প্রবাসীদের কেন প্রিয় প্রথম আলো
আমরা যারা নিজের পরিবারকে ভালো রাখতে প্রবাসে থাকি, দিন শেষে দেশের সত্য ও সঠিক খবর জানতে প্রথম আলোর ওপরেই ভরসা রাখি। সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে কাজের ফাঁকে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রথম আলোর অনলাইনে চোখ বুলিয়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো এখন বেশ সক্রিয় এবং শক্তিশালী। সেখানে বিভ্রান্তিকর, গুজব এবং ভুলভাল খবরেরও ছড়াছড়ি। বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইনও অনেকটা লাইক, কমেন্ট আর ভিউ নিয়ে ব্যস্ত। সেখানে প্রথম আলো পরিবার তাদের গুণগত মান বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে নিয়মিত। আমার মতো অনেক পাঠক তাই দিন শেষে প্রথম আলোয় চোখ বুলিয়ে স্বস্তি পায়।
৮ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছি, দেশে থাকতেও ভরসায় ছিল প্রথম আলো। বরাবরই খেলা পাগল এ আমি পত্রিকা হাতে নিয়েই খেলার পাতা পড়তে ব্যস্ত হয়ে যেতাম। উৎপল শুভ্র ছিলেন আমার প্রিয় ক্রীড়া লেখক। ছিলেন বলছি কেন? এখনো আমি তার লেখার দারুণ ভক্ত।
রঙিন পত্রিকায় খেলার খবর প্রকাশ সম্ভবত প্রথম আলোই প্রথম শুরু করেছে। বিশ্বকাপ আসলে রঙিন পোস্টার, বিশেষ বিশেষ লেখা থাকত। সেগুলো পড়া শেষে সংরক্ষণও করতাম। আমার মনে হয় না প্রথম আলো ছাড়া কোনো পত্রিকা মানুষকে এত কাছে টানতে পেরেছে। প্রথম আলোর প্রতি লেখনীতে বিশ্বাস আর আস্থা জড়িত। কৈশোরের প্রেম প্রথম আলো আজও তাই প্রিয়।
আমরা প্রবাসীরাও বিশ্বাস করি সত্যে, তথ্যে, নির্ভরতায়, নিঃসন্দেহে কয়েক দশক ধরে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলো। অনেক পত্রিকা এসেছে, আসছে, আছে কিংবা ছিল। তারা নিজেদের সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করেও প্রথম আলোর আশপাশে ঘেঁষতে পারিনি। অ্যানালগ যুগ থেকে ডিজিটাল যুগে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিজেকে স্বরূপে বদলেছে প্রথম আলো। ২৫ বছর পদার্পণে প্রথম আলো পরিবারকে প্রবাস থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
প্রথম আলোর এই পথচলা আরও মসৃণ হোক। প্রবাসীদের নিয়ে আরও বেশি বেশি লেখা প্রকাশ পাক। ২৫ বছরের প্রথম আলো শতসহস্র বছর ধরে মানুষের হৃদয়ে থাকুক ভালোবাসার পত্রিকা হয়ে। শুভ জন্মদিন প্রথম আলো, ভালো থাকুক প্রথম আলো পরিবার।