ইচ্ছে
ইচ্ছে হলে লিখি, না হলে না লিখি
তোমার তাতে কি?
বলো তোমার তাতে কি?
লেখা আর লেপা যে একই বিষয় নয়,
ফেবুতে আসলেই তা বেশ বোঝা যায়!
নিজে না হেসে ‘গোপাল ভাঁড়’ সবাইকে হাসাত
সে–ও কিন্তু বেশ ছিল মিষ্টিকুমড়োর মতো,
অন্তত সে ঘর লেপে যায়নি দিনভর...
কার কপালে টিপ ছিল, কার মাথায় কাপড়?
ব্যস্ত ছিল রাজা মহাশয়ের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে
থার্ড পারসনের কেচ্ছা কাহিনিকে আমল না দিয়ে।
আর একজন ছিল ‘রবিনহুড’ করেছে গরিবের উপকার
সমাজ যারা বদলায় তারা সাহসী নির্ভীক হয়,
মিনমিনে গলা, ভয় পেয়ে থামা, অনুমতি চাওয়া নয়,
পাছে লোকে কি বলবে তা কখনো ভাবে না সংস্কারক।
সামর্থ্যবানরা ট্যাক্স দিয়ে যায় আরও দেয় জাকাত,
কবে যে জাকারবার্গ বলবে ফেবুতে কর দেয়ার তরিকা!
এক বাড়িতেই রাজুর সাথে মীনার কত ফারাক
প্রতিবন্ধকতা সাথে নিয়েই মীনা পথ দেখিয়ে গেছে
উপকারী জনগণ ভেবে মরে মীনার কী লাভ হলো?
লাভ না হোক, মিনার হৃদয় শান্তি তো পেল।
জীবনের হিসাব এভাবে হয় না, যেভাবে তোমরা ভাবছ
ঝাঁকে ঝাঁকে পক্ষী শূন্যে না উড়ে তবে তো ডালে ঝিমাত!
লাভ–ক্ষতির হিসাব শিকেই তুলে স্বার্থহীন হতে শেখো
কেউ মেরেছে পিঠ চাকু, কে হৃদয়ে তা মনে রেখো,
তাদের মনের গহিনে যদি একবারও ঢুকতে পারো
দেখবে ধিকি ধিকি যন্ত্রণার আগুন অহর্নিশ জ্বলছে...
স্বার্থপররা সুখ, সম্পত্তি ঢাক ঢোল খুঁজে ফেরে
শান্তি, স্বাচ্ছন্দ্য সব হারিয়ে মাইনকা চিপায় পরে
দিনান্তে ওরা ফাঁকা কলস নিয়ে ফাঁপা মনে ঘরে ফেরে
তবুও তারা খুব করে চায় মনোযোগ কাড়তে সুস্থ, অসুস্থতায়
বুঝে ওঠে না সীমিত আলোয়, শিক্ষক সমঝদাররা হরে হরে।
বলেছিলাম তোমায় একটু খানি শান্তি খুঁজে নিতে ...
তবে তো আজ পড়ন্ত বিকেলে আমায় বলতে না,
কেন লিখছি না যে!
কারও পাকা ধানে মই তো দিইনি
নিস্তব্ধ দুপুরে ভাত ঘুমেও নেই
অযথা ট্যাগ করে বিরক্ত করি না
কে কী বলছে কানেও তুলি না
নিজের কাজে নিজে ডুবে থাকি
ফুরসত মেলে না অন্যের পিছে
যখনই কোনো উপলব্ধি আসে
কার্পণ্য করি না লিখে রাখতে
তাই ইচ্ছে হলে লিখি, না হলে না লিখি
তোমার তাতে কী?
বলো তোমার তাতে কী?
আত্মা আর হৃদয় নিয়ে ভীষণ শান্তিতে আছি।