ফ্রাঙ্কফুর্টে অন্য রকম ঈদ উৎসব
এ বছর ইউরোপজুড়ে বা জার্মানিতে ঈদের দিনটি ছিল সাপ্তাহিক কাজের দিন বুধবার, ১০ এপ্রিল। সাপ্তাহিক কাজের দিনে ছুটি মেলা ভার, তবে সেই ঈদ উৎসবকে রঙিন করে তুলতে ফ্রাঙ্কফুর্টপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহ–উদ্দীপনার অন্ত ছিল না।
ফ্রাঙ্কফুর্টের প্রবাসী বাঙালিরা গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) আয়োজন করেছিল ব্যতিক্রমধর্মী ঈদ উৎসব। জার্মানিতে প্রবাসী বাঙালিদের সংখ্যা এ মুহূর্তে আনুমানিক ৩৫ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাঙালির বসবাস মধ্য জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও অফেনবাখ শহরে। মাইন নদীর তীরবর্তী এই দুই শহরে দীর্ঘদিন থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস।
এই দুই শহরের প্রবাসী বাঙালিরা তিন বছর ধরে এই ব্যতিক্রমধর্মী ঈদ উৎসব উদ্যাপন করছেন। এ বছর এই উদ্যোগের আয়োজন হয়েছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের রনেনবুর্গ সালবাউ সেন্টারে। বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরুর অল্প কিছুক্ষণ পরই উৎসবস্থলটি এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়।
হলটির ধারণক্ষমতা ছাপিয়ে ভেতর–বাইরে আনুমানিক আট শ প্রবাসী বাঙালি ঈদ উৎসব আনন্দে হাজির হন। উদ্যোক্তাদের ধারণা ছাপিয়ে এত মানুষের উপস্থিতিতে কিছুটা হতোদ্যম হলেও তাঁরা তা সামলে নেন।
ফ্রাঙ্কফুর্ট ও অফেনবাখ শহরের প্রবাসী বাঙালিদের বাইরেও আশপাশের ছোট ছোট শহর থেকে হাজির হয়েছিলেন এই বিশালসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি। জার্মানির মতো দেশে এই বিশালসংখ্যক বাঙালির উপস্থিতি বিরল ঘটনা।
উপস্থিত অতিথিদের বিকেলের নাশতার প্যাকেট দিয়ে অনুষ্ঠান পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান লিপি মাহজাবিন আহমেদ, রোকন ফয়সাল, এনামুল মোহাম্মদ রিয়েল, আনোয়ার আনুশা, মিমিয়া চৌধুরী, মেথিয়া মোতালেব ও শিশু শিল্পী তানভীর চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আমেনা হক সুইটি ও মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন সিহাব। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।
সাম্প্রতিক কালে জার্মানিতে এটি ছিল সবচেয়ে বড় উৎসব। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম দেখে তাঁরা যেমন হতবাক, তেমনি আনন্দিত। ভবিষ্যতেও তাঁরা এই ঈদ উৎসবের আয়োজন করবেন বলে জানান।