জেদ্দায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এসএমসি নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন
সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইংরেজি বিভাগে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল (এসএমসি) নির্বাচন ২০২৫ গতকাল শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই অভিভাবকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বেলা ২টা থেকে সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত, যেখানে মোট ২১৫ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান মো. মতিউর রহমান খান।
নির্বাচনে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়। সবাই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন। স্থানীয় সরকার পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে এবং বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল জেদ্দার কর্মকর্তা এ এস এম সায়েম, কাউন্সিলর (কনসুলার উইং) ছাড়াও সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ভূমিকা পালন করেন।
ফলাফলে সর্বোচ্চ ১৩৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ নাসির উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, যিনি পেয়েছেন ১০৭ ভোট। তৃতীয় স্থান অর্জন করেন মিজানুর রহমান, তাঁর প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ১০৩। চতুর্থ স্থানে আছেন সুমন উর রশিদ, যিনি পেয়েছেন ৭৩ ভোট এবং পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন আবদুল আরিফ খান, যিনি পেয়েছেন ১৮ ভোট। শেষ তিনজন সদস্য হিসেবে এসএমসিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ নাসির উদ্দিন আবেগপ্রবণ কণ্ঠে অভিভাবক ও কমিউনিটির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু আমার বিজয় নয় বরং পুরো অভিভাবক সমাজের বিজয়। আমরা সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করব। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি হবে আমাদের মূল অঙ্গীকার।’
ভাইস চেয়ারম্যান ও অন্য নবনির্বাচিত সদস্যরাও একই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তাঁরা বলেন, একসঙ্গে কাজ করেই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও স্কুল ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।
সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই স্কুল আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য। তাই এসএমসির প্রতিটি পদক্ষেপে অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিক্ষা উন্নয়নে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি অভিভাবকের সামাজিক দায়িত্ব।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক মো. মতিউর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মোস্তফা মনোয়ার, আরিফুর রহমান, মেহের মোহাম্মদ হেলাল, মোসলেহ উদ্দিন। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিকেরা।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]