অস্ট্রেলিয়ায় জ্যাকারান্ডাবিলাস

জ্যাকারান্ডার পাতা দেখতে বাংলাদেশি কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাতার মতো এবং ফুলের রং জারুল ফুলের মতো বেগুনি রঙের। অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে এই জ্যাকারান্ডা ফুল দেখা যায়। এই ফুলগাছ বসন্তে বেশ স্বাপ্নিক একটা আমেজ নিয়ে আসে। ‘ফাগুন হাওয়া’ ইনক অস্ট্রেলিয়া ২০১৮ সাল থেকে জ্যাকারান্ডা মিলনমেলা করে মেয়েদের নিয়ে। এ বছর সিডনি শহরের কোগরা এলাকার ফ্রইস রিজার্ভ পার্কে অর্ধশতাধিক নারীর অংশগ্রহণে এ আয়োজন করা হয়। ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ‘জ্যাকারান্ডাবিলাস ২০২২’।

অংশগ্রহণকারীরা জ্যাকারান্ডা ফুলের সঙ্গে মিলিয়ে বেগুনি পোশাকে নিজেদের সাজিয়েছিলেন। বেগুনি রঙের বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে উৎসবস্থল সাজানো হয়। ফুলের রঙের সঙ্গে মিল রেখে বানানো কেক কাটার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জ্যাকারান্ডাবিলাস। ছিল মুখরোচক খাবারের ব্যবস্থা। উৎসবের আয়োজক তিশা তানিয়া বলেন, প্রতিবছর এ উৎসবে অনেক সাড়া পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এখানে জ্যাকারান্ডা উৎসব উদ্‌যাপিত হবে। অনেক পর্যটক আসবেন স্বপ্ন ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে ড্রিম কি রিয়েলিটি, ছবি’স কালেকশন ও অনলাইন পেজ হ্যাপিনেস অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন নাসির উদ্দিন, মাসহুদা জামান ছবি, শুভ সাথী, নাজমুল হক, কিসয়ার আক্তার কাকলী, আফরিন জাহান, পলি ফরহাদ ও আয়েশা তন্বী।

১৫০ বছর আগে জ্যাকারান্ডাগাছ অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াবাসী জ্যাকারান্ডা বৃক্ষ ছাড়া তাঁদের বসন্তের পরিবেশ চিন্তাই করতে পারেন না। বিভিন্ন কৃষ্টিতে, সাহিত্যে, গানবাজনায় এই ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্যের কথা আছে। এমনকি কুসংস্কারেও বিভিন্ন জাতিতে রয়েছে জ্যাকারান্ডা ফুলের কথা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বাংলা নাম হচ্ছে ‘নীলকণ্ঠ’।