কানাডার ম্যানিটোবয় বাংলা লার্নিং সেন্টারের সংস্কৃতি প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

কানাডার ম্যানিটোবা প্রভিন্সে বাংলা লার্নিং সেন্টারের উদ্যোগে মাল্টি কালচারাল প্রোগ্রাম  ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ম্যানিটোবা প্রভিন্সের রাজধানী উইনিপেগে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, নেপাল, আরব আমিরাত, নাইজেরিয়া, সিরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিশুরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। বাংলা লার্নিং সেন্টারের প্রেসিডেন্ট হারুনার রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ফেডারেল এমপি টেরি ডুগুইড, জেনিফার চেন, এমএলএ; মার্ক ওয়াসিলিউ, এমএলএ; ডেভিড প্যানক্রেটজ, এলএমএ; মার্কাস চেম্বার্স, সিটি কাউন্সিলর, ফয়সাল শিবলী, সভাপতি বাংলা লার্নিং সেন্টার।

কানাডা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাপতির ভাষণের পর অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বক্তরা বলেন, পৃথিবীর মধ্যে কানাডা হচ্ছে বহু সংস্কৃতির একটি মডেল। কানাডায় পৃথিবীর অনেকগুলো দেশ থেকে শত শত ভাষাভাষী এবং অনেক ধর্মের লোকজন এসে বসবাস শুরু করেছে এবং তারা গর্বের সঙ্গে কানাডিয়ান হিসেবে দাবি করে তাদের ফেলে আসা সংস্কৃতি এবং ধর্মকে এখানে অনুশীলন করার সুযোগ পায়। কানাডার প্রধান শক্তি হচ্ছে মাল্টিকালচার রিলিজম। অতিথিরা কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের কাজের প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, কানাডার অর্থনীতিতে এখানকার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানরা একটি বড় অবদান রাখছে।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর শুরু হয় বিভিন্ন দেশের কালচারাল প্রোগ্রাম। ছোট ছোট শিশুরা তাদের ফেলে আসা দেশের গান নাচ এবং কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়। প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ অনুষ্ঠানে বাংলা, হিন্দি, আরবি, নেপালি, নাইজেরিয়ানসহ বিভিন্ন ভাষার গান, বিভিন্ন ভাষার গানের সঙ্গে নাচ এবং কবিতা আবৃত্তি করে শোনানো হয়।

ম্যানিটোবার বাংলা লার্নিং সেন্টারে দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলা শিক্ষা দেওয়া হয়। এখানকার স্কুল ডিভিশনে বাংলাকে একটি পাঠ্য বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে বাংলা বিষয়টি নিয়ে পড়তে পারে এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলায় নিয়ে পড়াশোনা করলে চার ক্রেডিট পর্যন্ত পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নাগরিকেরা অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে বাংলা লার্নিং সেন্টার পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে জি এম এ আমিনুর রহমান, মাহমুদুর রহমান ভূঁইয়া, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ওয়াহিদুর রহমান, তানভীর হোসেন শিমুল, তরিকুল হক উপস্থিত ছিলেন।