একটু শ্রদ্ধা, এক সমুদ্র শক্তি
তোমার একটু শ্রদ্ধা মেশানো
প্রেমময় দৃষ্টি—
আমাকে কতখানি শক্তি দেয়,
জানো?
জানো না, তাই তোমার আসেও না।
যেদিন ভুলে কখনো প্রশংসা আসে,
সেদিন আমি আকাশে উড়ি।
আমার কাজগুলো হয় সব নিখুঁত,
ক্লান্তিহীন থাকি সারা দিন,
আর মনের সুখে ভাসি।
আমার ভুলগুলো খোঁজা,
আমাকে ছোট করা,
ত্রুটিগুলো আঙুল দিয়ে
দেখিয়ে দিয়ে
নিজেকে বড় প্রমাণ করা—
এর জন্যই কি তোমার জন্ম!
যেন আমি তোমার অনেক,
অনেক বড় শত্রু,
পরাস্ত করে, তুমি স্বর্গসুখ পাও।
আর আমি?
নীরবে কষ্ট পেতে পেতে ধরেই নিই—
আসলেই আমি অকর্মা,
আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
জানাগুলোও ভুলে যাই,
হারিয়ে ফেলি সব আগ্রহ,
বারবার আরও ভুল করি
মনের অজান্তে।
শুদ্ধ করতে গিয়ে আরও বাজে হয়,
হাত থেকে পড়ে যায় কাজ—
ঝনঝন!
লবণ কম-বেশি করে ফেলি,
একবারের রান্না দুবার করি,
পচাটা লুকিয়ে আমার জন্য রাখি,
ভালোটা তোমায় দিই,
যাতে তোমার ওই ভাষা
শুনতে না হয়।
তবুও তুমি টিটকিরি হাসো—
‘জানি তো, জানি তো এমন হবে…
আমি হলে এক ঘণ্টা লাগত,
হাতেও ধরতাম না,
বসেও থাকতাম না কাজ নিয়ে
চুলোয় চড়িয়ে দিতাম, ব্যস!’
আমি মনে মনে হাসি
আর বলি—
চিচিং ফাঁক—রান্না হয়ে যা
কাজ সব হয়ে যা, হা হা...
মেরুদণ্ড ভাঙতে হাতুড়ি লাগে
না, প্রিয়,
মুখের ভাষা, চোখের দৃষ্টিই যথেষ্ট।