যুক্তরাষ্ট্রে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভায় চেয়ার তুলে মারামারি
যুক্তরাষ্ট্রে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাধারণ সভায় হাতাহাতি ও চেয়ার তুলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি বদরুল খান ও সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) মইনুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে নিউইয়র্ক নগরীর উডসাইড এলাকার কুইন্স প্যালেসে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। পরে নিউইয়র্ক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পূর্ব নির্ধারিত সাধারণ সভায় নিউইয়র্কে বসবাসরত সিলেট অঞ্চলের অন্তত পাঁচ শত অভিবাসী উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি বদরুল খান মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সভা পরিচালনা করার জন্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমকে আহ্বান জানান। এ সময় চিৎকার করে এর প্রতিবাদ জানান, সাময়িক বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। আমি থাকতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অবৈধ।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও কুইন্স প্যালেস কর্তৃপক্ষ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর চেয়ার নিয়ে চড়াও হন। মইনুল ইসলাম মাইকের তার ছিঁড়েন ও একটি টেবিল উল্টে ফেলেন। এ সময় হলের নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন এবং সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মইনুল ইসলামকে বাইরে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর সমর্থকেরাও সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
সভাপতি বদরুল খান বলেন, ‘১৫ হাজার সদস্যের প্রবাসের সবচেয়ে বড় সংগঠন একটি গঠনতন্ত্র মেনে চলে। আমরা গঠনতন্ত্র মেনে সবার মতামতের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে (মইনুল ইসলাম) প্রথমে অর্থ আত্মসাতের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন হল ভর্তি মানুষের উপস্থিতিতে সাধারণ সভায় মইনুল ইসলামকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত করা হয়। বহিষ্কারাদেশ ২৫ জুন থেকে কার্যকর হবে।’
এদিকে মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী রোববার এস্টোরিয়ার জালালাবাদ ভবনে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৩৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠন দু চারজনের স্বেচ্ছাচারিতায় চলতে পারে না। আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমাকে পুলিশ দিয়ে বের করে দেওয়া হলো। আগামী সাধারণ সভায় জালালাবাদবাসী (সিলেটবাসী) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেফাজকেও সাধারণ সভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশ্নবিদ্ধ এ সাধারণ সভা তিনি মানছেন না।