মিশিগানে ‘বাংলাটাউন’ নামকফলকটির বাংলাদেশের পতাকা মুছল কে

মিশিগানের ডেট্রয়েটে ‘বাংলাটাউন’ ফলকটিতে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকাটি মুছে দিয়েছেছবি: লেখকের সৌজন্য

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের কনান্ট অ্যাভিনিউয়ের জেইন ফিল্ডে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক স্থাপিত ‘বাংলাটাউন’ নামক ফলকটিতে কে বা কারা বাংলাদেশের পতাকাটি মুছে দিয়েছে। এ ঘটনায় মিশিগানপ্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ প্রকাশ করছেন। প্রকৃতি পরিবেষ্টিত সুন্দর এ জায়গাটিতে নামফলকটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাংলা ও ইংরেজিতে লিখা এ ফলকটির একদিকে ( প্রবেশমুখে) বাংলায় লিখা স্বাগতম ও ইংরেজিতে লিখা ওয়েলকাম টু বাংলাটাউন এবং বাংলাদেশ ও আমেরিকার দুটি জাতীয় পতাকার ছবি। উল্টোদিকে বাংলায় লিখা ধন্যবাদ ও ইংরেজিতে লিখা থ্যাংক ইউ ফর ভিজিটিং বাংলাটাউন এবং একটি বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি রয়েছে।

সম্প্রতি অনেকের চোখে পড়ে কে বা কারা ফলকের বাংলাদেশের পতাকার ছবিটি মুছে দিয়েছে, কিন্তু কবে কখন এ ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ বলতে পারেন না। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রকৌশলী আহাদ আহমেদ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ ১৪ নভেম্বর ২০২৪। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হেমট্রামিক শহরে সিটি নির্মিত বাংলাটাউন সাইন, যা নিয়ে মিশিগানের বাংলাদেশি আমেরিকানরা গর্ববোধ করি। এই সাইন থেকে বাংলাদেশের পতাকাটি কে বা কারা হোয়াইট আউট করে দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করি। যে বা যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে, তাদের ঘৃণা করি। নিশ্চয় কোনো অশিক্ষিত লোক এই কাজ করে নাই, শিক্ষিতরাই করেছে। এবং দুই এক ঘণ্টার মধ্যে অনেক শিক্ষিতরা এসে এর পক্ষে সাফাই শুরু করবে। ছি তোদের ছি।’ আহাদ আহমেদের পোস্টের নিচে নিবেদিতা চৌধুরী নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমরা বাঙালিরা কত নিচে নামতে পারি দেখ বাঙালির কৃতিত্ব।’ মোহাম্মদ আলী একই পোস্টের নিচে লিখেন, ‘ওটা সঠিক হয়নি, খুবই দুঃখজনক, বাংলা আমাদের গৌরব, আমরা দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকি না কেন বাংলাদেশের পতাকাকে আমরা হৃদয়ে লালন করব, আমাদের গৌরব আমাদের জন্মভূমি সাইনবোর্ড থেকে মুছে গেলেও আমাদের হৃদয়ে থাকবে সব সময়—এটাই আমাদের হোক সবার প্রত্যাশা, ইনশা আল্লাহ।’

অনেকেই এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কমিউনিটি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর আগেও ২০২২ সালে কে বা কারা এই নামফলকের ওপর কালি লেপন করে দিয়েছিল। জানা গেছে ২০১৭ সালে এ নামফলকটি এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়, ফলকটি নির্মাণ করে বাংলাদেশি আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স (বেপাক)।