অস্ট্রেলিয়ার গল্প: ৩—বঙ্গজ অস্ট্রেলিয়ানদের গপ্প
ছোট্টকালে পরবাসী মোটামুটি সবার কাছেই শুনতুম, ওনাদের আন্ডা–বাচ্চা সব্বাই ইশকুলে ফার্স্ট–সেকেন্ড হয়।
শুনে ভাবতুম, এ নিশ্চয়ই গুল। সবারই আন্ডা–বাচ্চা ফার্স্ট হয় কী করে? কেউ তো আর সেই সুদূর বিদেশের ইশকুলের সার্টিফিকেট দেখতে চাইবে না, তো একটু গুল মেরে দিলে মুশকিলটা কী?
শুনেছিলুম কোনো এক বঙ্গজ গুলবাজ আমেরিকায় ওনার বন্ধুবান্ধবীদের আহসান মঞ্জিলের ছবি দেখিয়ে বলতেন, এ ওনার দাদাবাড়ি! সেই গুল ছেড়ে বাগিয়ে নিয়েছিলেন এক আমেরিকান সুন্দরী। আহসান মঞ্জিলের ছবি দেখিয়ে বিয়েশাদি করে ভালোই ছিলেন। কিন্তু গোল বাঁধল যখন সেই বিদেশিনী বঙ্গদেশে আসতে চাইলেন। স্বামী দেবতার দাদাবাড়ি বেড়াবেন। এইবার সেরেছে! বঙ্গজ গুলবাজ তো মহা ফাঁপরে। শেষমেশ নয়ছয় বুঝিয়ে উনি আর স্বদেশেই পা মাড়াননি বাকি জীবনে।
ভাবলুম, সবাই বুঝি সেই প্রকারে গুল–গপ্প ছাড়ছে।
পরে অস্ট্রেলিয়া এসে দেখলুম এ গুল নয়, গাঁজাখুরি গপ্পও নয়। ঘটনা আসলেই তা–ই।
সব্বাই–ই মোটামুটি ফার্স্ট–সেকেন্ডই হয়। বঙ্গজ অস্ট্রেলিয়ান অধিকাংশই হয় ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নয়তো উচ্চশিক্ষিত। পড়ালেখা শেষ করে, হয়তো কিছুদিন চাকরিবাকরি করে দেশের পাততাড়ি গুটিয়ে এ দেশে ঘাঁটি গেড়েছে। মোটামুটি সব্বাই লেখাপড়ায় ভালো। বুয়েট, আইইউটি, মেডিক্যাল এই সব পড়েছে। নিজেরা ভালো পড়ালেখা করেছে বলে এদের আন্ডা–বাচ্চাসমেত সবারই পড়ালেখার দিকে মনোযোগ। ছোট্টবেলায় শিখেছিলুম, ‘পড়ালেখা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে।’ আমার অধ্যাপক আব্বাজান বলতেন, ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারলে এ জীবন বৃথা। আমি যাব খরচের খাতায়। সুতরাং ইশকুলে ফার্স্ট–সেকেন্ড না হতে পারলে পিটুনি একখানাও মাটিতে পড়বে না জানতুম। বলাই বাহুল্য, সে পিটুনির সুযোগ দিতুম না।
সব বঙ্গদেশি পিতামাতাই সেই একই বরাবর। সুতরাং পরবাসী আন্ডা–বাচ্চাদের পড়ালেখাই ধর্ম। এরা ফার্স্ট হবে না তো কারা হবে!
তবে চায়নিজ আর ভারতীয়রা তো আরও এক কাঠি সরেস। জন্মের পর থেকেই এরা অঙ্কগুলে খায়। এদের আন্ডারা একেকটা জীবন্ত ক্যালকুলেটর! তাই কন্যার ইশকুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শুধু দেখি চায়নিজ আর ভারতীয় ও বঙ্গজদের ছড়াছড়ি। যেকোনো ইশকুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির মেরিট লিস্টে তাই চিং চাং, ফিং ফাং, চৌধুরী, ঘোষ, আহমেদ, দত্ত, বড়াল এই সব নামের ছড়াছড়ি। যদিও চীনা আর ভারতীয়রা মোট জনসংখ্যার মোটে শতকরা ৫ ভাগ।
মাঝেমধ্যে দু–চারটে ককেশিয়ান আন্ডা–বাচ্চা দেখা যায়। কদাচিৎ।
অতএব ছোট্টবেলায় যাকে গুল ভাবতুম, সে মোটেও গুল নয়।
এর মধ্যে বঙ্গজরা আবার আরেক কাঠি বাড়া। ব্রিটিশ ভারতে বলা হতো, ‘What Bengal thinks today, India thinks tomorrow!’ এরা তাই শিক্ষাদীক্ষায়, অর্থেবিত্তে সব দিকে একটু এগিয়ে বাকিদের চেয়ে। বঙ্গজদের গড় আয় সারা অস্ট্রেলিয়াবাসীর চেয়ে বেশি। মানে গড়পড়তায় বঙ্গজ অস্ট্রেলীয়রা বাকিদের চেয়ে বেশি সচ্ছল, বেশি শিক্ষিত। বঙ্গজরা যেখানে মাসকাবারি গড়ে দুই হাজার ডলার কামাই করে, সেখানে সমগ্র অস্ট্রেলিয়ার গড় আয় সতেরো শ! প্রাপ্তবয়স্ক ৭০ শতাংশ বঙ্গজ গ্র্যাজুয়েট আর সমগ্র অস্ট্রেলিয়ার গড় ২৫ শতাংশ! বঙ্গজরা তাই সমাজের শিক্ষিত উঁচু স্তরের বাসিন্দা।
আদতে অধিকাংশ পশ্চিমা বংশোদ্ভূত আমজনতার পড়ালেখা, শিক্ষাদীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই। জীবনযাত্রা সহজ বলে এদের মধ্যে কম্পিটিশনও নেই। কোনোক্রমে আট ক্লাস পার হতে পারলেই কেল্লাফতে। হাতে–কলমে একখানা প্রশিক্ষণ নিয়েই কামাই–রোজগারে নেমে যাও। এত পড়ালেখা করে পণ্ডিত হয়ে লাভটা কী? কন্যার বন্ধু সাত বছর বয়সেই ঠিক করে নিয়েছে, সে বাপের মতো ছুতার মিস্ত্রি হবে। তাই লেখাপড়ায় মন নেই, বরং বাপের সঙ্গে যায় হাতে–কলমে কাজ শিখতে। মাঝেমধ্যে স্কুল ফাঁকি দিয়ে। আমার আব্বাজানকে যদি বলতুম, ‘আব্বা, আমি বড় হয়ে ছুতার মিস্ত্রি হতে চাই।’ আব্বাজান নির্ঘাত পত্রপাঠ হার্টফেল করতেন।
অধমের ঘরদোর পরিষ্কার করতে এক বৃদ্ধা মহিলা আসতেন। পেশায় ক্লিনার। বঙ্গদেশের ভাষায় মেথর–ঝাড়ুদার ক্যাটাগরি আর কি! আসতেন দামি মার্সিডিজ গাড়িতে করে। নদীর ওপারেই ভদ্রমহিলার বিশাল বাড়ি। এ রকম আরও দুখানা বাড়ি আছে ওনার। দুই ঘণ্টা কাজ করে ১০০ ডলার নিয়ে চলে যেতেন। ক্লাস এইট পাস করে ক্লিনিং ব্যবসায় নেমে গিয়েছিলেন সেই ৫০ বছর আগে। মেঘে মেঘে বেলা অনেক হয়েছে। তাই ব্যবসা গুটিয়ে আধা অবসরে আছেন বুড়ি। নেহাত নেশার বশে নিজে দু–চারটা কল নেন। ক্লিনিংয়ের কাজ না করলে নাকি রাতে ঘুম ভালো হয় না। নিঃসঙ্গ বুড়ি, কাজের ফাঁকে মানুষজনের সঙ্গে দুদণ্ড কথাবার্তাও বলা যায়।
এ রকম মেথর–ঝাড়ুদার হলে সমস্যা কী? কথা সত্য বটে। কিন্তু বঙ্গজ কোনো বাবা–মাকে এ কথা বলে দেখেনই না!
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: dp@prothomalo. com
অথচ বঙ্গদেশে সরকার বাহাদুরের একখানা চাকরি পেতে হয়তো আরও এক লাখ প্রার্থীর সঙ্গে কম্পিটিশন করতে হয়। মনে আছে, নানাবিধ পরীক্ষা–নিরীক্ষা জেরা–দরবার শেষে গ্রামীণ ফোনে চাকরিটা পেয়ে ভেবেছিলুম, আমার বাকি জীবনের কম্ম সারা হয়ে গেল। অথচ এদের চাকরিবাকরির দিকে তেমন মনোযোগই নেই, যেন ছেলের হাতের মোয়া। বরং শুক্কুর আর শনিবারে কোথায় কোন অ্যাডভেঞ্চারে যাবে, সারা হপ্তা ওই প্ল্যান করে। চাকরিবাকরি তথৈবচ। আয়–ইনকাম যা করবে তা–ও মোটামুটি হপ্তা শেষ না হতেই উড়িয়ে দেবে। বিষ্যুদবারে মাইনে পেলে মোটামুটি রোববার নাগাদ পকেট খালি। সব্বাই নয়, তবে মোটের ওপরে অধিকাংশ অস্ট্রেলীয় আমজনতা এমনতর।
অন্যদিকে বঙ্গসন্তান গড়পড়তা ইনকাম বেশি করে কিন্তু কেপ্পনের মতো খরচা করে কম। বঙ্গসন্তানের নজর বাড়ি কেনায়, সঞ্চয়ে। রক্তের গুণ!
বঙ্গজ অস্ট্রেলিয়ানরা তাই গড়পড়তায় ধনী।
এসব শুনলে মনে হবে, এ আসলেই এক সগ্গরাজ্য। কারও কোনো দুঃখ, ব্যথা, চাহিদা, রোগবালাই নেই। পথে পথে সাজানো বাগিচা, চারদিকে দুধ আর মধুর নহর। জান্নাতুল ফেরদৌস! এ যেন এলুম, দেখলুম আর সব পেলুমের দেশ।
আসলে কিন্তু ঘটনা সে রকম নয়।
প্রথমে কিছুদিন, কি মাস, কি বছর বড়ই সংগ্রাম যায়। এই নতুন দেশকে চেনা, জানা, আচার–ব্যবহার শেখা আর মানিয়ে নেওয়া এক বড় সংগ্রাম বটে। সে এক কঠিন সময়। যেন পুলসিরাত। যার ট্যাঁকের জোর যত বেশি, পুলসিরাত পার হওয়া তত সহজ। ট্যাঁকের জোর থাকলে তো ভালো, নয়তো নানাবিধ হাবিজাবি কাজ (মানে odd job) করে চালিয়ে নিতে হয় প্রথম কিছুদিন। তারপর একখানা চাকরি পেয়ে গেলে তো আর কথাই নেই। যেন আকাশের চাঁদ হাতে ধরা দিল!
অবশ্য ছাত্রাবস্থায় এ দেশে এলে আরেকটু বেশি সংগ্রাম। ‘দারা পুত্র পরিবার, তুমি কার কে তোমার’ কায়দা। তখন অবশ্য ঘর–সংসারের ঝুটঝামেলা থাকে না। বয়স কম বলে গতরে জোরও বেশি। ইউনিভার্সিটির ক্লাস আর এদিক–সেদিক কাজ সবই করতে হয়। অনেকে এমনকি ১৮–২০ ঘণ্টাও কাজ করে। গায়ে লাগে না। হয় রেস্তোরাঁয় পাচক, ওয়েটার; নয়তো নাইটগার্ড, ডেলিভারিম্যান। কাজ একটা জুটলেই হলো। ইয়া আলী বলে ঝাঁপিয়ে পড়া।
সংগ্রাম অবশ্য আমাদের বঙ্গজ আদি ভাইয়েরাও করেছিল।
আদি যুগে বঙ্গজাতি এ দেশে এসেছিল উট চরাতে। সেই ১৮৬০ সালে। খুব সম্ভবত আফগান জাতের সঙ্গে মিলেমিশে বঙ্গ–আফগান ভাই ভাই হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে উট চরাত। সংখ্যায় বেশি নয়; কিন্তু বঙ্গদেশিও ছিল ওই রাখালের দলে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সিডনিতে বঙ্গভাষায় লেখা ‘কাসাসুল আম্বিয়া’ খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই পুস্তক আনুমানিক ১৮৬০–এর দশকে ছাপা। তার মানে উট পালকের দলে বাঙাল ছিল, সেটা নিশ্চিত।
অনেকে আবার গবেষণা করে পেয়েছেন যে ক্যাপ্টেন ফিলিপের সেই প্রথম নৌবহর নাকি ভারতবর্ষে নোঙর ফেলেছিল। ভারতবর্ষ মানে বঙ্গের কাছে। পথে পথে কলেরায় আর নানাবিধ রোগে শয়ে শয়ে বন্দী মরে যাওয়ায় কর্মীর সংকটে পড়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফিলিপ। তাই ভারতবর্ষ থেকে কিছু বঙ্গজ কারাবন্দী তুলে নিয়েছিলেন জাহাজে। এই গবেষণার খুব শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনো। তবে ১৭৮৭ সালের কারাবন্দী হলে, সে বঙ্গজ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সে ঘটনা সত্য হলে তো কেল্লাফতে। ব্রিটিশরাজের বসতি গড়ার সময় বঙ্গজ মানে আমরাও ছিলুম যে!
ইতিহাস তো অনেক হলো, আসুন আবার বর্তমানে ফিরে আসি।
বঙ্গ শাস্ত্র কহে ঢেঁকি সগ্গে গেলেও নাকি ধান ভানে। বঙ্গজাতি সুদূর অস্ট্রেলিয়া এসেও সেই ঢেঁকির শাস্ত্রকথা বলবৎ রেখেছে। দুই বাঙালি নাকি একসঙ্গে হলে সেখানে দল হয় তিনটি। অস্ট্রেলিয়ায় সাকল্যে ৫০ হাজার বাঙালি আছে। আর বাঙালির দল আছে না হলেও হাজারটা। নামে–বেনামে স্বনামে নেতা হওয়ার বাসনা বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তাই তো দেখা যায় ‘বৃহত্তর বরিশাল’, ‘ক্ষুদ্রতর নোয়াখালী’, ‘শরীয়তপুর কল্যাণ সমিতি সিডনি শাখা’, ‘চাটগাঁইয়া যুব প্রশাখা’ এই সমস্ত নামে নানাবিধ সংগঠন।
তবে এ মন্দ কিছু নয়। পেটে ভাত পড়লে বঙ্গজাতির ইচ্ছা হয় মুই কী হনু ভাব ধরে নেতা হতে। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আর কি! তাতে কারও কোনো ক্ষতি তো আর হচ্ছে না। তাই অধমকে যে পার্টিই দাওয়াত দেয়, সময় ও সুযোগ পেলে সেই পার্টিতেই দাওয়াত খাই। দুদণ্ড স্বজাতির সান্নিধ্যে সময়টা একদম খারাপ কাটে না।
পরবাসে পরচর্চা আর পরশ্রীকাতরতাও বেশ চলে। বাঙালির রক্তের গুণ, একে তো মেনে নিতেই হবে। আর প্রদর্শনকামিতা! সে তো আছেই। আছে দামি গাড়ি, দামি বাড়ি, উঁচু জাত, নীচু জাত। সবই আছে। এসব ভালো–মন্দ মিলেই না বঙ্গজাতি!
তবে একটা জিনিস দেখলুম, পরবাসী প্রায় সবারই বঙ্গ কালচার আর ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা বিস্তর। এদের সন্তানসন্ততিরাও ইংরেজি আর বঙ্গ দুই ভাষায়ই ভালো কথা কইতে পারে। শহীদ মিনার, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বৈশাখী মেলা এগুলো পালন করে সবাই। দারুণ উৎসাহ নিয়ে। অনেকেই ঘরে বসে বঙ্গভাষায় লেখাও শিখে যায়।
অধুনা বঙ্গভাষায় কথা বলা, লেখা আর পড়া খোদ বঙ্গদেশেই দেখি আদিখ্যেতা। সেখানকার অনেক আন্ডা–বাচ্চা নাকি বেঙ্গলিতে কথাই কইতে পারে না। ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ছে তো! তাই বঙ্গভাষা নাকি বড্ড খটমটে লাগে। এই কুলাঙ্গার বঙ্গবাসীরা ঘরে কথা কয় ইংরেজিতে, গান–সিনেমা চলে ইংরেজিতে নয় হিন্দিতে। এদের নবান্ন, নববর্ষ, বসন্তের খবর নেই। চলে হ্যালোইন, ইস্টার আর ভ্যালেন্টাইনস ডে।
ব্রিটিশরা যাওয়ার পরেও এরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেরাই এক ব্রিটিশ ভারতীয় কলোনি বানিয়ে রেখেছে!
এক আজব ফ্যাশন বটে!
মরি মরি! বলিহারি যাই! বঙ্গজ সন্তান বঙ্গভাষায় কথা কইতে জানে না! কথা কয় ইংরেজি, হিন্দি নয় ফরাসি ভাষায়।
মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিমের শাস্ত্রবাণীখানা বলে শেষ করি—
‘যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি॥
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়।
নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়॥’
নিজ দেশ তেয়াগী এই পরবাসীরা বরং বঙ্গভাষাকে ভালোই ধরে রেখেছে দেখছি! চলবে...
*আগামীকাল পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার গল্প: ৪—গোল্ড কোস্টের বঙ্গ সমাজ