মাতৃত্বের অর্থনীতি
মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ করে যেদিন আমি প্রথম কাজে ফিরি, সেদিনের স্মৃতি আমার কাছে এখনো স্পষ্ট। পৃথিবী সমান দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, রাগ, হতাশা আর দুঃখ নিয়ে অফিসের পথে রওনা হয়েছিলাম। আমার তিন মাসের শিশুটিকে দেখে রাখার জন্য একজন ন্যানি, যাঁকে আমি আগে কখনো চিনতাম না, তাঁর কাছে নিজের সবচেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে নাজুক তিন মাসের বাচ্চাটাকে গচ্ছিত রেখে, নিজের উপার্জনের সিংহভাগ তাঁর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়ে নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরেছিলাম। আমি যে দেশে থাকি, সে দেশ মাতৃত্বকালীন ছুটি/সুযোগ–সুবিধার তালিকায় উন্নত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নিচের দিকে। কিন্তু আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মাতৃত্বকালীন পলিসির সমালোচনা করা নয়। বরং মোটা দাগে সারা দুনিয়াতেই মাতৃত্বের অর্থনীতির দিকে একবার তাকিয়ে দেখা।
২০২৩ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান ক্লডিয়া গোল্ডিন, যার গবেষণার মূল বিষয়বস্তু মাতৃত্ব। অর্থনীতির মূল ধারায় মাতৃত্ব নিয়ে গবেষণা, আলোচনা আগে আরও হলেও গোল্ডিনের মতো যুগান্তকারী বিশ্লেষণ এর আগে কেউই সামনে আনেনি। মোটাদাগে গোল্ডিন তাঁর মাতৃত্বসংক্রান্ত গবেষণায় ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত্ব (যা আগে মূলধারার অর্থনীতিতে কেউ ব্যবহারের কথা ভাবেনি) ব্যবহার করে নারীর মূল দুটি অর্থনৈতিক পরিণতি দেখিয়েছেন। তার একটিকে তিনি বলেছেন মাতৃত্বের শাস্তি (পেনাল্টি), আরেকটি মজুরির পার্থক্য। গোল্ডিন দেখিয়েছেন সমান যোগ্যতা, সক্ষমতাসম্পন্ন নারী এবং পুরুষের উপার্জনের মধ্যেকার পার্থক্য উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যায় প্রথম সন্তান জন্মের পর। যেহেতু সন্তানের দেখাশোনা এবং যত্নের মূল দায়িত্বভার থাকে মায়ের কাঁধে, সুতরাং নারীকে কোথাও না কোথাও ছাড় দিতেই হয়। সেই ছাড় মূলত গিয়ে পড়ে মায়ের ক্যারিয়ারের ওপর।
গোল্ডিনের একটি গবেষণা রয়েছে, ‘শিশু ও সামষ্টিক অর্থনীতি’ (বেবিস অ্যান্ড ম্যাক্রোইকোনমিকস) শিরোনামে। এ গবেষণার মূল বিষয় নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং সন্তান জন্মহার। ঐতিহাসিক উপাত্ত থেকে দেখা যায় যে তাঁদের সম্পর্ক বিপরীতমুখী। অর্থাৎ নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়লে জন্মদানের হার কমবে। কিন্তু ইন্টারেস্টিং অংশটি এর পরবর্তী অংশ। তিনি দেখিয়েছেন, যেসব দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার একটি অপেক্ষাকৃত ধীর, কিন্তু নিয়ত গতিশীল প্রক্রিয়ায় হয়েছে (ইউএস, ইউকে, ফ্রান্স) সেসব দেশের নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের হার বেশি এবং সেই সঙ্গে সন্তান জন্মদানের হার ও মাঝারি এবং অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল। অন্যদিকে যেসব দেশে প্রবৃদ্ধি আচমকা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে, সেখানে নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের হার বাড়লেও সন্তান জন্মহার কমেছে আচমলা অনেক বেশি (কোরিয়া, জাপান, স্পেন) । এসব দেশে প্রবৃদ্ধি-পূর্ব সময়ে উচ্চ জন্মহার থাকলেও এখন সেসব দেশ পৃথিবীর অন্যতম নিম্ন জন্মহারের দেশ। উল্লেখ্য, এই গবেষণায় অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর ১২টি দেশের তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাঁর আলোচনাটি খুবই মনোযোগের দাবি রাখে। গোল্ডিন দেখিয়েছেন, যেসব সমাজে হুট করে প্রবৃদ্ধি এসেছে (কোরিয়া, জাপান), সেখানকার সমাজ ও পারিবারিক ধরন–ধারণার চট করে বদলায়নি বরং নারীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে অনেক বেশি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নারীর সামনে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সুযোগ এসেছে। কিন্তু নারী সন্তান পালন ও পরিচর্যার জন্য তার পুরুষ সঙ্গীকে পাশে পায়নি। পুরুষ সনাতন সামাজিক ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে নারীকে ঘরে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সন্তান পালনের শ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া কেবল নারীর ঘাড়ে পড়েছে। এদিকে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নারী পারতপক্ষে সন্তান জন্মদানপ্রক্রিয়া থেকেই দূরে থাকতে চাচ্ছে। অন্যদিকে যেখানে প্রবৃদ্ধি ক্রমশ বিকাশমান প্রক্রিয়ায় ঘটেছে, সেখানে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে গৃহের কাজের শ্রমবণ্টন ও এর ধরন–ধারণে পরিবর্তন এসেছে। এ ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।
আমি বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত পুরুষকে ‘আমি কোনো দিন বাচ্চার ডায়াপার ধরে দেখিনি’ বলে গর্ব করতে শুনেছি। কিন্তু আমেরিকাতে যেকোনো উচ্চশিক্ষিত সামাজিক পরিসরে এই কথা অত্যন্ত আপত্তিকর হিসেবে বিবেচিত হবে। একই কথা এক দেশের বন্ধুমহলে গর্বের (যদিও এই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে) এবং অন্য দেশে নিন্দার হতে পারে, যখন সামাজিক ধারণা আর প্রাত্যহিক জীবন যাপন ভিন্ন হয়। আমেরিকাতেও দুই প্রজন্ম আগে বাবারা ডায়াপার ছুঁয়ে না দেখাসংক্রান্ত গর্ব করতে পারত। কিন্তু তা বদলেছে সময়ের সঙ্গে। মূল কথা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারীর ক্ষেত্রে যে উপাদানটি (ভ্যারিয়েবল) সন্তান নিতে আগ্রহী করে তুলতে পারে, তা হলো, একজন সহযোগী মনোভাবাপন্ন সঙ্গী যে সন্তান লালন–পালনে এবং গৃহকাজে সময় দিতে প্রস্তুত। অনেক বাঙালি পুরুষ দেশে সন্তান পালনের কোনো দায়িত্ব না নিলেও ভিন্ন দেশে এসে ঠিকই সেই দায়িত্ব হাসিমুখে পালন করে। কারণ, প্রথমত, তার আশপাশের পরিবেশে সে সেই উদাহরণ দেখতে পায় এবং দ্বিতীয়ত, নিজে না করে অন্যকে দিয়ে করানোর সামর্থ্য তার থাকে না। আবার আস্থাশীল সঙ্গী থাকলেও নারীর জন্য মজুরির পার্থক্য তৈরি হতে পারে নানাভাবে। সাধারণত, মা–বাবা দুজনের মধ্যে অন্তত একজনকে প্রযোজনে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার, বাচ্চার স্কুল বা ডাক্তার চেকআপের দায়িত্ব বা সন্তানের অসুখে বাসায় থাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। এই দায়িত্ব সাধারণত যার, সে রাত ১০টার ই–মেইল রিপ্লাই করা, ছুটির দিনে প্রয়োজনে চট করে একটু অফিসে গিয়ে কাজ সেরে অফিসের সবার ভরসার জায়গা হয়ে উঠার মতো কাজগুলো থেকে পারতপক্ষে দূরে থাকে। বলাই বাহুল্য, এ সিদ্ধান্ত সাধারণত পারস্পরিক সম্মতিতেই ঘটে। অথচ চাকরিজীবী মাত্রই জানেন যে প্রমোশন, বোনাস এ সবের জন্য এসব ছোট ছোট কাজ কতখানি ভূমিকা রাখে!
গোল্ডিনের লেখা/গবেষণায় মায়ের ক্যারিয়ারের ট্রাজেকটরি বা গতিপথ বদলে যাওয়ার কথাটিও নানাভাবে এসেছে। আমি নিজে চাকরি ক্ষেত্রে রিমোট/ফ্লেক্সিবল কর্মঘণ্টার চাকরি বেছে নিয়েছি। যে চাকরিতে এই সুবিধা নেই, সে রকম অফার ফিরিযে দিয়েছি। আমার এখনকার ক্যারিয়ার পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে আমার সন্তান। এটাই আমার বর্তমানের বাস্তবতা, ঠিক যেমন আরও অসংখ্য মায়ের।
মা হওয়া প্রতিটি নারী এ বাস্তবতাগুলোর মধ্য দিয়ে যান, অতীতে গেছেন, সামনে আরও কতদিন যাবেন কেউ জানে না। একমাত্র ভালো বিষয় যে এই নিয়ে এখন কথা বার্তা বেড়েছে, অবধারিত মেনে নেওয়ার ফাঁদ থেকে মায়েরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: dp@prothomalo. com
একজন নতুন মা হিসেবে গত দুই বছরে মাতৃত্বকালীন সুবিধা অসুবিধা, মিঠা ও তিতা অভিজ্ঞতার নানারূপ আমি মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি। প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে ভিন্ন দেশের ভিন্ন অভিজ্ঞতা, বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করার এবং যেহেতু আমার বয়সই আমার পরিচিত সহপাঠী, বান্ধবীরা মা হচ্ছেন, হয়েছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা জানা এবং শোনা সুযোগ আমার হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে আমার যাঁরা পুরুষ সহকর্মী, তাঁদের কাউকে কাউকে আমি দেখেছি সন্তান লালন–পালনের সুবিধার জন্য নিজের ক্যারিয়ারের সঙ্গে আপস করতে। তাঁদের মধ্যে কেউ সিঙ্গেল প্যারেন্ট। সুতরাং কম্প্রোমাইজ ছাড়া তেমন উপায় নেই। কেউ ফ্লেক্সিবল কর্মঘণ্টা বেছে নিয়েছেন। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে যুক্তরাষ্ট্রের কমন প্র্যাকটিস সন্তানকে তিন মাস বয়সে ডে কেয়ারে দেওয়া, যাতে মা তিন মাসের ছুটি শেষে কাজে ফিরতে পারেন। সারা দেশে অসংখ্য ডে কেয়ার রয়েছে, যদিও ভালো ডে কেয়ারের প্রচুর খরচ। গড়পরতা মার্কিন মা–বাবার উপার্জনের সিংহভাগ চাইল্ড কেয়ারে খরচ হয়। যদি হিসাব করে দেখা যায় মায়ের ঘণ্টাপ্রতি আয় চাইল্ড কেয়ারের খরচ থেকে বেশি, সে ক্ষেত্রে মায়ের চাকরি না করে সন্তানের দেখাশোনাই যৌক্তিক ভেবে অনেকে কাজ থেকে বিরতি নিয়ে নেন। এই সাময়িক বিরতি কারও ক্ষেত্রে কাজে দেয়, কারও ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারের যবনিকাপাত ঘটায়। চাইল্ড কেয়ারে থাকা বাচ্চার অসুখ করলে প্রতিষ্ঠান থেকে মা–বাবাকে বলা হয় সন্তানকে বাসায় নিয়ে রাখতে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত। এই সময়টাতে বাবা নাকি মাকে ছুটি নেবেন কিংবা আসল কথা কার পক্ষে ছুটি নেওয়া সম্ভব, সেই হিসাবটা অনেকের পরিবারের একটা বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। আমার এক পুরুষ পিএইচডি সহপাঠীকে এক জরুরি কনফারেন্স থেকে তাড়াহুড়া করে প্লেনের টিকিট কেটে ফিরে যেতে দেখেছি; কারণ, তার বাচ্চা অসুস্থ হযে পড়েছিল। তাঁর স্ত্রীর পক্ষে ছুটি নেওয়া সম্ভব ছিল না। মনে রাখা দরকার, আমি যেসব উদাহরণ দিচ্ছি, তাঁরা সবাই ব্লু–কলার জব করা উচ্চশিক্ষিত মানুষ। কম্প্রোমাইজিং তাঁদের জন্য তুলনামূলক সহজ তা বলাই বাহুল্য। আবার ইউএসেতে পার্ট টাইম ধরনের প্রচুর চাকরি পাওয়া যায় যার কারণে অনেক দম্পতি সময় ভাগাভাগি করে কাজ করতে পারেন। তবে এই পুরো ব্যাপারটি ম্যানেজমেন্ট, তার মধ্য দিয়ে একটা বাচ্চার বেডে উঠা, বিকশিত হওযার সব দিক নিশ্চিত করা সবই ভীষণ কঠিন ব্যাপার।
আমার সহকর্মী এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁদের মা–বাবা কিংবা শ্বশুর–শাশুড়ির সাহায্য পান। মূলত ইমিগ্র্যান্ট ফ্যামিলিতে এই চর্চা বেশি। কান্ট্রি সাইডের আমেরিকানদের মধ্যে এই সুযোগ বেশি থাকে, শহুরে এলাকায় তা হয়ে উঠে না। এবং প্রত্যেকে স্বীকার করেন, যাঁদের এই সুযোগ আছে, তাঁরা ভাগ্যবান। দাদা-দাদি বা নানা-নানির সাহচর্য পাওয়া, নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা না থাকা শিশুর জন্য যেমন একটা বড় ব্লেসিং, দাদা–দাদি বা নানা–নানিও মানসিকভাবে আনন্দে থাকেন শিশুদের সাহচার্যে। আমার এক সহকর্মী যে সেকেন্ড জেনারেশন ভিয়েতনামিজ আমেরিকান, তাঁর বাচ্চাকে তাঁর মা–বাবা এবং শ্বশুর–শাশুড়ি পালা করে দেখাশনা করেন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে মধুর প্রতিযোগিতা হয়, কে বাচ্চাকে বেশি সময় কাছে রাখবে। আমার বাকি কলিগদের সব সময়ই এই সুযোগ না পাওয়া নিয়ে আফসোস করতে দেখেছি। নানা কারণেই এই সুযোগ সবার থাকে না।
বাংলাদেশে ৬ মাস সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটির যে নিয়ম তা অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই মানা হয় না বলে অভিযোগ শোনা যায়। পোশাক খাত তার মধ্যে অন্যতম। গর্ভবর্তী অবস্থায় চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের শিকার হন অনেকেই—এমন অভিযোগ হরহামেসাই আসে। আমি বাংলাদেশে থাকতে বেশ কিছু কাজে সাভার ইপিজেডের আশে পাশের শ্রমিক–অধ্যুষিত এলাকাতে গিয়েছি এবং প্রায় শ খানেক পরিবারের সঙ্গে নানা রকম কথা বার্তা বলার সুযোগ হয়েছে। সেখানে দেখেছি, নারী শ্রমিকেরা খুব ছোট শিশু সন্তানসহ কাজ করতে পারেন না, সে ক্ষেত্রে চাকরি বাদ দিয়ে কিছুদিন বাসায় থাকেন। সন্তান একটু বড় হলে অধিকাংশ মা তাঁর সন্তানকে গ্রামে রেখে আসেন নিজের মা–বাবা কিংবা শ্বশুর–শাশুড়ির কাছে। সন্তান সেখানে বড় হয়। কারণ, চাকরি এবং সন্তানের দেখাশোনা একসঙ্গে চালানোর মতো কোনো উপায় নেই। সারা বছর এই মায়েরা সন্তানকে হাতে গোনা কয়েকবার দেখতে পান। তবে সন্তানের জন্য খরচাপাতি পাঠাতে পেরে তাঁরা মানসিক তৃপ্তি পান। স্বপ্ন দেখেন ছেলেমেয়ে বড় হযে ভালো চাকরি করবে। তাঁরা তখন টাকা জমিয়ে গ্রামে ফিরে যাবেন। আদৌ কতজন টাকা জমাতে পারেন, অধরা স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারেন, তা জানার সুযোগ আমার হয়নি।
*লেখক: আতিয়া ফেরদৌসী, পিএইচডি, সিনিয়র বাজেট অ্যানালিস্ট, সিটি অফ নরফোক গভর্নমেন্ট, ভার্জিনিয়া, আমেরিকা