অস্ট্রিয়ায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদ্যাপন
বর্ণিল উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদ্যাপন করেছে অস্ট্রিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। গত রোববার দূতাবাস প্রাঙ্গণে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব।
দূতাবাসের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা, পেশাজীবী, ছাত্র ও সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান শুভেচ্ছা বক্তব্য বলেন, বাংলা বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এ দেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদ্যাপন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব। সাংস্কৃতিক উৎসবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রবাসীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা-পুলির পসরা সাজিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে দূতাবাসের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বর্ষবরণের অন্যতম অনুষঙ্গ ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন পদের বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।
পাজামা-পাঞ্জাবি, লাল-সাদা বাসন্তি রঙের শাড়িতে এ দিন ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন হয়ে উঠে উৎসবমুখর ও রঙিন। দূতাবাস প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিরূপ। বাংলা বর্ষবরণের এই উৎসব ইউরোপের বুকে যেন আনন্দমুখর এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ দিনটি কাটান সম্পূর্ণ দেশীয় আমেজে।
লেখক: রাকিব হাসান রাফি, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, স্লোভেনিয়া।