স্পেনে প্রদর্শিত হলো ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’

স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নগরীর অভিজাত এমকে-টু পালাসিও দে ইয়েলো প্রেক্ষাগৃহে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও চিরায়ত আদর্শকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্পেনেই বায়োপিকটি জনসাধারণ্যে প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বায়োপিকটি বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের নিবিড় সহযোগিতার এক অনন্য স্মারক।

জাতির পিতার জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে বিপুলসংখ্যক দর্শকশ্রোতার সমাগম ঘটে। স্পেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, দেশটিতে নিযুক্ত ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, সুদান, মালি, গাম্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতসহ কূটনৈতিক কোরের সদস্য, স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাগতিক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মী এবং সুশীল সমাজ, থিঙ্ক ট্যাংক ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সিনেমা হলে উপস্থিত হয়ে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।

স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ অভ্যাগত অতিথিদের স্বাগত জানান। প্রদর্শনীর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য সমার্থক, অভিন্ন ও অচ্ছেদ্য। বায়োপিকটি বাঙালি জাতির মুক্তি, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়দীপ্ত অভ্যুদয় ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নিবেদিত স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর মহাকাব্যিক জীবন ও অপরিসীম আত্মত্যাগের এক সত্যনিষ্ঠ ও অনবদ্য রূপায়ণ। রাজনৈতিক জীবনের সূচনালগ্নে তরুণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিভাময় নেতৃত্বের উত্থানপর্ব চিত্রায়ণের মাধ্যমে বায়োপিকটিতে উপমহাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানও প্রাঞ্জলভাবে বিধৃত হয়েছে।

বায়োপিকটি প্রদর্শনীর পূর্বে স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্রী দীনেশ কে পাটনায়েক শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

আমন্ত্রিত দর্শকশ্রোতা ও চলচ্চিত্রবোদ্ধারা বায়োপিকটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তাঁরা জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার অমর স্মৃতির উদ্দেশে অকুণ্ঠচিত্তে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। বায়োপিকের শেষাংশে চিত্রায়িত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণের দৃশ্যে অনেক দর্শক অশ্রুসিক্ত নয়নে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। এর আগে ৩১ মে বার্সেলোনার স্বনামধন্য প্রেক্ষাগৃহ সিনেমেস জিরোনায় বায়োপিকটি প্রদর্শিত হয়। স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বার্সেলোনায় বসবাস করেন। বিজ্ঞপ্তি