সেই মেয়েটি
জাহান সৈয়দ, ওকভিল, অন্টারিও, কানাডা
যদি কোনো দিন ক্ষণিকের জন্যে ও হতো চেনা–শোনা,
যদি ঘুম ভেঙে দেখতাম আমি সে আমার স্বপ্ন ছিল না।
সে ছিল আমার হৃদয়ের গহিনে লালিত এক টুকরো উষ্ণ আশা,
ছিল উজাড় করে দেয়া আমার সবটুকু ভালোবাসা।
আমি জানি না তো নাম, আমি জানিনা তার ঠিকানাটি,
জাগ্রত স্বপ্নের দুয়ারে মোর আছে যে দাঁড়িয়ে মেয়েটি।
থাকে সে দূরে কোথাও হয়তোবা কোনো নাম না জানা গাঁয়ে,
এই মানসপটে ছবিটি তার আঁকা আছে রংতুলি দিয়ে।
হাসিতে মুক্তো ঝরে যার ফুলের মতো যার চেহারা,
স্নিগ্ধ সুষমায় ভরা দেহবল্লরী গড়ন ছিল তার দোহারা।
নিতম্ব ছাড়িয়ে দুলছিল দীঘল কালো চুলের বেণী,
এলো মেলো চূর্ণকুন্তল ছুঁয়ে যাচ্ছিল ঐ কোমল মুখখানি।
বুকের ওপর অনাদরে পড়েছিল নীলাম্বরী শাড়ির আঁচল,
তাই দেখে যে আর্শি হয়ে থেমে গেল ঐ কলকল নদীর জল।
পদ্মলোচন আঁখি দুটি সাগরের নীলের চেয়েও ছিল গভীর,
কপালের ঐ কাঁচপোকা টিপ করেছিল আমায় অধীর।
দেখেছিলাম মেয়েটিরে আমি কলোচ্ছোলিত রূপসা নদীর তীরে,
ইচ্ছে ছিল কাছে গিয়ে বলি ঐ হাত দুটি ধরে।
পড়েছি প্রেমে তোমার আমি ওগো সুনয়না,
বিব্রতকর মুগ্ধ অস্থিরতায় সে কথা আর বলা হলো না।
নিয়তি যদি কখনো আবার ফিরিয়ে নেয় আমায় সেখানে,
হৃদয়ের গহিনে উঠবে কি ঝড় বিমুগ্ধ আবেগের আলোড়নে?
হৃৎপিণ্ডের উষ্ণ প্রবাহে লাজে নত হবে বুঝি তার ও নয়ন দুটি,
কল্পনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে স্বপনচারিণী সুহাসিনী সেই মেয়েটি।