বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্বেগজনক, প্রতিরোধে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ

ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। একাকিত্ব, বর্ণবৈষম্য, অর্থনৈতিক চাপ, অভিভাবকত্বের সমস্যা, শিক্ষাগত চাপ, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের মতো বিভিন্ন কারণে তরুণেরা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও সমাধানের পথ খুঁজতে বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বিআইইএস) একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।

১৭ জানুয়ারি সংগঠনের ডেনফোর্থের অফিসে আয়োজিত ‘বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিআইইএসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ, বিআইইএসের জেনারেল সেক্রেটারি মাহতাব শাওন, বাংলাদেশি চিকিৎসক হুমায়রা তাহিতি, ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ, তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার, উন্নয়নকর্মী রীনা সেনগুপ্তা ও বিআইইএসের পরিচালক গোলাম মোস্তফা।

বিআইইএসের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন তাঁর মূল বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো লুকিয়ে রাখা, অভিভাবকত্বের অভাব, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ এবং সচেতনতার অভাব তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মূল কারণ। তিনি কমিউনিটিভিত্তিক মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম চালু, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কালচারালি উপযোগী সেবা প্রদান করার সুপারিশ করেন।

সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর শিক্ষার চাপ অনেক তরুণকে হতাশাগ্রস্ত করছে। তিনি অভিভাবকদের প্রতি সন্তানদের সমস্যা গভীরভাবে বোঝার ও তাঁদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন আহমেদ মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় পলিসি লেবেলে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সোশ্যাল ওয়ার্কার নেসার আহমেদ উল্লেখ করেন, কমিউনিটির মধ্যে এখনো মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি তরুণদের জন্য কার্যকর কাউন্সেলিং সেবা ও কমিউনিটি রিসোর্স ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তরুণদের প্রতিনিধি ফাতেমা সরকার বলেন, ‘অভিভাবকেরা আমাদের বোঝেন না, ভয় দেখান। তাঁদের উচিত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া এবং মন খুলে কথা বলার পরিবেশ তৈরি করা।’

সবশেষে বক্তারা বাংলাদেশি কানাডিয়ান তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি