ইসলামাবাদে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

৭ মার্চ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেনছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে দূতালয় প্রাঙ্গণে হাইকমিশনের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (প্রেস) মো. তৈয়ব আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। এই পর্বে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

আলোচনা সভায় হাইকমিশনার শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী আহ্বানে জেগে উঠেছিল সমগ্র বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিটের অলিখিত ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সংগ্রামী জাতিতে পরিণত করেন। ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে। জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্মারক।

হাইকমিশনার বলেন, জাতির জনক যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার যে ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সবাইকে যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।