বদলে যাচ্ছে সৌদি আরব: মরুভূমির বুকে নতুন সিলিকন ভ্যালি
১২ বছর আগে সৌদি আরবের অন্যতম বৃহত্তম শহর জেদ্দায় চাকরির অধ্যায় শুরু করি। তখন উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপ নিয়ে খুব কমই কোনো সম্মেলন বা প্রদর্শনী দেখা যেত। শহরের যুবক-যুবতীরা তখন বেশির ভাগ সময় কাটাতেন খাবারের দোকানে, অনলাইনে গেম খেলে বা মরুভূমিতে ড্রাইভ করে। কফিশপগুলো ছিল শুধু কফি পান করার বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জায়গা।
কিন্তু সেই দৃশ্যপট এখন বদলে যাচ্ছে। সৌদি আরবে তরুণদের একটি নতুন দল গড়ে উঠছে, যাঁরা সংগীত, শিল্প, সাহিত্য ও ফ্যাশন ভালোবাসেন। নিজস্ব স্টার্টআপ তৈরির স্বপ্ন দেখেন। এ তরুণদের মধ্যে অনেকেই নারী। তাঁরা বুদ্ধিমান ও উদ্যোগী। এ মেয়েগুলো কোনো উদ্যোগে নেতৃত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছপা হয় না। বছর দুই আগে একটি স্থানীয় স্টার্টআপ প্রদর্শনীর সময় দেখতে পেলাম অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই মেয়ে। সৌদির এই পরিবর্তনগুলো খুব চোখে পড়ার মতো। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ছাড়াও পরিবর্তন চোখে পড়বে সামাজিক ক্ষেত্রে। কিছুদিন আগেও যে দেশে মেয়েরা রাস্তায় একা ইভিনিং ওয়াকে যেতে সংকোচ বোধ করতেন, সেই দেশে এখন মেয়েরা গাড়ি চালাচ্ছেন, কফিশপে কফি বানাচ্ছেন, রেস্টুরেন্টে কাজ করছেন, নিজেদের কো-ওয়ার্কিং স্পেস প্রতিষ্ঠা করছে। দেশের কর্মজীবী জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই এখন নারী।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের স্রোত ছড়িয়ে পড়েছে সৌদি আরবেও। এখানকার অনেক স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা কেন্দ্র বা এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সেন্টার, অ্যাকসিলারেটর ল্যাব, বিজনেস ক্লাব ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরিতে খুবই তৎপর। সৌদির তরুণ প্রজন্ম কেবল নিষ্ক্রিয় বসে থাকতে নারাজ। তাঁরা সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তার মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করতে এবং নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যেতে চান।
জেনে অবাক হবেন, এ মুহূর্তে সৌদি আরবে কারও একটি উদ্ভাবনী আইডিয়া থাকলে তিনি খুব সহজেই একজন উদ্যোক্তা হতে পারেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সরকারি সহযোগিতা। সৌদি সরকার নিজ দেশের স্টার্টআপ দৃশ্যে সবচেয়ে সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের একজন। উদ্যোক্তাদের সহায়তা থেকে শুরু করে উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করা এবং প্রযুক্তিগত প্রতিভা আকর্ষণ করা—সব ক্ষেত্রেই সৌদি সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্বব্যাপী যখন অনেক অংশে স্টার্টআপ অর্থায়ন কমে যাচ্ছে, তখন সৌদি আরব তার ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে অর্থনীতি ডাইভারসিফিকেশন এবং তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য মেনা অঞ্চলে সর্বাধিক অর্থায়ন নিশ্চিত করেছে। ২০২৩ সালে, এর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বাজার ৩৩ শতাংশ (ইয়ার টু ইয়ার) YoY বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা Magnitt-এর তথ্য অনুযায়ী মেনা অঞ্চলে সর্বাধিক অর্থায়নকৃত দেশ। সরকারি এবং আধা সরকারি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এই পুঁজির প্রাপ্যতা, প্রবৃদ্ধির জন্য একটি বড় সহায়।
সৌদি বাজারও অনেক বড়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে, সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের ১৮তম বৃহত্তম অর্থনীতি, যা স্টার্টআপ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। সরকারি অফিসগুলোর ডিজিটাইজেশনও হচ্ছে খুব দ্রুত। দরকারি কাজ সেরে নিতে প্রায়ই সরকারি অফিসে যেতে হয় না। যেকোনো ব্যবসা শুরু করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। শতভাগ বিদেশি মালিকানায় সৌদি আরবে এখন ব্যবসা নিবন্ধন করা যায়, যা কয়েক বছর আগেও ছিল কল্পনাতীত।
জেদ্দার উদ্যোক্তা কেন্দ্র
জেদ্দার অদূরে ৯ হাজার একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (KAUST) একটি স্নাতক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যান্ডস্কেপ এবং আর্কিটেকচারাল ডিজাইন যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ১১০টিরও বেশি দেশের মানুষ বিচরণ—কেউ ছাত্র, কেউ শিক্ষক, কেউবা কাজ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হলে তিন ধাপের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। এখানে রয়েছেন অত্যাধুনিক ল্যাব, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং অমিত প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের এবং সৌদি আরবের খাদ্য, স্বাস্থ্য, পানি, শক্তি, পরিবেশ এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রে জরুরি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা।
KAUST-এ আছে একটি প্রাণবন্ত উদ্যোক্তা কেন্দ্র, যারা শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করে। এ কেন্দ্রটি মেন্টরিং, ল্যাব সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি স্টার্টআপ উইকএন্ড, STEM প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করে। গত ১০ বছরে এরা ২৫টিরও বেশি হাই-টেক স্টার্টআপ অনুদান প্রদান করেছে।
জেদ্দার স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ অ্যাকসিলারেটর। কোতুফ আল রিয়াদাহ হচ্ছে প্রথম সৌদি বেসরকারি খাত পরিচালিত, অলাভজনক উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন। ২০১২ সালের শেষের দিকে ভালো এর প্রতিষ্ঠা। অন্য ইনকিউবেটরগুলোর মধ্যে রয়েছে বদির জেদ্দা ইনকিউবেটর, কোতুফের সঙ্গে একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত ব্লসম হচ্ছে প্রথম এবং একমাত্র অ্যাকসিলারেটর, যা সৌদি আরবে মহিলা উদ্যোক্তাদের সাহায্য করে। অ্যাকসিলারেটরটি প্রাথমিক পর্যায়ের স্টার্টআপগুলোকে বুট ক্যাম্প এবং ডেমো ডেতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। দুই সপ্তাহব্যাপী এ প্রোগ্রামে তারা ফান্ডিং, নেটওয়ার্কিং এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের প্রায় ৩৫ জন পরামর্শদাতার সহায়তা পায়।
এসইএ ভেঞ্চারস (সিরিয়াল উদ্যোক্তা অ্যাকসিলারেটর) একটি অ্যাকসিলারেটর, যারা সার্ভিস ডিজাইন/ডিজাইন থিংকিংয়ের ওপর কোর্স পরিচালনা করে। Astrolabs সৌদি আরবে শতভাগ মালিকানাধীন কোম্পানি খুলতে বিদেশিদের সাহায্য করে। স্থানীয় যুবকদের সক্ষমতা তৈরি করতে তারা একাধিক উদ্যোক্তা–সম্পর্কিত কোর্সও অফার করে।
অ্যাকসিলারেটর এবং ইউনিভার্সিটি উদ্যোক্তা কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে জেদ্দায় রয়েছে অনেকগুলো কো-ওয়ার্কিং স্পেস। কো-ওয়ার্কিং স্পেস হলো একটি শেয়ার্ড ওয়ার্ক স্পেস, যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং ছোট ছোট দল একসঙ্গে বসে কাজ করতে পারে। এ ধরনের স্পেস সাধারণত ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা, স্টার্টআপ এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য উপযুক্ত, কারণ এখানে তারা একটি প্রফেশনাল পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পান স্বল্প খরচে। কো-ওয়ার্কিং স্পেসে সাধারণত উচ্চগতির ইন্টারনেট, মিটিং রুম, কফি এবং অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়, যা একটি প্রথাগত অফিসের মতোই।
জেদ্দার কোওয়ার্কিং স্পেসগুলো পরিচালনা করে শহরের একদল আধুনিক মনমানসিকতার ছেলেমেয়েরা। এই স্পেসগুলো তরুণ, শিক্ষিত সৌদিদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।
হামিং ট্রি কমিউনিটি এমন একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেস, যা সৃজনশীলতা এবং মানসিক সুস্থতার ওপর ফোকাস করে। মরিয়ম হামিদাদ্দিনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হামিং ট্রি উৎসাহী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইভেন্টের পাশাপাশি নানা পরামর্শ ও প্রদান করে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে কী তাকে অনুপ্রাণিত করেছে, জানতে চাইলে মরিয়ম বলেন, আমি বিশ্বাস করি, চ্যালেঞ্জ থেকেই জীবনের উদ্দেশ্য আসে। জীবনে আমি অনেকবার এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, যেখানে আমি আমার সত্যিকারের ‘আমিকে’ প্রকাশ করতে পারিনি। শুধু তা–ই নয়, নিজেকে অনেক সময় অবহেলিত ও সবার থেকে বিচ্ছিন্ন অনুভব করেছি। আমার অনেক আবেগ এবং উদ্যম ছিল, কিন্তু আমাকে শোনার, উৎসাহিত করার বা সমর্থন করার মতো কেউ ছিল না। বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকেই সেই স্থানটি তৈরি করতে হবে, যেখানে আমি থাকতে চাই। সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু—নেতৃত্ব, নিরাময়, নিরাপদ স্থান তৈরি করা সাংস্কৃতিক ও কমিউনিটি ইভেন্টগুলোর মাধ্যমে।
জেদ্দায় আমার প্রিয় কো-ওয়ার্কিং স্পেসগুলোর মধ্যে একটি হলো VIBES। ভাইভসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন সিলিকন ভ্যালির ইনকিউবেটরগুলোর মতো। VIBES স্টার্টআপের জন্য ডেস্ক স্পেস অফার করার পাশাপাশি নিয়মিত ইভেন্ট এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করে।
খাম স্পেস হচ্ছে একটি মেকার স্পেস, যেখানে যে কেউ তাদের নতুন কোনো আইডিয়া বা ডিজাইনকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। মেকারস্পেসটি বিভিন্ন ধরনের কাঠের কাজের মেশিন ও সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত, যা আপনাকে আপনার প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবে। সরঞ্জামের তালিকায় রয়েছে টেবিল স মেশিন, ব্যান্ডস মেশিন, রাউটার, জিগস, অরবিটাল স্যান্ডার এবং বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড টুল। খাম স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা নওরা আল-মাল্লুহ একজন বিশের মাঝামাঝি বয়সী সৌদি নারী, যিনি ২০১৭ সালে এই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। খাম স্পেস প্রতিষ্ঠার পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নওরা বলেন, ‘খাম স্পেস হলো একটি সামাজিক মননশীল প্রতিষ্ঠান, যা নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়। আমরা মানুষের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে পরিণত করার চেষ্টা করি। খাম স্পেস হলো বৃদ্ধি, বিকাশ এবং বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। একটি বৈচিত্র্যময় এবং সহায়ক সম্প্রদায় গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য যেখানে লক্ষ্য এবং প্রতিভা বিকাশ লাভ করতে পারে।’
অন্যান্য কো-ওয়ার্কিং স্পেসগুলোর মধ্যে রয়েছে হোয়াইট স্পেস, দ্য স্পট, কায়ান স্পেস। জেদ্দায় কো-ওয়ার্কিং স্পেসের বৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক, যদিও ইস্তাম্বুল বা জাকার্তার তুলনায় সংখ্যাটি এখনো কম। জেদ্দায় ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ, ফোরামের আয়োজনকারী বেশ কয়েকটি মিটআপ গ্রুপ রয়েছে: অথচ ছয়-সাত বছর আগে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি আলোচনা সভা বা ওয়ার্কশপ খুঁজে পাওয়া প্রায় কঠিন ছিল।
জেদ্দায় অবস্থিত কয়েকটি এআই-ভিত্তিক ডেটা অ্যানালিটিকস ফার্মগুলোর মধ্যে লুসিডিয়া অন্যতম। কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর অনেক জোর দিচ্ছে এবং ওদের বেশ কিছু সাফল্যের গল্প রয়েছে। যেমন, FalconViz (এরিয়াল ম্যাপিংয়ের জন্য ড্রোন ব্যবহার করে), কোয়ান্টাম সলিউশন (উচ্চ মানের কোয়ান্টাম ডটস এবং উপকরণ), সাদিম (বন্যা, ট্র্যাফিক, আবহাওয়ার জন্য স্মার্ট সিটি মনিটরিং সমাধান)। সৌদি আরবে বিনোদনশিল্প খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ফ্যাশন ডিজাইন, ডিজিটাল মিডিয়াকেন্দ্রিক স্টার্টআপের একটা প্রসার খুব দ্রুতই দেখা যাবে ।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছে এবং এই ভিশন সৌদি যুবকদের মধ্যে ইতিবাচক স্পন্দন তৈরি করছে। অনেক বিদেশপড়ুয়া সৌদি, বিশেষ করে নারীরা এখন দেশে এসে নিজেদের স্টার্টআপ শুরু করতে আগ্রহী। তাঁরা স্মার্ট, খুব ভালো ইংরেজিতে কথা বলে এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে ইচ্ছুক। সৌদি সরকার তাদের সহায়তার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ বা তহবিলও তৈরি করেছে; তাদের মধ্যে একটি হলো MiSK ফাউন্ডেশন। ২০১১ সালে প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান বিন আবদুলাজিজ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, মিস্ক ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যা সৌদি তরুণ, তরুণীদের সংস্কৃতি, সৃজনশীল শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সাহায্য করে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ গড়া।
সৌদি আরবের রূপান্তর হচ্ছে প্রতিদিন! কে জানে শিগগিরই হয়তো একদিন বিশ্ব মরুভূমির কেন্দ্রস্থলে একটি নতুন সিলিকন ভ্যালির উত্থান দেখতে পাব!
লেখক: নগিব চৌধুরী পিয়াল, বর্তমানে আমেরিকা