সুবাসিনী

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

কী ভেবে এলে আজ সুদীর্ঘ এত বছর পর?
পাঁচ বছর, দশ বছর, নাকি কুড়ি বছর পর?
প্রস্ফুটিত পাপড়িগুলো মনের অন্তরিক্ষে ধারণ করি,
সুবাসিনী, আমি নেশায় বিভোর আবার নতুন করি।
জানি না যে নাম তোমার, বলো তো কী বলে ডাকি?
ভাবছি, এখুনি গুগলে দেখে নেব নাকি!
নাম তোমার যা–ই হোক, আমি বলি সুবাসিনী,
শুভ্রবসনা চঞ্চল কন্যা তুমি হৃদয়হরণী।
তা কেমন দেখছ আমায়? তেমনই কি আছি?
নাকি সেই রূপলাবণ্য আজ হারিয়ে ফেলেছি।
সময়ের স্রোত অতি শিগগির নীরবে বয়ে গেল,
জীবনযুদ্ধের সংঘর্ষ তোমায় ভুলিয়ে দিল।
আবার এসেছ ফিরে, সেই আনন্দেই আত্মহারা আমি,
সারা বাড়িময় স্বর্গীয় সুগন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছ তুমি।
সৌরভে দুনয়নে নামে না সুপ্তি; নিদ্রাহীন সারা রাত,
জেগে রব আমি ফুটবে তুমি আরও যে কটা রাত।
কথা দাও যাবে না ছেড়ে কখনো এ জীবনে,
পূর্ণতা পেল না যে মন-প্রাণ ক্ষণিকের এই দর্শনে।
এইতো এলে, তবে এখুনি কেন যাবার এত তাড়া?
চলে গেলে ক্ষুণ্ন হৃদয়ে আমি হব যে পাগলপারা।
ওগো প্রিয়দর্শিনী, রেখে যাও যত সুখময় স্মৃতি,
তবে যাবার বেলায় আজ দিয়ে যাও প্রতিশ্রুতি।
আসবে ফিরে অতি শীঘই লাগাতে প্রাণে হরষ,
সেই অপেক্ষায় কাটবে আমার সকল রাত্রি–দিবস।

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]