মিশিগানে ১২ ও ১৩ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সার্ভিস

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সার্ভিস প্রদান করা হবে। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির কনস্যুলার, পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১২ ও ১৩ এপ্রিল তাদের একটি প্রতিনিধিদল মিশিগানে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান করবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ সেবা প্রদান করা হবে। তবে কোথায় এ সেবা প্রদান করা হবে, তা পরে জানানো হবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেসব বিষয়ে সেবা প্রদান করা হবে, সেগুলো হচ্ছে ১. নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) সিল, ২. বায়োমেট্রিক অ্যানরোলম্যান্ট অব ই–পাসপোর্ট অ্যাপলিকেশন, ৩. পাওয়ার অব অ্যাটর্নি/প্রত্যয়ন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আশপাশের শহর ও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আবেদনকারীরাও এসব পরিষেবা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন করতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে, তা ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির ওয়েবসাইটে মিলবে।

গত বছরও মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেন সিটিতে ৮ ও ৯ জুন ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সার্ভিস প্রদান করা হয়। ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল মিশিগানের ওয়ারেন সিটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান করেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়ারেন সিটির ২৩২১১, রায়ান রোডে এই সেবা প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি অভিবাসী সেবা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রায় লাখো বাংলাদেশির বাস মিশিগানে। প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মিশিগানে একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপনের। এ দাবি নিয়ে অতীতে অনেক চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা হয়নি। যার ফলে মানুষকে এই সেবা নিতে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে যেতে হয়, যা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। অনেক সময় বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদেরও নিয়ে যেতে হয়, যা ভোগান্তির। তাই মিশিগান প্রবাসী বাঙালিদের দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপনের। যত দিন পর্যন্ত না অফিস হয়, তত দিন বছরে অন্তত তিন থেকে চারবার যেন ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সার্ভিস প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়। এতে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কম হবে।