শরতের বৃষ্টি
এই বুঝি নামলো এখন শরতের বৃষ্টি,
ধূসর ওই আকাশটা লাগছে ভারি মিষ্টি।
শরতের আকাশে আজ জমেছে মেঘ,
নেই ঝড় নেই দুরন্ত বাতাসের বেগ।
বনতল ছেয়ে আছে শিউলি ফুলে,
বাতাসে সুরভি তার হিল্লোল তোলে।
ভোরের শিশির জমেছে ওই শাম্বলে,
অনুরাগে মিশে যাবে বৃষ্টির জলে।
দোল খেয়ে যায় কাশবন বৃষ্টির ছন্দে,
কাদা–জলে ছোট্ট মেয়েটি নাচে আনন্দে।
পাতার গায়ে জলকণা ছবি আঁকে,
সূর্য মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়ে রাখে।
স্মৃতিরা ভিড় করে আজ মনের জানালায়,
ফেলে আসা দিনগুলো কাছে পেতে চায়।
ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে,
কল্পনায় ছবি আঁকি আমি তোমায় নিয়ে।
তুমি বলেছিলে একদিন শরতের বৃষ্টিতে,
চলো না ঘুরে আসি আজ দুজনাতে।
ছাতার নিচে বৃষ্টি-ছোঁয়া হালকা হাওয়া,
দুজনার সেই কাঁধে-কাঁধ ছুঁয়ে যাওয়া।
তোমার চোখে ছিল সেদিন অনুরাগের ছায়া,
যেন বৃষ্টির মতোই ছিল এক গভীর মায়া।
সে ছিল যেন অনন্ত প্রেমের কোমল দৃষ্টি,
মন ছুঁয়ে ছিল সেদিন শরতের সেই বৃষ্টি।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: dp@prothomalo. com