ইতালি থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সম্মাননা পেলেন নারীসহ পাঁচ বাংলাদেশি

বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করতে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। একজন নারীসহ পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। ২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটায় দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ইতালি থেকে বাংলাদেশে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী হিসেবে তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম এ পুরস্কার তাঁদের হাতে তুলে দেন। দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন সেবা এবং কার্যক্রমবিষয়ক আলোচনা, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধা ও রেজিস্ট্রেশন–প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সরকারের উদ্যোগগুলো নিয়ে আলোচনা সভা এবং রেমিট্যান্স পুরস্কার বিতরণ। রেমিট্যান্স পুরস্কার অর্জনকারী ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং এ স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে ‘প্রবাসীবান্ধব সরকার’ উল্লেখ করে প্রবাসীদের জন্য দূতাবাসের সেবার মান আরও বৃদ্ধিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইতালি প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পাসপোর্ট–সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এবং অন্যান্য সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালের ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ব্যক্তি ক্যাটাগরি (পুরুষ) উদ্দিন জিয়া, মো. মাহফুজুল হক, মো. ওমর ফারুক এবং ব্যক্তি ক্যাটাগরি (নারী) মেহেনাস তাব্বাসুম। প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে কাফ পিসি পয়েন্টের স্বত্বাধিকার নিবাশ চক্রবর্তী।

বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম ‘রেমিট্যান্স পুরস্কার’ চালু করে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে (১৮ ডিসেম্বর) অনিবার্যকারণবশত অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সপরিবার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়। পরে বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও প্রবাসীদের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়।