পর্তুগালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্‌যাপন, ছিল শিশুদের ছবি আঁকার আয়োজন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ছবি: সংগৃহীত

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস গত রোববার ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন করেছে।
সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সব শিশু–কিশোরের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাঙালির অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।

দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ১৫ মার্চ দূতাবাস লিসবনের পার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশুদের অংশগ্রহণে দুটি পৃথক ক্যাটাগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওই স্কুলের ৬ জন শিক্ষক ও দুই শ্রেণি মিলিয়ে ৫০ জন শিশু স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার ওপর নির্মিত অ্যানিমেশন ছবি প্রদর্শন করা হয়। ছবিটির প্রতিপাদ্য পর্তুগিজ ভাষায় বর্ণনা করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব প্রতিযোগী শিশুর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও সবশেষে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের মধ্যে ইফতার পরিবেশন করা হয়।