নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

নৈহাটির নাট্য সমন্বয়ের উদ্যোগে রোববার থেকে শুরু হলে ঐকতান মঞ্চে ৯ দিনের নাট্যোৎসব। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক, নাট্যব্যক্তিত্ব, রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বীজপুর বিধানসভার বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, নৈহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস সরকার, সুনীত ভট্টাচার্য প্রমুখ। নাট্যোৎসবের শুরু হলো নৈহাটি ব্রাত্যজনের ‘দাদার কীর্তি’ নাটক প্রদর্শনীর মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কয়েকজন নাট্যব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় । ৩১ জুলাই সোমবার শেষ হবে এই নাট্যোৎসব।

ধূমকেতু পত্রিকায় ‘আনন্দময়ীর আগমন’ কবিতাটি প্রকাশের জন্য হাজতবাস হয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯২৩ সাল পরাধীন ভারত কাজী নজরুল ইসলামকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে হুগলি জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে নামানো হয়েছিল নৈহাটি স্টেশনে। সেইদিন কবির গায়ে ছিল কয়েদির পোশাক, কোমরে ছিল দড়ি বাঁধা। সর্বপ্রথম ভারতে পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দেখতে সেইদিন নৈহাটি স্টেশনে অনেক মানুষ এসেছিলেন এবং চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলেন।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ হচ্ছে নৈহাটি। সাহিত্য-সংস্কৃতির-পীঠস্থান হিসেবে নৈহাটি রীতিমতো রত্নগর্ভা। শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে   এই শহরের অবদান অনস্বীকার্য। নৈহাটিতে সাহিত্য সংস্কৃতিরচর্চার কেন্দ্র হিসেবে কাজ চলছে অবিরাম। গান-বাজনা, নাটক, সিনেমা নিয়ে আগ্রহ আছে এখনকার মানুষের। ক্যামেরা-আলো-শব্দ-রঙ আর সুরে এখনও প্রাণবন্ত নৈহাটি পৌরসভার পরিমণ্ডল।