সিডনিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরছবি: সিডনি মিশন

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম। বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা ও সিডনি কনস্যুলেট জেনারেলের সমন্বয়ে এ সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১৪ এপ্রিল সিডনি কনস্যুলেটে এক সচেতনতামূলক সভায় এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন উইংয়ের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বসেই এখন প্রবাসীরা অনলাইনে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার কার্ড পাবেন। এ জন্য https://services.nidw.gov.bd পোর্টালে গিয়ে ফরম-২(ক) পূরণ করতে হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং সব তথ্য গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে।

সিডনি কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা কারিগরি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রবাসীদের সুবিধার্থে খুব শিগগির আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে।’ তিনি জানান, বর্তমানে শুধু নতুন আবেদনকারীরাই এই সেবা পাবেন। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের জন্মসনদ ও মেয়াদোত্তীর্ণ নয়—এমন পাসপোর্ট আবশ্যক।

সিডনির বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ গিয়ে পরিচয়পত্র করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এই সেবা চালু হওয়ায় আমরা অনেক স্বস্তি বোধ করছি।’ অপর প্রবাসী নুসরাত জাহান, যাঁর দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে, তিনি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের জন্য কীভাবে আবেদন করতে পারব, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনা চাই। আশা করি দ্রুতই সব তথ্য পাব।’

বক্তব্য দিচ্ছেন সিডনি কনসাল জেনারেল মো. সাখাওয়াত হোসেন
ছবি: সিডনি মিশন

এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন, যাঁদের মধ্যে অনেকই এই সেবা পাওয়ার যোগ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই সেবা চালু হওয়ায় সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যেই আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। কনস্যুলেট সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই প্রথম ধাপের আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা সম্ভব হবে।

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]