মালয়েশিয়ায় প্রীতি ফুটসাল ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ার গোলে সবুজ দলের জয়
দূর পরবাসে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
মহান বিজয়ের ৫৪তম দিবস উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মালয়েশিয়া (বিএসওএম)–এর উদ্যোগে একটি প্রীতি ফুটসাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর ২০২৫) মালয়েশিয়ার আমপাং পার্কের একটি ফুটসাল মাঠে এই ম্যাচ আয়োজন করা হয়। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাইপর্বের মাধ্যমে নির্বাচিত খেলোয়াড়েরা এতে অংশ নেন।
ম্যাচে মুখোমুখি হয় গালিবের নেতৃত্বাধীন লাল দল এবং আসিফের নেতৃত্বাধীন সবুজ দল। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ২–২ গোলে সমতায় শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া একটি গোল করলে ৩–২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে সবুজ দল।
উল্লেখ্য, ম্যাচের শুরুতে জামাল ভূঁইয়া লাল দলের হয়ে খেললেও পরবর্তী সময়ে সবুজ দলের হয়ে মাঠে নামেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির (এপিইউ) শিক্ষার্থী হুজাইফা।
এই প্রীতি ফুটসাল ম্যাচে প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিদেশিরাও উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামাল ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসওএমের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ মাহবুব করিম, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন এবং সিআইপি সাহাব উদ্দিন।
ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় জামাল ভূঁইয়া বলেন, মালয়েশিয়ায় এসে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলতে পেরে আনন্দিত। এ ধরনের আয়োজন প্রবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ঐক্য গড়ে তুলতে সহায়ক।
অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল লিজেন্ড গ্লোবাল এবং ফুড পার্টনার হিসেবে ছিল মৈত্রী এসডিএন বিএইচডি। ফুটসাল ম্যাচটির সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন বিএসওএম সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালিব, সাধারণ সম্পাদক আদিব, সহসভাপতি আসিফ রহমান, সাকিব মিয়া ও নিসাদ তাবাসসুম।
বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মালয়েশিয়া (বিএসওএম) ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি প্রবাসে বাংলাদেশের শিক্ষা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও ঐক্যকে এগিয়ে নিতে শুরু থেকেই বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।