সিডনিতে বাংলাদেশিদের ক্যানসার নিরাময় তহবিল সংগ্রহ
গত ২২ বছরের ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজিত হয়ে গেল বাংলাদেশিদের আয়োজন ক্যানসার নিরাময় তহবিল সংগ্রহ। গত ১৪ মে সিডনির মিন্টো শহরের রন মুর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকারের ক্যানসার কাউন্সিলের জন্য তহবিল সংগ্রহে ২০০১ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে ‘বিগেস্ট মর্নিং টি’ অনুষ্ঠানের। প্রতিবছর সিডনির বিভিন্ন শহরে চা-নাশতার বিনিময়ে আর্থিক তহবিল সংগ্রহের এ আয়োজনে সাগ্রহে অংশ নেন সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনেরা বাংলাদেশিদের উৎসাহ জোগাতে ও ধন্যবাদ জানাতে উপস্থিত থাকেন।
২২ বছর ধরে ‘গুড মর্নিং বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে প্রয়াত আবদুল হক ও তাঁর পরিবার। ক্যানসার কাউন্সিল, ক্যানসার রিসোর্স ডেভেলপমেন্টকে তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রমের শুরু থেকেই সহযোগিতা করে আসছেন সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনুষ্ঠানে আসা অন্য বাঙালি পরিবারগুলো চা-নাশতা কিনে খায়। এভাবেই ক্যানসার কাউন্সিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এবারের আয়োজনে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। যাত্রার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা সংগ্রহ করে অনুদান দিয়েছে আয়োজনটি।
অনুষ্ঠানের এক পর্বে আয়োজকের বক্তব্যে গুড মর্নিং বাংলাদেশের মূল উদ্যোক্তা প্রয়াত ড. আবদুল হকের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবারের মূল আয়োজক ফ্যামিলিজ অব বাংলাদেশি কমিউনিটি সিডনির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি চিকিৎসক আয়াজ চৌধুরী। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্যে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি মায়েদের মা দিবসের শুভেচ্ছা জানান অনুষ্ঠানের সহযোগী আয়োজক নারী সংগঠন বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি রাহেলা আরেফিন। এরপর অনুষ্ঠানে গুড মর্নিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবদুল হকের কন্যা রুবায়েত হক সাথীকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
গুড মর্নিং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালগ্নে বাবার সঙ্গে ছিলেন রুবায়েত হক সাথী। বর্তমানে স্বামী ম্যাকুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক তানভীর শহীদের সঙ্গে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।