প্রথম আলোর রজতজয়ন্তীতে কিছু স্মৃতিকথা
প্রবাস থেকেও আমরা প্রথম আলোকে দেশের অহংকার হিসেবে মনে করি। গত দুই দশকে প্রথম আলো আমাদের নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। প্রথম আলোকে আমরা শুধু একটি সংবাদপত্র নয়, তার চেয়ে কিছু বেশি হিসেবে দেখি। দেশ থেকে হাজারো মাইল দূরে থেকেও আমরা প্রতিদিন প্রথম আলোকে অনুসরণ করি। দেশের অগ্রযাত্রা, সাফল্য কিংবা সংকটের খবর আমরা প্রথম আলোর কাছ থেকেই পাই এবং পরবাসের নিত্যনতুন সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার গল্পের পাশাপাশি কিছু অফবিট লেখার নিয়মিত পাঠক ও লেখক হিসেবে ভালোর সঙ্গে আলোর পথের একজন গর্বিত অভিযাত্রী। প্রথম আলো তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, এ প্রত্যাশা আমাদের সব সময়।
২৪ বছর পর ২৫ বছরের পথচলায় দেড় কোটি পাঠকের প্রিয় পত্রিকাটির সঙ্গে আমার সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে গত কয়েক বছরে। ২০২১ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘পর্তুগাল ইউরোপের প্রাকৃতিক সংমিশ্রণের দেশ’ লেখাটির মাধ্যমে। তারপর প্রথম আলোর ই–মেইল থেকে ফিরতি বার্তা ‘নিয়মিত লিখবেন’ যা আমাকে প্রচণ্ড উৎসাহ ও সাহস জুগিয়েছিল। তখন থেকেই এখন পর্যন্ত সঙ্গে আছি ‘ভালোর সাথে আলোর পথে’।
ইতিমধ্যে পর্তুগাল প্রবাসীদের নানা অসংগতি, সুখ–দুঃখ, সৈকত, পাহাড়-পর্বত, বরফ, পাথর, আগ্নেয়গিরি, দ্বীপ, ঝুলন্ত সেতু, রোনালদোর জন্মস্থানের পাশাপাশি তাঁর মিউজিয়ামসহ অর্ধশতকের বেশি লেখা প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোর দূরপ্রবাসে।
যদিও শুরুটা আমার জন্য এতটা সহজ ছিল না, লেখা অনেক অশুদ্ধ বানানে ভরপুর ছিল। লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর বারবার চোখ বুলিয়ে দেখি—কোথায় ভুল করেছি, এভাবেই প্রতিনিয়ত সংশোধন করছি। প্রবাসে কাজের পাশাপাশি, পরিবারকে সময় দিয়ে অবশিষ্ট যেটুকু সময় পাই, সেটুকু লেখার কাজে ব্যয় করি, যা আমার আত্মতৃপ্তি ও ভালো লাগার কারণও বটে।