাইন কমিউনিটি গ্রুপ ও ক্লনগ্রিফিন কমিউনটি অ্যাসোসিয়েশন। আয়ারল্যান্ডের বসবাসরত ৫০টিরও বেশি দেশের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল এই ফেস্টিভালে। গত ১৯ মে রোববার বেলা একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলা এ ফেস্টিভ্যালে নানা ধরনের স্টল নিয়ে বসেছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ।
মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভালটির প্রধান আয়োজক হিসেবে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ একটি এনজিও তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইরিশ নাগরিক সাগর শামীম। কেন প্রতিবছর এই আয়োজন, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড এখন একটি ছোট্ট পৃথিবী হয়ে উঠেছে, এখানে এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই মানুষ কমবেশি বসবাস করে। আমরা প্রতিবছর এখানে এই মাল্টিকালচারাল ইভেন্টটি আয়োজন করি, লোকাল কাউন্সিল ও লোকাল কমিউনিটি গ্রুপগুলো এ কাজে আমাদের সাহায্য করে। প্রতিবারের মতো এবারেও এখানে ১০০০ এর ও বেশী লোকজনের সমাগম হয়েছে। ৫০টিরও বেশি দেশের মানুষ এখানে এসেছেন।’ তিনি যাঁরা ফেস্টিভ্যালে এসেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এ কনসাল্ট্যান্ট পদে কর্মরত এবং বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার, আয়ারল্যান্ড পরিচালক রন্টি চৌধুরী ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে জানান, প্রতিবছররে মতো এবারও যে সুন্দর আয়েজনটি হয়েছে, তা ইতিবাচক আয়ারল্যান্ড তৈরিতে সাহায্য করবে। আইরিশ সরকার এ বছর ইন্টিগ্রেশনে বেশি জোর দিয়েছে। সরকার চায় এ দেশে যারা যুগ যুগ ধরে বসবাস করছেন বা যারা কিছুদিন হলো বসবাস শুরু করে আয়ারল্যান্ডকে নিজেদের হোম মনে করছেন, সবাই দেশের অংশ হোক, সবাই সবার কালচার প্রমোট করুক। সরকারের এই উদ্যোগের সঙ্গে এই ধরনের মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যালের আয়োজন একেবারে যথার্থ হয়েছে। তাসনুভা ফাউন্ডেশন এ কাজটি ছয় বছর ধরে করে যাচ্ছে, এ জন্য তিনি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।
মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যালে এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় কাউন্সিলর, এমপিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
লাভিং আয়ারল্যান্ড শ্লোগান নিয়ে তৈরি হওয়া তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশন গত প্রায় ১০ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডে হোমলেস মানুষদের সাহায্যার্থে কাজ করে যাচ্ছে। তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৫০০ হোমলেস মানুষকে বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করে। এ ছাড়া বাংলাদেশে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, স্পেশাল চাইল্ডদের জন্যে আবাসিক–অনাবাসিক বিদ্যালয়, অরফানেজ ইত্যাদি।