আগামী অক্টোবরে লন্ডনে বাংলা বইমেলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব
আজ ২৫ আগস্ট, বৃহষ্পতিবার, দুপুর ২টায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনির চৌধুরী সেমিনার কক্ষে ‘১৩তম লন্ডন বাংলা বইমেলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা সভাপত্বিতে এই আলোচনা শুরু হয়। আগামী ১৪–১৬ অক্টোবর পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটটচ্যাপেল লাইব্রেবি, ১৭ অক্টোবর বার্মিংহাম ও ২৩ অক্টোবর জার্মানী ফ্রাস্কফুট শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
লন্ডন বাংলা বইমেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম মোস্তফা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, আমরা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে আসছি। যাতে করে প্রবাসে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। আমরা লন্ডনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মকে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্প–সাহিত্য চর্চার জন্য প্রতিবছর বৈশাখী মেলা, সংগীত বিদ্যালয়, বরীন্দ্র–নজরুল জয়ন্তী, শহীদ মিনার নির্মাণসহ নানান উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি। তারই ধারাবাহিতায় লন্ডনে আমরা ১৩ বছর ধরে বইমেলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘এবারে বইমেলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কবি, সাহিত্যিক,শিল্পীসহ বাংলাদেশ থেকে ২৫টি প্রকাশনী সংস্থা ও ইউরোপের বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করবেন।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নূরুল হুদা বলেন, ‘বাংলা ভাষা, সাহিত্যিক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। বাংলা বইয়ের প্রচার–প্রসার ঘটবে বলে বিশ্বাস করি। মেলার সাফলতা কামনা করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির নেতৃত্ববৃন্দ, লেখক ও প্রকাশকরা। মেলায় সহযোগিতায় থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন, যুক্তরাজ্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল, বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিন, বেঙ্গল সেন্টার বার্লিন।