নীলপদ্ম

অলংকরণ: আরাফাত করিম

একটা রিয়েলিটি শো দিয়েই গায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল আমার। সে সময়গুলো একদম স্বপ্নের মতো ছিল। কী বাঁধভাঙা ভালোবাসা মানুষের! শ্রোতাদের এসএমএস আসছে আর আমি একের পর এক স্টেজ পার হয়ে অবশেষে ফাইনালে পৌঁছে গেলাম।

অথচ গান নিয়ে আমার তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমি গান শিখেছি, গলা ভালো আর যেকোনো গান তুলতে পারি—এসব আমি জানতাম। কিন্তু গানকে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা ছিল না। কী মনে করেই যেন বন্ধুদের সঙ্গে মিলে এই শোতে নিজের নাম দিয়েছিলাম। অথচ তার আগে আমি ভেবে রেখেছিলাম বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরিতে ঢুকব। এরপর প্রেমিকা শাঁওলীকে বিয়ে করে অন্য সব মধ্যবিত্ত মানুষের মতো এক সুখী জীবন কাটাব।

শাঁওলী আর আমার প্রেমটা ছিল মানুষের চোখ লেগে যাওয়ার মতো নিখুঁত। আমাদের বন্ধুরা বলত, আমাদের দুজনকে পাশাপাশি খুব ভালো মানায়। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, ঠোঁটের ওপর বাঁ দিকে একটা তিল, উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, রেশমের মতো মাথাভর্তি চুলের শাঁওলীকে আমার মনে হতো সবার থেকে আলাদা। সে খুব ভালো গিটার বাজাত। আমাদের আলাপ হয়েছিল গানের স্কুলে। গভীর রাতে ফোন করে তাকে গান শোনাতাম। সে খিলখিল করে হেসে বলত,
-উফ্‌, ঘুমাতে দাও, এত জ্বালাও তুমি।

শুধু একবার আমরা ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম। সে আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। বিভোর হয়ে চুমু খেয়েছিল। বিয়ের পর আমাদের দুজনের বাসার সোফার রং পর্যন্ত ঠিক করা ছিল। শাঁওলীর প্রিয় রং সবুজ। তাই সে বলেছিল, আমাদের বাসায় অলিভ কালারের সোফা থাকবে। কিন্তু সেই রিয়েলিটি শো আমার জীবনের সব পাল্টে দিল। এক অদ্ভুত বাঁকে নিয়ে এল।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমি টপ কন্টেন্ডার নওরীনকে হারিয়ে শো জিতে গেলাম। হঠাৎ দেখি না চাইতেই সেলিব্রেটি হয়ে গিয়েছি! ঘর থেকে বের হলেই আমাকে ঘিরে ভিড় জমে যায়। তারা চিৎকার করে আমার নাম ধরে ডাকে,
ইশতিয়াক, ইশতিয়াক...
আমার কানে তা বড়ই মধুর হয়ে আসে।

কিন্তু আমি যতটা উত্তেজিত, শাঁওলী বা আমার পরিবারে সেই উচ্ছ্বাস ছিল না। মা–বাবা খুশি হলেন, কিন্তু ছেলে সব ছেড়ে গায়ক হয়ে যাবে, তা ঠিক মানতে পারছেন না। তত দিনে আমি একটু লম্বা চুল রেখেছি। মা আমার চুলে তেল দিতে দিতে বলেন,
-পোলা মাইনসের মাথার চুল এত বড়, এ কেমুন কথা? গান গাইয়া বাইদ্য বাজাইয়া কি জীবন চলব?

আমার নতুন পাওয়া খ্যাতিতে কাছের বন্ধুরাও কেউ কেউ দূরে সরে গেল। কেমন যেন এক অম্লমধুর অভিজ্ঞতা! জনতা ভার্সেস আপনজনের এক অদ্ভুত দোটানায় পড়ে গেলাম। খ্যাতি আমাকে দুই হাত তুলে ডাকছে আর কাছের মানুষেরা যেন পেছন থেকে টেনে ধরে রাখছে।

ধীরে ধীরে বিভিন্ন কনসার্টে যেতে থাকলাম। বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রামের অফার আসতে লাগল। নিজের একক অ্যালবামের কাজ করার কথা ভাবছি। এসবের ব্যস্ততায় বিসিএস মাথায় উঠল। যে মেয়েটি দ্বিতীয় হলো সেই নওরীন আমাকে টপকিয়ে এক ভালো পরিচালকের ছবিতে প্লেব্যাকের অফার পেল। আমি নড়েচড়ে বসলাম। এবার আমি এতটুকু বুঝলাম এই হঠাৎ পাওয়া সাফল্যকে ধরে রাখতে হলে আমাকে আরও অনেক সিঁড়ি টপকাতে হবে। আর সেই অংশ শুধু প্রতিভা দিয়ে হয় না।

সে সময় আমি খুব দ্বিধায় পড়ে গেলাম। কী করব? মনে হচ্ছিল, এ জগৎ আমার জন্য নয়। সব ছেড়ে চলে যাব? যেতে পারতাম, কিন্তু যখন মনে হয় আমাকে অন্যায়ভাবে আমার যা প্রাপ্য তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তখন কেমন যেন জিদ চেপে যায়। মনের খুব গভীরে হতাশ বোধ করি। কিন্তু তার কিছুই শাঁওলীর সঙ্গে শেয়ার করতে পারি না। শাঁওলীর নির্লিপ্ততা আমাকে কষ্ট দেয়।

একদিন কনসার্ট শেষে কিছু তরুণী আমাকে ঘিরে ধরেছে, সেলফি তুলছে। একজন নিজের হাতের ওপর আমার অটোগ্রাফ চাইছে। আমি অটোগ্রাফ দিয়েই মাথা তুলে দেখলাম দূরে শাঁওলী দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখ অন্ধকার।

সে আমার পেছনে পেছনে ঢুকল। সে ঢুকতেই আমি কথা ঘুরিয়ে বললাম,
-তুমি এসে ভালো করেছ। আজ আমার একটা খুব শুভদিন হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আশা করছিলাম একটা প্লেব্যাকের অফার পাব। আজ কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো নিশ্চিত জানতে পারব।

শাঁওলী সেই আলোচনাতেই যায়নি। থমথমে গলায় বলল,
-তোমার ফোন দেখতে পারি?
-কেন?
-পারি কি না বলো? তুমি চাইলে আমারটা দেখতে পারো।
-বুঝতে পারছি না হঠাৎ ফোন এল কোথা থেকে?
শাঁওলীর কণ্ঠ থমথমে,
-দেখো, আমি খুব স্পষ্ট করে তোমার সঙ্গে কিছু কথা বলতে এসেছি। তুমি এত ব্যস্ত, দুই দিন পর মনে হয় তোমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগবে আমার। তুমি আমাকে তোমার ফোন দেবে কি না বলো?
হঠাৎ ফোন নিয়ে এ রকম জিদ করছে কেন? আমার ফোনে তেমন কিছু নেই, কিন্তু এ রকম অবিশ্বাসের ব্যাপারটা আমার ভালো লাগছে না।
সেদিন দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলো।
শাঁওলীর শেষ কথা,
-ইশতিয়াক, আমি যাকে চাই, পুরোপুরি চাই। আমি তো পৃথিবীতে অনেক মানুষকে চাইনি। তুমি গান করবে ভালো কথা, কিন্তু তোমার সবকিছুতে আমার এক্সেস থাকতে হবে। অপরিচিত মেয়েরা তোমাকে নিয়ে মুগ্ধতা দেখাবে, সেটা আমি মেনে নেব, যদি তুমি সবকিছুতে আমার কাছে স্বচ্ছ থাকো। না হলে এ সম্পর্ক থাকবে না।

খুব স্পষ্ট স্বচ্ছ দাবি, কিন্তু আমি মানিনি। আমি তাকে অনেক বোঝালাম। সব মানুষের কিছু প্রাইভেসি দরকার। আমি ফোনে আমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি। বন্ধুরা কত কিছু নিয়ে দুষ্টামি করে। তাদের মাথায় এটা কাজ করবে না তুমি তাদের কথা দেখছ। এটা বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। কিছু স্পেস সব মানুষের জরুরি।

-আমি মানি না। আমার যা বোঝার আমি বুঝে ফেলেছি।
কথার মাঝে আমি টেক্সট পেলাম। আমি প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অফার পাচ্ছি।
শাঁওলীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা সেদিন ভেঙে গেল।

প্রতীকী ছবি

২.
খ্যাতির মোহ এক অদ্ভুত নেশা। রাজনীতিতে যেমন ক্ষমতার লোভ, শিল্পীদের থাকে খ্যাতির আকর্ষণ। আমি তখন কিছুটা সেই খ্যাতির ঝলকানিতে অন্ধ। তাই আমার জীবন থেকে শাঁওলীর চলে যাওয়া মেনে নিলাম।

ধীরে ধীরে আমার ব্যক্তিত্বে কিছু পরিবর্তন এল। মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হলে কিছু ছাড় দিতে হবে, নমনীয় হতে হবে। ক্ষমতাবানদের সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে। এমনকি আমারও কিছু স্তাবক জুটে গেল। তারা আমাকে তেল দেয় এই আশায় যে আমি তাদের বড় সুরকারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।

আমার অন্য কিছু পরিবর্তনও এল। সুদর্শন গায়কদের যা হয়। আমাকে নিয়ে পত্রিকার পাতায় গুঞ্জন আসে। সব যে মিথ্যা, তা নয়। জীবনে বান্ধবীরা আসে আর যায়। এসব বান্ধবী নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ‘জাস্ট ফ্রেন্ডস’ বলাও শিখে গেলাম।

আমার এখনকার বান্ধবীর নাম নেলি। সে টিভি নাটকের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। আমার সামনে দিয়েই হেসে হেসে তার সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে গল্প করে, ভক্তদের সঙ্গে চ্যাটও করে। পত্রিকায় তাকে নিয়েও গসিপ বের হয়। পত্রিকার এ রকম খবরের শিরোনাম আসে,
‘গায়ক ইশতিয়াকের চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনেত্রী নেলি রাতের অন্ধকারে চিত্রপরিচালকের সঙ্গে লং ড্রাইভে’
তাকে এসব নিয়ে প্রশ্ন করি না। আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল আমরা এক অন্যের ব্যাপারে উদার হব। অথচ ব্যাপারটা অদ্ভুত যে মাঝেমধ্যে আমার ইচ্ছা হয় বলি, নেলি, সেলফোনটা দাও তো। যতই পোশাক পাল্টাই, আমার ভেতর এক রক্ষণশীল শাঁওলী আছে, যে মানুষটাকে পুরোপুরি দখল করতে চায়। আমি জোর করে উদার হওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক টিকবে কি না আমি জানি না। আমি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখেছি শাঁওলীর ঠিক কোথায় কষ্ট হতো।

খ্যাতি–পরিচিতিও একসময় জীবনে সয়ে যায়। আমি আমার জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার মা মাঝেমধ্যে এখনো বিরক্তি দেখায়। বিয়ের জন্য তাড়া দেন, নাতি–নাতনির মুখ দেখতে চান। কিন্তু নেলির কথা ক্যারিয়ারের এই রমরমা অবস্থায় সে বিয়ে করবে না।

ব্যস্ততায়, প্রতিযোগিতায় যখন হাঁপিয়ে যাই, তখন আমার সংগীতের গুরুর কাছে চলে যাই। এই একজন মানুষ মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,
-স্রষ্টা তোমায় দিয়েছেন, তোমাকে তো তার ব্যবহার করতে হবে। প্রতিভা নদীর মতো। সে তার পথ খুঁজে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।

খুব ভোরে উঠে আমি রেওয়াজ করি। সে রকম এক ভোরে টেক্সট এল ম্যানেজারের কাছ থেকে,
-স্যার, গতকালের রিলিজ করা মিউজিক ভিডিও হিট করেনি। ভিউ খুব কম।

এত পরিশ্রম করে এত যত্ন করে কাজটা করা হলো অথচ কেউ শুনবে না? মনটা খারাপ হয়ে গেল। এ রকম হলে নতুন কাজ পাওয়া যাবে না। আমাদের প্রফেশনে ওপরে উঠতে আর নিচে পড়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না।
আমেরিকাতে কনসার্ট করতে যাওয়ার একটা অফার আছে। এবার মনে হয় যেতে হবে। তবে মনটা খচখচ করে। আমি জানি ওই শহরে শাঁওলী থাকে।

অলংকরণ: আরাফাত করিম

৩.
দেশি গ্রোসারি স্টোরের সামনে শাঁওলী থমকে দাঁড়াল। দোকানের দরজায় বড় করে পোস্টার দেওয়া, এখানে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইশতিয়াক হোসেনের কনসার্টের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ছবিতে ইশতিয়াকের পরনে কালো টি–শার্ট, চুলে ঝুঁটি, মুখে চাপদাড়ি, গলায় লম্বা লম্বা রুপার চেইন। চেনাই যায় না! এই পোস্টার দেখে শাঁওলীর মন খারাপ হয়ে গেল।

ইশতিয়াকের সঙ্গে ব্রেকআপের পর দেশে থাকতে প্রায়ই টিভিতে, রাস্তাঘাটে ইশতিয়াকের গান বাজত। শাঁওলীর গায়ে আগুন লাগত। বিয়ের পর পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছে। স্বামী রবিন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ে সম্পর্কে শাঁওলীর অদ্ভুত দুটি শর্ত ছিল। ছেলেকে দেশের বাইরে থাকতে হবে আর অতি হ্যান্ডসাম হওয়ার দরকার নেই। সেলফ অবসেসড মানুষ বিরক্তিকর। এক বছর আগে টুইন বেবি হয়েছে তার। ছোট দুটি বাচ্চা একা সামলানো খুব কঠিন হয়ে গেছে।

মাঝেমধ্যে শাঁওলী ভাবে, ইশতিয়াক তাকে একটা ভালো শিক্ষা দিয়েছে। সে বুঝেছে, জীবনে খুব করে কাউকে চাইতে নেই। রবিনকে নিয়ে এ জন্য শাঁওলী কখনো ভাবে না। যদি কেউ তার জীবন থেকে চলে যায় দিব্যি চলে যাবে। শাঁওলীর আর কষ্ট হবে না। মেজাজ খারাপ হওয়ায় আজ ইচ্ছেমতো জিনিস তুলল কার্টে। হঠাৎ মনে হলো এত কিছু নিয়ে ঘরে ঢুকলে রবিন মাথায় হাত দেবে। সে অনেক ভেবে মাথা চুলকে দুটো লাউ নামিয়ে রাখল। কী খেয়ালে যেন চারটা লাউ তুলেছিল।

জিনিসপত্রের দাম দেওয়ার সময় দোকানের বাঙালি মালিক বললেন,
-আপা, ইশতিয়াকের কনসার্টের টিকিট নিলেন না। টিকিট কিন্তু সোল্ড আউট হয়ে যাবে। এরপর আর পাবেন না।
শাঁওলী বলল,
-আমি এই গায়ককে চিনি না।
-বলেন কি? ‘নীলপদ্ম’ গানটা শোনেন নাই?
-না, শুনি নাই।

দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় আবার চোখ চলে গেল পোস্টারে। ইশতিয়াক কি বিয়ে করেছে? কোনো এক অভিনেত্রীর সঙ্গে বেজায় প্রেম শুনেছি। এসব সেলিব্রেটির খবর সে রাখে না। কত সুখ এই ছেলের! দেশ থেকে রাজার মতো আসবে, গান করবে, শপিং করবে, তারপর আবার রাজার মতো চলে যাবে। একটা ছোট দীর্ঘশ্বাস বের হলো।
ঠিক তখন মাথার ওপর দিয়ে প্লেন উড়ে যাচ্ছে। সেই প্লেন কিছুক্ষণ পর ল্যান্ড করবে। ইশতিয়াক ভাবছে এই শহরে একটি বাসায় শাঁওলী থাকে। শাঁওলী হয়তো ফুটফুটে বেবিকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যায়। প্রতিদিন চিন্তা করতে হয় না পরের বছর কাজের কী হবে? পায়ের ওপর পা তুলে একটা অলিভ কালারের সোফায় বসে আছে। এ রকম একটা সুখী নির্ঝঞ্ঝাট জীবন হয়তো তার হতে পারত!

শাঁওলী গাড়িতে উঠে কিছুক্ষণ পর রেডিওর একটি এফএম চ্যানেল ছেড়ে দিল। ছুটির দিনে দুপুরবেলা এই চ্যানেলে বাংলা গান হয়। রেডিও ডিজে বলছে,
-জনপ্রিয় শিল্পী ইশতিয়াক হোসেন আমাদের শহরে এসেছেন কনসার্ট করতে। চলুন আমরা তার ‘নীলপদ্ম’ গানটি শুনি।
বহুদিন পর শাঁওলী শুনছে ইশতিয়াকের গান,
‘মনের গহিন সরোবরে তুমি
নীলপদ্মের মতো থাকো
অল্প হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপো
আমি তোমাকে ভুলতে চাই।’
*লেখক: ইশরাত মাহেরীন জয়া, ডালাস, টেক্সাস