তুরস্কের কোনিয়ায় ‘বাংলাদেশ শাপলা দিবস’ উদ্‌যাপন

বাংলাদেশ-তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল শনিবার (১ জুন) তুরস্কের কোনিয়া প্রভিন্সের বেশেহির মিউনিসিপ্যালিটি এবং বাংলাদেশ অনারারি কনসাল, কোনিয়ার উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, বেশেহিরের মেয়র আদিল বায়িনদির, বাংলাদেশের অনারারি কনসাল মিজ ডেনিজ বুলকুর এবং দূতাবাস ও মিউনিসিপালিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

দিনের শুরুতে বেশেহিরের দৃষ্টিনন্দন শাপলা লেক এলাকায় বৃক্ষরোপণ করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেশেহিরের মেয়র। এরপর বেশেহির লেকে একটি নৌকাভ্রমণের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় ফুল এবং জাতীয় প্রতীক শাপলার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানটিকে ‘বাংলাদেশ শাপলা দিবস’ নামকরণ করা হয় বলে জানা যায়।

পরে মিউনিসিপ্যালিটি কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় বেশেহিরের মেয়র বলেন, বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে যে সম্পর্কটি রয়েছে তা ভ্রাতৃত্বের এবং হৃদয়ের। যখন দুটি দেশ হৃদয় দিয়ে সংযুক্ত হয় তখন সে সম্পর্ক প্রচন্ড শক্তিশালী হয়ে থাকে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার এ সম্পর্ক তেমনি শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক ও মানুষ থেকে মানুষের সংযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে মেয়র এবং অনারারি কনসালের প্রতি চমৎকার আয়োজনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কের গভীরতা অনেক এবং ঐতিহাসিক বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ দূতাবাস দুদেশের কূটনীতি, সংস্কৃতি, ব্যবসা–বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এরপর শিশু কিশোরদের তোলা ছবি এবং অঙ্কন নিয়ে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতার প্রদর্শনী হয়। যেটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বেশেহিরের মেয়র। প্রতিযোগিতায় ছয় থেকে ১৪ বছরের অর্ধশতাধিক শিশু, কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহণ করে। এরপর বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্য আরও ছিল একটি মিউজিক স্কুলের শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন রকম বাদ্যযন্ত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনপ্রিয় গান পরিবেশন। উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে এ আয়োজন। অনুষ্ঠানের শেষে অনলাইনে প্রারম্ভিক স্তরের বাংলা ভাষা শিখেছেন এমন পঞ্চাশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। ৫০ জন বাংলাভাষা শিক্ষার্থী বাংলাদেশ-তুরস্কের ৫০ বছর পূর্তিকে নির্দেশ করে। বিজ্ঞপ্তি