সরগমের যুগপূর্তি, স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো
কানাডার মন্ট্রিয়লে বাংলা ভাষাভাষীদের শুদ্ধ সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরগম মিউজিক একাডেমি গত রোববার (২৬ মার্চ) পার্ক ভিউ রিসেপশন হলে প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পূর্তির পাশাপাশি উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস। এ অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রাণবন্ত উপস্থিতি।
সাবিনা ইয়াসমিন আর অ্যান্ড্রু কিশোরের হাত ধরে যাত্রা শুরু এই একাডেমির। প্রিন্সিপাল ডরিন মলি গোমেজ আর পরিচালক রনজিত মজুমদারের অক্লান্ত চেষ্টায় ১২ বছর ধরে এগিয়ে চলছে সরগম। আজকে একাডেমির অনুষ্ঠানে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ছিল প্রতিষ্ঠানটির জন্যে নিঃসন্দেহে গৌরবের, গৌরবময় ১২ বছরের একটি ভিন্নতর মুহূর্ত।
একাডেমির ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় কানাডার জাতীয় সংগীতের তালে তালে আরসিএমপির নিরাপত্তা বলয়ে হলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনজন উপস্থাপিকার বাংলা, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অনবদ্য উপস্থাপনার এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রনজিত মজুমদার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে একাডেমির ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। তারপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন কানাডা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহিবুর রহমান, মন্ট্রিয়লে আসন্ন ফোবানার আহ্বায়ক দেওয়ান মনিরুজ্জামান, অণুজীব বিজ্ঞানী শোয়েব সাঈদ, আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি বশীর, সিবিএস–প্রধান জিয়াউল হক জিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রশীদ খান, মন্ট্রিয়েল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রথমেই অভিনন্দন জানান একাডেমির কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রীদের আর অভিভাবকদের একাডেমির ১২ বছর পূর্তিতে। তিনি বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় কানাডা আর বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিকাশে একাডেমির অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি কানাডার অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যবসা–বাণিজ্যে কানাডীয় বাংলাদেশিদের বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান এবং শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ১৯৭২ সালের ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারিতে উনার পিতা পিয়েরে ট্রুডোর বাংলাদেশকে প্রথম পশ্চিমা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি।
বক্তব্য শেষে ট্রুডো একাডেমির যুগপূর্তিতে কেক কাটেন, ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে হাত মেলান।