সুইডেনে রবীন্দ্রনাথ  

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৫ বৈশাখ ১২৬৮—২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)প্রতিকৃতি: আরাফাত করিম

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সুইডেনের সম্পর্ক খুব জোরালোভাবে গড়ে ওঠেনি। জাপান, চীন, ইরান, রাশিয়া বা ব্রিটেনের সঙ্গে কবির ঘন ঘন যাতায়াতে যেভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, সুইডেনের সঙ্গে ততটা হয়নি। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেও কবি সুইডেন এসেছেন মাত্র দুবার, ১৯২১ ও ১৯২৬ সালে। অর্থাৎ নোবেল পুরস্কার লাভের আট বছর পর। কলকাতা তথা ভারতে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। বর্তমানে বাড়িটি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে ও ঠাকুর পরিবারের অনেক দুষ্প্রাপ্য নির্দশন বাড়িটি ঘিরে। এই বাড়িতেই কবির জন্ম ও মৃত্যু। বাড়ির দোতলার একটি ঘরে কবির জাপান, ইরান ও রাশিয়া ভ্রমণের ওপর প্রদর্শনী কক্ষ। কিন্তু কোথায়ও সুইডেন ভ্রমণের ওপর তথ্য নেই, তবে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির ছোট্ট পেপার কাটিং আছে। সুইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো হয়ে ওঠেনি বলেই হয়তো এদিকটা প্রাধান্য পায়নি।

কিন্তু ইতিহাস ঘেঁটে যতটুকু পাওয়া যায়, কবির নোবেল পুরস্কার লাভের ঠিক এক বছর আগে ১৯১২ সালে সুইডেনের যুবরাজ উইলহেম কলকাতা ভ্রমণের সময় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে গিয়েছিলেন ও ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে সুইডিশ সোসাইটির হালকা যোগাযোগও ছিল। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সুইডিশ লেখিকা সেলমা লগারলভের পত্রালাপ ছিল। তবে এই যোগাযোগ রবি ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্তিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি। রবি ঠাকুর নোবেল লাভ করেছিলেন স্বীয় প্রতিভাবলে।

লেখিকা এ্যানি ওকারহেইম বলেন, কবির ভেতর দুটি শক্তি বিদ্যমান, সৃষ্টি ও ধ্বংস, জীব হতে জীবে, ব্যক্তি হতে ব্যক্তিতে এবং তাঁর ভেতর বুদ্ধা ও যিসাস উভয়েই সমন্বিত।

রবি ঠাকুরের সুইডেনে আগমন

১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেও কবি রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ১৯১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর স্টকহোম গ্র্যান্ড হোটেলে নোবেল বাংকোয়েটে কবি টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন, কবির পক্ষে টেলিগ্রাম পাঠ করেছিলেন ব্রিটিশ চার্চ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিস্টার ক্লাইভ, ‘I beg to convey to the Swedish Academy my greatful appreciation of the breagth of understanding which has brought the distance near, and has made a stranger a brother.’ কবির পক্ষে নোবেল পদক গ্রহণ করেছিলেন ব্রিটিশ ডিপ্লোম্যাট ক্লাইভ।

তবে কবি সুইডেন এসেছেন মাত্র দুবার, ১৯২১ ও ১৯২৬ সালে।

অর্থাৎ নোবেল পুরস্কার লাভের আট বছর পর। রবি ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্তির পরপরই শুরু হয়ে যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়ে ইউরোপ। যুদ্ধের ডামাডোলে কবির সুইডেন আসা সম্ভব হয়নি। এ সময় ধীরে ধীরে শুরু হয় শান্তিনিকেতনের কাজ। ১৯২১ সালের দিকে কবি বের হলেন ইউরোপ ভ্রমণে, উদ্দেশ্য শান্তিনিকেতনের জন্য অর্থ সংগ্রহ। ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে সভা–সমাবেশ ও বক্তৃতা করার পর কবি এসে উপস্থিত হলেন জার্মানিতে। সঙ্গে পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পুত্রবঁধূ। জার্মানিতে কবিকে দেওয়া হলো অভূতপূর্ব অভ্যর্থনা। জার্মানি থেকে কবি এলেন ডেনমার্ক।

জার্মানি যখন এসেই পড়েছেন, বাবা সুইডেন যাবেন না, তা কি হয়? নোবেল কমিটির আমন্ত্রণের ব্যাপারটা তো ছিলই। নোবেল কমিটি ভোজসভার আয়োজন করেছিল। ভোজসভায় সুইডেনের রাজা সভাপতিত্ব করলেন আর আতিথেয়তা করলেন সেলমা লাগেরলফ। বাবা বসলেন এ দুজনের মাঝে।
কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন,‘ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে পৌঁছে দেখেন, নোবেল পুরস্কার প্রাপক ভারতীয় কবিকে দেখার জন্য সে কী বিশাল জনতা! বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পর ছাত্ররা মশাল জ্বেলে শোভাযাত্রা করে কবিকে হোটেলে পৌঁছে দিয়ে গেল; এবং তারপর অনেক রাত পর্যন্ত প্রাঙ্গণে উৎসব ও হইহুল্লোড় করল। কবি সহাস্যমুখে তাদের অভিনন্দন গ্রহণ করলেন।’ ডেনমার্ক ভ্রমণ সম্পর্কে সুইডিশ দৈনিক সেভেন্কা ডগব্লদেতের সাংবাদিক মার্থা লুন্দভীক লিখেছেন, Rabindranath’s second day in Copenhagen was blessed with brilliant high summer weather from early in the morning, when Tagore and his Danish friends went for a drive towards North Zealand, to the evening when the students of Copenhagen paid tribute to him with a splendid torchlight procession after his recitation at the student Union.’

ডেনমার্ক থেকে কবি মে মাসের ২২ তারিখ বিকেলে সুইডেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমো এসে পদার্পণ করেন। মালমোয় অভাবনীয় সংবর্ধনা লাভের পর কবিকে রেলপথে স্টকহোমে নিয়ে আসা হয়। মালমো থেকে ট্রেন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে স্টকহোমের পথে রওনা হন। সঙ্গে উৎফুল্ল জনতা। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এসে দেখেন স্টেশনে সুইডিশ একাডেমির সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত। কবিকে স্বাগত জানাতে স্টকহোম রেলস্টেশনে উপস্থিত ছিলেন সুইডিশ একাডেমির সেক্রেটারি কার্লফেল্ড, কাউন্টপত্নী ইউলামোজ মোলেনদ্রফ, লেখক ফিয়া ওহম্যান ও অন্যান্য সুধীজন। স্টেশনের বাইরে বিশাল উৎসুক জনতা অপেক্ষা করছিল। কবি শান্ত মনে মাথা নুইয়ে সবার অভিবাদন গ্রহণ করেন। কার্লফেল্ড শোভাযাত্রা সহকারে কবি ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে আসেন গ্র্যান্ড হোটেলে। এই হোটেলেই কবি ও তাঁর সঙ্গীদের অবস্থান ঠিক করা হয়েছিল। বিকেলে এক সংবর্ধনা সভায় কবি তাঁর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে জানান, এই দেশটি উড়োজাহাজে করে তাঁর দেখার ইচ্ছা। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়নি, কবির সুইডিশ বন্ধুরা তাঁকে নিবৃত্ত করেন। কবির সফরসঙ্গী বোমানী ও কবিপুত্র যদি রাজি হতেন, তবে কোনো কিছু বাধা হয়ে উঠত না। চব্বিশে মে কবি আরেকটি সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন। সাতাশে মে উপসলার কাগজগুলো রিপোর্টে লিখে, ‘The stage had almost been transformed into an orangery with a colossal decoration of flags at the back of the stage, the rostrum completely concealed in flowers.’ লেখিকা এ্যানি ওকারহেইম কবিকে ‘The mysterious property of the East’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, কবির ভেতর দুটি শক্তি বিদ্যমান, সৃষ্টি ও ধ্বংস, জীব হতে জীবে, ব্যক্তি হতে ব্যক্তিতে এবং তাঁর ভেতর বুদ্ধা ও যিসাস উভয়েই সমন্বিত।’

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]  

১৯২১ সালের মধ্যেই জার্মানিতে কবির আট লাখ কপি বই বিক্রয় হয়ে গিয়েছিল, যা ছিল যেকোনো লেখকের চেয়ে বিশাল বিক্রয় সংখ্যা। বিক্রয়লব্ধ বইয়ের রয়্যালিটি সংগ্রহ ও সুইডেন ভ্রমণ দুটিই সমন্বয় সাধন হয়েছিল। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘জার্মানি যখন এসেই পড়েছেন, বাবা সুইডেন যাবেন না, তা কি হয়? নোবেল কমিটির আমন্ত্রণের ব্যাপারটা তো ছিলই। স্টকহোম ইউরোপের সুন্দর নগরীগুলোর অন্যতম। সেখানে আমাদের অবস্থান খুব মধুর ছিল। নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিক ভোজসভার আয়োজন করেছিল। বাবা অনুবাদ পড়েছেন এমন লেখকদের অনেকের সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে তাঁর দেখা হয়ে গেল। আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় সুইডেনের রাজা সভাপতিত্ব করলেন আর আতিথেয়তা করলেন সেলমা লাগেরলফ। বাবা বসলেন এ দুজনের মাঝে। উপস্থিত ছিলেন নুট হামসুন, বিওর্নসন, সোয়েন হেডিন, বোয়ের এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার খ্যাতিমান লেখকেরা। আমি বসেছিলাম নোবেল কমিটির সচিবের পাশে।’

অনুষ্ঠানে ছিলেন ১৯৯০ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পাওয়া নারী লেখিকা সেলমা লগারলফ, ১৯২০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত নরওয়ের সাহিত্যিক নুট হামসুন, ১৯০৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত নরওয়ের সাহিত্যিক বিয়র্নস্টার্ন, সুইডিশ পর্যটক ও ভূগোলবিদ নোবেল পুরস্কার কমিটির আজীবন সদস্য সোয়েন হেডিনসহ অনেকে। সুইডেনের রাজা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এই অনুষ্ঠানে কবি তাঁর ভাষনে স্মরণ করেন পচিশ বছর বয়সে পদ্মার উপর বোটে ঘুরে বেড়ানোর কথা, গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যের কথা ও গীতাঞ্জলির কবিতাগুলো লেখার অনুপ্রেরণার কথা। কবির ভাষণের পর উপসলা চার্চের আর্কবিশপ বললেন, ‘ঋষি ও কবির সমন্বয় হয়েছে কবির ভেতর, নোবেল সাহিত্য পুরস্কার যোগ্য পাত্রে অর্পিত হয়েছে।’ আর্কবিশপের অনুরোধে কবি উপসলা ভ্রমণ করেন ও অগণিত ভক্তের সম্মুখে উপসলা চার্চে বক্তৃতা করেন। বিশপ উপস্থিত থাকলে ইতিপূর্বে অন্য ধর্মাবলম্বী কাউকে চার্চে বক্তৃতা দিতে দেওয়া হয় না; কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথকে সে সম্মান দেওয়া হলো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৫ বৈশাখ ১২৬৮—২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
ছবি: সংগৃহীত

স্টকহোম আসার পরপরই কবির সঙ্গে সুইডিশ পর্যটক স্ভেন হেদিনের পরিচয় হৃদ্যতা হয়। স্ভেন হেদিনকে কবি তাঁর একটি বই উপহার দিয়েছিলেন। কবির সঙ্গে মিলিত হয়েই হেদিন মুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‘It was a splendid sight to see the fine looking Indian poet...’ হেদিন সম্পর্কে রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন একজন পর্যটক। যেখানে–সেখানে চট করে চলে যেতেন। সবখানে এমনভাবে থাকতেন যেন সেটাই তাঁর বাড়ি। গোটা বিশ্বটাকেই তাঁর নিজের আলোয় বানিয়ে নিয়েছিলেন।’ তাঁর ভ্রমণকাহিনি পড়তে বাবা পছন্দ করতেন। দেখা হওয়ার পর ব্যক্তি হেডিনকেও পছন্দ করে ফেললেন। তাঁর সঙ্গে সহজেই সবার বন্ধুত্ব হয়ে যেত। তিনি তখন ইংরেজদের ওপর ভীষণ খেপে আছেন। ব্রিটিশরা একসময় তাঁকে যে সম্মানে ভূষিত করেছিল, তা ফিরিয়ে নিয়েছে। তিনি আমাদের জানালেন যে আবার মধ্য এশিয়ায় ঘুরতে বেরোবেন। একদিন সুইডেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখা করতে এলেন। তিনি বললেন যে বাবার সম্মানে সুইডিশ সরকার সেনাবাহিনীর সিপ্লেনে আমাদের বার্লিন ফেরার ব্যবস্থা করতে চায়। কবি এতে রাজি হলে সুইডিশ সরকার আনন্দিত হবে। আইডিয়াটা বাবার খুব পছন্দ হলো। যথারীতি বিমান প্রস্তুত করা হলো। এরপর হেডিন বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলেন। যখনকার কথা বলছি, তখন বিমান চলাচলের যুগ শুরু হয়েছে। হেদিন বিমান ভ্রমণের কথা শুনেই আঁতকে উঠলেন। আমাকে বললেন যে বাবাকে যেন আমি মানা করি। তিনি তাঁর দেশ সুইডেনকে ভালোবাসেন তবু কিছুতেই চান না যে আমরা সুইডিশ বিমানে উঠি। বিমানটা কোনো জার্মান পাইলট চালালে না হয় দেখা যেত! হেডিন ততক্ষণে মন্ত্রণালয়ে ফোন করলেন এবং উদ্বেগের কথা জানালেন। এরপর ট্রেনে চেপে বসা এবং নৌপথ জাহাজে পাড়ি দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকল না। সুইডেন ভ্রমণ শেষে কবি সদলবল জার্মানি যাত্রা করেন।

কবি রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয়বার সুইডেনে আসেন ১৯২৬ সালে। দ্বিতীয়বারের ভ্রমণও প্রথমবারের মতো না হলেও প্রাধান্য পেয়েছে। যথারীতি এবারও তিনি গ্র্যান্ড হোটেলে এসে ওঠেন। দৈনিক স্ভেন্কা ডগব্লদেত এক সাক্ষাৎকারে জানায়, আগেরবারের চেয়ে কবিকে ১০ বছরের যুব লাগছে। এই সময় কবি পাশ্চাত্যে খৃষ্টধর্মের প্রতি গভীর আগ্রহ ও উদারতা প্রকাশ করেন এবং বলেন খৃষ্টধর্মের উদারতার ভেতর দিয়েই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি রক্ষা ও বৈষম্য দূর হবে।

সুইডেনে রবি ঠাকুরের দুই সফরকে একটি দীর্ঘ বিবর্তনীয় শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটি পর্ব হিসেবে দেখা যেতে পারে। কবির সুইডেন ভ্রমণে পৃথিবীতে আধ্যাত্মিকতার আবাস হিসেবে ভারতের পুরোনো ধারণাগুলোকে জীবিত করেছিল। সুইডেনে কবিকে প্রধানত প্রচ্যের জ্ঞানের প্রতিরূপকরণ হিসেবে দেখা হয়েছিল, যা দুই ধারার সংস্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করার প্রচেষ্টা বা এমন এক অভিজ্ঞতা তৈরির প্রয়াস পেয়েছে, যা শব্দের বাইরে রহস্য বর্ণনা করা যেতে পারে।    

সূত্র :-
১.Tagore in Sweden 1921 & 1926 by Dr.olavi Hemmilä, Phd, Professor  Dalarna University, Sweden.
২. আমার বাবা রবীন্দ্রনাথ: রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩. রবীন্দ্রজীবন কথা: শ্রী প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
৪. সুইডিশ পত্রপত্রিকা: Svenska dagbladet, Swedish Arkive