কানাডার ম্যানিটোবায় বন্ধন কো-অপারেটিভের সামার পিকনিক অনুষ্ঠিত
কানাডার শীতপ্রধান আবহাওয়ায় গ্রীষ্মকাল অনেকটাই স্বস্তির ও আনন্দের সময়। বছরের মাত্র দুই-তিন মাস প্রকৃতি থাকে রঙিন ও প্রাণবন্ত। তাই এই সময়টুকু কানাডাবাসী নানা উৎসব, ভ্রমণ ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যাপন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই-আগস্টে বন্ধ থাকায় পরিবারগুলো একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পায়। শহরের নানা পার্ক, সমুদ্রসৈকত ও ক্যাম্পগ্রাউন্ডে ভিড় জমে বেড়াতে আসা মানুষদের। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে নেই এই আনন্দে অংশ নিতে।
ঠিক তেমনই এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বন্ধন মার্কেটিং কো-অপারেটিভ লিমিটেড আয়োজিত বার্ষিক সামার পিকনিক–২০২৫। গতকাল শনিবার ম্যানিটোবা প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বার্ডস হিল প্রভিনশিয়াল পার্কে দিনব্যাপী এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্ধন কো-অপারেটিভের সদস্য ছাড়াও উইনিপেগসহ আশেপাশের এলাকা থেকে বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এই মিলনমেলায়। গ্রীষ্মের উজ্জ্বল রোদ আর মনোরম আবহাওয়ায় প্রাকৃতিক ছায়াঘেরা পরিবেশে সবার মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস আর আনন্দের আমেজ।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
সকাল থেকেই অতিথিরা আসতে শুরু করেন। শুরু হয় নানা খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক আয়োজন—শিশুদের জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা, চামচে মার্বেল দৌড়, ব্যাঙ লাফ, নারীদের জন্য মিউজিক্যাল চোখ বেঁধে হাঁড়ি ভাঙা, পুরুষদের জন্য বল নিক্ষেপ। অংশগ্রহণকারীরা খেলার সময় যেন ফিরে যান শৈশবের বাংলাদেশি গ্রাম্য পিকনিকের সেই পুরোনো দিনে।
দুপুরের খাবারে পরিবেশন করা হয় দেশীয় স্বাদের ভরপুর আয়োজন—খাওয়া শেষে ছিল পুরস্কার বিতরণী ও আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অনেকেই উপহার জিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রাশেদা রাব্বানী, রহিদুল মন্ডল, হারুনুর রশিদ, মাহফুজুর রহমান, শাহীন মাতুব্বর, মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান, গাজী সিদ্দিকুর রহমান, আফরুজা ইসলাম, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, অতীশ কুমার নিয়োগী, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বন্ধন কো-অপারেটিভের এ আয়োজন শুধু বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না—এটা ছিল বন্ধন, ভালোবাসা, সহযোগিতা ও সংস্কৃতি বিনিময়ের এক অপূর্ব সুযোগ। প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশি কমিউনিটির এই ঐক্য ও সাংস্কৃতিক চেতনা প্রমাণ করে যে ‘দেশ ছেড়েও শিকড়কে ভুলে যাওয়া যায় না।’
লেখক: কানাডাপ্রবাসী, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর