আমিরাতে প্রবাসী খুলনাবাসীর ঈদ আড্ডা ও তথ্য সংগ্রহ কর্মশালা: স্মরণীয় মিলনমেলা
প্রবাস জীবনের ব্যস্ততা, দূরত্ব আর চ্যালেঞ্জকে জয় করে প্রবাসী খুলনাবাসী আবারও প্রমাণ করলেন—শিকড়ের টান কখনো ফিকে হয় না। প্রবাসে পথচলার এক যুগের গৌরবময় ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫) সন্ধ্যায় শারজার হুদায়বিয়া হলে আয়োজিত হলো এক অনন্য ঈদ আড্ডা ও তথ্যসংগ্রহ কর্মশালা। এই হৃদয়ছোঁয়া আয়োজন করে এনআরবি খুলনা, প্রবাসে থাকা খুলনাবাসীর মাঝে দীর্ঘদিন ধরে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব পালন করে আসা প্রিয় সংগঠন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর, প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম, যিনি প্রতিটি পদক্ষেপে আন্তরিকতার ছাপ রেখেছেন।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল প্রবাসী পেশাজীবীদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও পেশাগত প্রোফাইলের সঠিক তথ্যভিত্তিক সংরক্ষণ, যা ভবিষ্যতে সামাজিক, পেশাগত ও জাতীয় প্রয়োজনে এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। প্রাণবন্ত আড্ডা, গল্প, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং প্রোফাইল তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি এক অনন্য অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়। তথ্য সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জেসমিন আক্তার, প্রকৌশলী আল আমিন, স্থপতি শারফিন আফরোজী, আলিমা বেগম, ফৌজিয়া আক্তার ও আন্দালিব মোস্তারী পপি। সবার আন্তরিকতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ এই মিলনমেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
অন্যদিকে অনুষ্ঠানের সাফল্যে আরও শক্তি জোগান ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, উদ্যোক্তা খালিদ সাইফুল্লাহ, প্রকৌশলী উদ্যোক্তা তাবিবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, রুহুল কুদ্দস, আলম হোসেন, মতিউর রহমান, মনির হোসেন, ফেরদৌস হোসেন প্রমুখ। তাঁদের নিরলস পরিশ্রম ও সহযোগিতা ছাড়া এই মহতী আয়োজন সম্ভব হতো না।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহত্তর খুলনা প্রবাসীদের পক্ষ থেকে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলার অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসী পেশাজীবীদের জন্য একটি বিস্তারিত দক্ষতাভিত্তিক তথ্যসূচি তৈরির আবেদন জানানো হয়েছিল। এই কর্মশালা সেই উদ্যোগেরই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা।
প্রাণের টান আর মিলনের উষ্ণতায় ভরা এই আয়োজন প্রবাসী খুলনাবাসীর মনে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। প্রবাসের মাটিতেও যে শিকড়ের টান কতটা গভীর, তার অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে রইল এই ঈদ আড্ডা। সভা শেষে সবাই এক আনন্দময় প্রত্যাশা নিয়ে ঘরে ফেরেন—ভবিষ্যতে এমন আরও অনেক মিলনমেলার সাক্ষী হওয়ার আশায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। বিজ্ঞপ্তি