সিডনিতে পোলাওয়ের চালের সংকট, ১ কেজির দাম ১ হাজার

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশি পোলাওয়ের চালের সংকট চলছে। প্রতি কেজির দাম হয়েছে হাজার টাকা। তারপরও পাচ্ছেন না ক্রেতারা। ফলে সিডনির প্রবাসী বাংলাদেশি ক্রেতারা দেশীয় পোলাওয়ের চাল না কিনতে পেরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সামাজিক মাধ্যমেও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কারণ জানতে চেয়েছেন অনেকে।

কেন পোলাওয়ের চালের এই সংকট, এর সোজা কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি ব্যবসায়ী থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে। তবে অভিযোগ উঠেছে, বাড়তি দামের কারণ যা-ই থাকুক কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে আরও বেশি দামে পোলাওয়ের চাল বিক্রি করে চলেছেন।  

প্রায় এক লাখ বাংলাদেশির বসবাস অস্ট্রেলিয়ায়। বাংলাদেশিদের মেহমানদারি কিংবা বিশেষ আয়োজনের খাবারের পোলাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু কয়েক মাস ধরে পোলাওয়ের চালের তীব্র সংকটে ভুগছেন সিডনির বাংলাদেশি বাসিন্দারা। বাংলাদেশে যে পোলাও চাল গড়পড়তায় প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, সেই চাল এক হাজার টাকা খরচা করেও পাওয়া দুষ্কর। অনলাইনেও ১১ থেকে ১৫ অস্ট্রেলীয় ডলারের পোলাওয়ের পাশে লেখা থাকছে ‘সোল্ড আউট’। এই পরিস্থিতিতে সিডনির বাংলাদেশিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এর কারণ জানতে চেয়েছেন।

সংকটের বিশেষ কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। দোকানিরা বলছেন, ‘পোলাওয়ের চালের আমদানি হচ্ছে না।’ অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের একজন সদস্য জানান, অস্ট্রেলিয়ায় চাল আমদানি করতে হলে একটি বিশেষ পরীক্ষার পরই তা আমদানি ও বিক্রয়যোগ্যতা পায়। কিন্তু এই পরীক্ষা প্রক্রিয়া বাংলাদেশে না থাকার কারণে ভারত বা সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশে পরীক্ষিত হয়ে সে দেশের চাল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় আসে। আর এই পরীক্ষাটি ব্যয়বহুল হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের খরচ মিলিয়ে চালের দাম অনেক বেড়ে যায় সিডনিতে।

বাংলাদেশ থেকে পোলাওয়ের চাল আমদানিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনো সমস্যা রয়েছে কি না, জানতে যোগাযোগ করা হয় অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে কেউই মন্তব্য করতে চাননি। তবে একটি সূত্রমতে জানা গেছে, এ সম্পর্কে হাইকমিশন অবগত রয়েছে এবং বাংলাদেশে পোলাওয়ের চালের পরীক্ষাগার ও অনুমোদন নেওয়া যায় কি না এবং সঠিক পথে চাল অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়া সফরে এলে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাঁকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলেও জানা যায়।