বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি ক্যানটাবেরির উদ্যোগে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন
বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি ক্যানটাবেরির উদ্যোগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ফেনদেলটন কমিউনিটি সেন্টারে পয়লা বৈশাখ ১৪৩১ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ২৭ এপ্রিল বিকেল চারটায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও সান্ধ্য ভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে এস এম আকরামুল কবির সম্মানিত অতিথিদের সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন এবং জাতির জীবনে পয়লা বৈশাখের সর্বজনীন গুরুত্ব তুলে ধরেন। অর্গানাইজেশনের সভাপতি এম এম হারুন-উর-রশীদ তাঁর বক্তব্যে এই কালচারাল সোসাইটির তাত্ত্বিক ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোকপাত করেন। পরবর্তী সময়ে ক্রিস্টফার পালমা অর্গানাইজেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেদিকে দৃষ্টিপাত করেন।
অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করার জন্য তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে কোরাস ও একক সংগীতমালায় বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। এ পর্যায়ে শুরুতে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো …” দলীয়ভাবে কনকচাঁপা খাস্তগির ও তাঁর দল (শম্পা পালমা, মুনতাহা কারিনা ও তেরেসা ডি কস্তা) পরিবেশন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে একক সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কনকচাঁপা খাস্তগির (মধুমালতী ডাকে আয়, ফুল ও ফাগুনের এ খেলায়) এবং মো. হেলাল উদ্দিন (দোল দোল দুলুনি, রাঙা মাথার চিরুনি) দর্শকের মনকে উদ্বেলিত করেন। রিচাড পালমা তবলার সুরেলা বিটের ঝংকার তোলেন।
দ্বিতীয় পর্বে কিছু মেধাবী শিশুরা (নয়নিকা, রুদ্র, ইযহান, আইয়ান, সূর্যোদয়) চমৎকার ছড়া ও গান পরিবেশন করে সবাইকে বিমোহিত করে। এ পর্বে মো. জোহা ও সুপর্ণা তালুকদার দুইটি আধুনিক ও জীবনঘনিষ্ঠ কবিতা আবৃত্তি করে।
পরিশেষে ক্রিস্টফার পালমা সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে আনন্দময় করার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতার জন্য জুয়েল আইচ, ওমর জাহিদ ও আসিবুর রহমানকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের দুই পর্বের পর বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি ক্যানটাবেরির আয়োজনে মজাদার খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি