মিশিগান মাতিয়ে গেলেন কুমার বিশ্বজিৎ
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেন সিটি স্কয়ারে গত ৩ ও ৪ আগস্ট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগানের (বাম) উদ্যোগে ১৫তম ‘বাংলাদেশি আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল’ (দুই দিনব্যাপী মেলা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলেছে। মিশিগানে পরিবারপরিজন, আত্মীয়–স্বজন, ছেলে–মেয়ে, মা–বাবাকে নিয়ে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয়েছিলেন এ মিলনমেলায়।
৪ আগস্ট সন্ধ্যায় মেলায় গিয়ে দেখা যায় মানুষের ঢল। ছন্দে বাঁধা প্রবাসজীবনের নগর ব্যস্ততায় মেলায় সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার, আড্ডা দেবার ছিল এক সুবর্ণ সুযোগ। আয়োজকরা জানান, বাংলা, বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, নতুন প্রজন্মকে জানানো ও তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এ মেলা, সব মিলিয়ে এবারের এ মেলা ছিল জমজমাট। এ মেলায় ব্যতিক্রমী কিছু কার্যক্রম চোখে পড়েছে, এর মধ্যে হচ্ছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন। অনেকেই এখান থেকে ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম নিবন্ধন করান। এ ছাড়াও এনওয়াইএক্স নামক গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী একটি কোম্পানি মেলায় একটি স্টল দিয়েছেন, তারা এখানে চাকরিপ্রত্যাশীদের নাম নিবন্ধন করেছেন যাদের পরবর্তী সময়ে কাজের জন্য ডাকা হবে বলে এই প্রতিবেদকে জানিয়েছেন ঐ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা।
মেলায় ছিল রকমারি দোকানপাট। সেসব দোকানে ছিল শাড়ি, গহনা, খেলনা, ঘর সাজানোর জিনিস, খাবারের দোকান। মেলায় ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। মেলাকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে স্বেচ্ছাসেবকসহ ওয়ারেন পুলিশ কাজ করেছে। মেলায় স্থানীয় শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া অতিথিশিল্পী হিসেবে ছিলেন বাউল কালা মিয়া, চিরসবুজ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎসহ আরও অনেকে। কুমার বিশ্বজিৎ গান শুরুর আগে কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্রজনতার উদ্দেশ্যে ৩০ সেকেন্ড নীরবতা পালন করতে সবাইকে অনুরোধ করলে মাঠে উপস্থিত হাজারো দর্শকশ্রোতা দাঁড়িয়ে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, তাঁর ছেলের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার পর গত ১৮ মাস কোনো গান করতে পারেননি। তিনি একে একে তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে জীবনের ছোট ছোট গল্পগুলো দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করেন। মাঠে উপস্থিত দর্শক–শ্রোতারা তাঁর গানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে নেচে–গেয়ে আনন্দ উপভোগ করেন।