বিশ্বসংগীত: আয়রন মেইডেন দর্শন

যাঁদের বয়স চল্লিশোর্ধ্ব, ধরে নেওয়া যায় তাঁরা নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা তরুণ–তরুণী। বিশ্বসংগীতের যে কয়েকটা ধারার সঙ্গে সেই প্রজন্মের সম্পর্ক, তার মধ্যে হেভি মেটাল অন্যতম। হেভি মেটাল গানের শ্রোতামাত্রই আইরন মেইডেন ব্যান্ডের সঙ্গে পরিচয় আছে।

আয়রন মেইডেন একটি ব্রিটিশ হেভি মেটাল ব্যান্ড, যা ১৯৭৫ সালে স্টিভ হ্যারিস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ব্যান্ড ১৯৮০–এর দশকে প্রধান সাফল্য অর্জন করে এবং ‘দ্য নম্বর অব দ্য বিস্ট’সহ বেশ কয়েকটি আইকনিক অ্যালবাম প্রকাশ করে। ব্যান্ডটি এখনো সক্রিয় এবং মেটাল জগতে অবিস্মরণীয়।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে চলে আসার সুযোগে সময়টা মিলে যায় আয়রন মেইডেন ব্যান্ডের সরাসরি পারফরম্যান্স দেখার। মধ্যবয়সী শ্রোতা হিসেবে যেখানে এই ব্যান্ডের পারফরম্যান্স সাধারণ দর্শক–শ্রোতারাও ছাড়তে চাইবেন না, সেখানে একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে এই সুযোগ ছিল অবিস্মরণীয়।

প্রায় পাঁচ মাস আগে কেটে রাখা টিকিট অনুসরণ করে নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুটা আগেই পৌঁছে যাই মেলবোর্নের রড লেভার এরিনা ভেন্যুতে। দেখে মোটামুটি মাঝারি মানের আয়োজন মনে হচ্ছিল। ভুলটা ভাঙল মূল ভেন্যুতে প্রবেশ করার পর। প্রচুর দর্শকের সমাগম।

শুরুতে ভিন্ন একটা মেটাল ব্যান্ডের পারফরম্যান্স ছিল। ঘাড় ঘুরিয়ে আশপাশের দর্শকদের দেখছিলাম। দর্শক সারির গড় বয়স সম্ভবত ৩৫–এর ওপরে। কম বয়সী দর্শক খুবই কম। প্রায় ৫০ বছর বয়সী এই ব্যান্ডের দর্শক–শ্রোতাদের বয়সও এমনটাই হবে স্বাভাবিক।

বাংলাদেশি নিয়মিত মঞ্চে পারফরম্যান্স করা এবং দেখার সুবাদে মঞ্চের আয়োজনের দিকে ছিল আলাদা নজর। মঞ্চ ব্যবস্থাপনা যেন একটা গানের নয়, নাটকের মঞ্চ। মঞ্চে কুশলীরা এলেন, দুই ঘণ্টা যেন নিমেষে উড়ে গেল। আশপাশের সবাই গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গাইছেন, ভিডিও করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করছেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে মূল কণ্ঠশিল্পী স্টিভ হ্যারিস গল্প করছেন, ছোটখাটো হাসিঠাট্টা করছেন।

পুরো কনসার্টের আয়োজনে প্রবেশ করা থেকে কনসার্ট দেখা এবং বের হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনাই ছিল খুবই নিয়ন্ত্রিত। আগ্রহীরা ইউটিউবে কনসার্টের ভিডিও চাইলে দেখে নিতে পারবেন।

আয়রন মেইড

Doctor Doctor

Blade Runner

Caught Somewhere in Time

Stranger in a Strange Land

The Writing on the Wall

Days of Future Past

The Time Machine

The Prisoner

Death of the Celts

Can I Play With Madness

Heaven Can Wait

Alexander the Great

Fear of the Dark

Hell on Earth

The Trooper

Wasted Years

Always Look on the Bright Side of Life গানগুলো শুনিয়েছেন।

লেখক: সামিউল মাশুক ////////এন্টনি////////, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া

*দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]