বাংলাদেশিদের তুরস্কে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণে সুযোগ-সুবিধা দেবে আঙ্কারা হেলথ ট্যুরিজম ফেডারেশন

তুরস্কের আঙ্কারা হেলথ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আয়সুন কারাবুলুতের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত ২৭ মে আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদল তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, কাউন্সেলর ও দ্বিতীয় সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে।

আয়সুন কারাবুলুত তুরস্কের একজন বিখ্যাত মেডিসিন ও হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রতিষ্ঠিত মালাতয়া তুরগুত ওজাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেক্টর ছিলেন এবং বর্তমানে আঙ্কারা হেলথ ট্যুরিজম ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত। এ ফেডারেশন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তুরস্কে উন্নত চিকিৎসা নিতে আসা মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে।

বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার চিকিৎসাসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণ সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সহায়তা পায়। এরপরও বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। তুরস্কেও অনেক বাংলাদেশি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা নিতে আসে, যেটি টার্কিশ এয়ারলাইনসের সরাসরি ফ্লাইট চালুর পর থেকে বেড়েছে। তবে তুরস্ককে মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে আরও জনপ্রিয় করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বলেন, মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দেশ হিসেবে তুরস্ক সব সময় বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহের জায়গা। চিকিৎসার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জনগণ এ দেশে এলে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের সুযোগও পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসায় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা, ভিসাপ্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং যথাযথ তথ্যপ্রাপ্তি জরুরি বলে রাষ্ট্রদূত জানান। এ সময় হেলথ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশিরা তুরস্কে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট যেন সহজে পান এবং চিকিৎসার খরচে বিশেষ ছাড় পান, সেটি তিনি নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া টার্কিশ এয়ারলাইনস তাঁদের স্পনসর হওয়ায় বিমানভাড়ায়ও বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য ফেডারেশনের প্রধান অফিস পরিদর্শনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানান। এ ছাড়া তুরস্কে চিকিৎসা-সংক্রান্ত সব তথ্য SANKON-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলেও জানান। দুই দেশের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সফর আয়োজন করা যায় বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। বিজ্ঞপ্তি