আমেরিকার আর্থিক পতন ও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
একটা গল্প দিয়ে শুরু করি। ধরেন আপনার এক বন্ধু আছে, যার নাম আমির। আমির সব সময় একটু নেতাগিরি করে আর সবার সব বিষয়ে নাক গলায়। আমিরের একটা বাজে অভ্যাস আছে, যেটা হলো তার হাত খুব খোলা। সবাইকে কমবেশি আর্থিক সাহায্য করে থাকে। বছরে তার যা আয় হয়, তার চেয়ে খরচ অনেক বেশি। যার ফলে মানুষের কাছে আমিরের অনেক দেনা। প্রতিবছর এই দেনার জন্য আমিরকে শুধু সুদ বাবদ অনেক টাকা দিতে হয়।
এখন আমির যদি আপনাকে বলে বন্ধু, প্রতিবছর আমার আয়ের চেয়ে খরচ অনেক বেশি। তুমি আমাকে এই অতিরিক্ত খরচের টাকাটা ধার দিবা আর আমি তোমাকে সুদ–আসলে তিরিশ বছর পর এই টাকাটা ফেরত দেব। আপনি কি আমিরকে কোনো টাকা ধার দেবেন? অবশ্যই না। কারণ, যার নাকি এত টাকা দেনা, আর এই দেনা শোধ করার ইচ্ছা যার নেই, তাকে আর যা–ই হোক টাকা ধার দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ধরেন আপনার এই বন্ধুর নাম আসলে আমির না, তার নাম হচ্ছে আমেরিকা। হ্যাঁ, এই হচ্ছে আমেরিকার অবস্থা।
২০২৪ সালে আমেরিকার বাজেটের পরিমাণ ছিল ৬.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। আমেরিকার বার্ষিক ট্যাক্স আয়ের পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। সুতরাং বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যেটা মোট বাজেটের ৩৫ শতাংশ। এই ঘাটতির পুরো টাকাটাই আমেরিকাকে ধার করতে হয়েছে ডলার ছাপিয়ে এবং তার বিপরীতে বন্ড ছেড়ে। এভাবে প্রতিবছর ঘাটতির টাকা জমে এখন আমেরিকার মোট দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এই দেনার জন্য শুধু সুদ বাবদ বছরে দিতে হচ্ছে ৭০০ বিলিয়ন ডলার, যেটা বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ।
একটা দেশের বাজেটের ঘাটতি যদি ৩৫ শতাংশ হয় আর এর মধ্যে ১৪ শতাংশ যদি সুদই দিতে হয়, তাহলে বুঝতে পারছেন আমেরিকার আর্থিক ব্যবস্থাপনা কতটা খারাপ আর কী ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে আমেরিকা এগোচ্ছে। আমেরিকার ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার দেনার মধ্যে ২৬.৮ শতাংশ দেনা হয়েছে বিদেশি দেশগুলোর কাছে আর বাকি ৭৩.২ শতাংশ দেনা নিজের দেশের জনগণের আর ব্যাংকিং খাতের কাছে। আপনার বন্ধু আমিরের মতো একদিন যদি আমেরিকাকে আর কেউ টাকা ধার দিতে অর্থাৎ বন্ড কিনতে না চায়, তাহলে আমেরিকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে মারাত্মক ধস নামবে। বার্ষিক বাজেট যদি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হয়, তাহলে স্বাস্থ্য, সেবা, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সামরিক খাতে বড় আকারের কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, যেটা সমাজে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কারণ, হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারাবেন, ক্রয়ক্ষমতা হারাবেন, বেকারত্বের সংখ্যা বাড়বে এবং সর্বোপরি ধনী আর গরিবের আয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়বে।
এ তো গেল আমেরিকান ধারদেনার কথা, আর একটা ব্যাপার সমগ্র পৃথিবীতে নীরবে ঘটে যাচ্ছে, যেটা আমেরিকার অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, সেটা হলো ডি-ডলারাইজেশন এবং ডলার ডি-ভ্যালুয়েশন। হয়তো ভাবছেন এটা আবার কী? এই সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদেরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে চলে যেতে হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষের দিকে, তখন ১৯৪৪ সালে মিত্রবাহিনী ব্রেটেনউড নিউ হেমসাইয়ার আমেরিকাতে মিলিত হয় নতুন এক আর্থিক ব্যবস্থাপনা তৈরি করা জন্য। যে ব্যবস্থাপনাটা দেশগুলো যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বাস্তবায়ন করার জন্য তৈরি করে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবে এখন থেকে আমেরিকান ডলার ব্যবহার করা হবে, যেটা আগে ছিল গোল্ডে। আর আমেরিকা ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য ডলারের বিপরীতে সমপরিমাণ গোল্ড রিজার্ভ রাখবে। আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে গোল্ডের বদলে আমেরিকান ডলার ব্যবহারের এই সিদ্ধান্তটা ইউরোপকে বাধ্য হয়ে নিতে হয়েছিল। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের সব দেশ আর্থিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। তাদের ভৌত অবকাঠামো সম্পূর্ণ পুনর্নির্মাণের জন্য আমেরিকার সাহায্য দরকার ছিল। সুতরাং আমেরিকা যেভাবে চেয়েছে, সেটাতে সবাই সম্মতি দিতে বাধ্য হয়েছিল।
সেই ব্রেটেনউডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পৃথিবীর সব দেশ এখন তাদের রিজার্ভের একটা অংশ আমেরিকান ডলার, বন্ড বা গোল্ডে রাখে। রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে আমেরিকান ডলার হচ্ছে সব দেশের পছন্দের। কারণ পৃথিবীর যেকোনো দেশের মুদ্রার চেয়ে আমেরিকান ডলারের ওপর আস্থা সবার বেশি। আস্থাটা এতটাই বেশি যে বর্তমানে পৃথিবীর সব বৈদেশিক লেনদেনের ৮৯ শতাংশ হয়ে থাকে আমেরিকান ডলারে। এখন হঠাৎ করে যদি পৃথিবীর সব দেশ সিদ্ধান্ত নেয় যে থেকে তারা আর আমেরিকান ডলারে লেনদেন করব না অথবা রিজার্ভ গোল্ডে রাখবে, তাহলে আমেরিকান ডলারের চাহিদাটা কোথায় গিয়ে নামবে ভেবেছেন? এটাকেই বলে ডি-ডলারাইজেশন। এই ডি-ডলারাইজেশন কিন্তু শুরু হয়ে গেছে এবং এটা অনেক হারে বেড়েছে ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২ সাল থেকে, যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। আপনি হয়তো ভাবছেন রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে ডি-ডলারাইজেশনের সম্পর্কটা কোথায়? হ্যাঁ, সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কে বলার আগে ইতিহাসের একটা প্রেক্ষাপট জানা দরকার।
১৯৯০ সালে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়, তখন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সোভিয়েত ইউনিয়ন মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছিল যে তারা তাদের সামরিক জোট ভেঙে দেবে, আর বিনিময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নও তাদের সামরিক জোট ওয়ারশ ভেঙে দেবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের জোট ওয়ারশ ঠিকই ভেঙে দিয়েছিল, কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব তাদের জোট ন্যাটো ভাঙেনি। ভাঙে তো না–ই, বরং জোটকে আরও সম্প্রসারণ করেছে। ১৯৯০ সালের পর আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, রুমানিয়া, লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর নতুন সদস্য হিসেবে জয়েন করেছে। রাশিয়া এ ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বকে কয়েক দশক ধরে বলে আসছে যে এই সম্প্রসারণ তাদের মতৈক্যের পরিপন্থী, এটা তারা করতে পারে না। কারণ, ন্যাটোর নতুন সদস্যদের মধ্যে বেশ কটি দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সীমানা আছে। এসব দেশে ন্যাটো তাদের সামরিক সরঞ্জাম, সৈন্য, আর মিসাইল স্থাপন করছে, যেটা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার এই অভিযোগে কোনো কর্ণপাত করেনি, বরং রাশিয়ার সঙ্গে যেই প্রতিবেশী দেশের সবচেয়ে বড় সীমান্ত, সেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে।
ইউক্রেন রাশিয়ার ভূনিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর একটি দেশ। কারণ, ইউক্রেনের অবস্থান কৃষ্ণসাগরের পারে, যেটা গিয়ে মিশেছে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে। ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়া পণ্য আনা–নেওয়া করে। আর একটা কারণে ইউক্রেন রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে ইউক্রেনে তেমন কোনো পাহাড়–পর্বত নেই। ইউক্রেন খুব সমতলভূমির একটা দেশ। ইউক্রেনের সমতল ভূমির কারণে খুব তাড়াতাড়ি ট্যাংক বা ঘোড়ার মতো বাহন ব্যবহার করে ইউরোপ থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছে যাওয়া যায়। যে কারণে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৮১২ সালে রাশিয়া আক্রমণ করেছিলেন ইউক্রেন দিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করেছিলেন এই ইউক্রেন দিয়েই। অতএব রাশিয়ার জনগণ কিছুতেই ইউক্রেনে কোনো পরাশক্তির উপস্থিতি সহ্য করবে না। সত্যি কথা বলতে, কোন দেশই করবে না। এ কথাটাই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে বারবার বলে আসছে, কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব কিছুতেই কর্ণপাত করেনি। যে কারণে রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে, যখন দেখল ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এবার ডি-ডলারাইজেশনের কথায় আসা যাক, যে কারণে ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২ সাল থেকে ডি-ডলারাইজেশন বেশি হারে শুরু হয়েছে। রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে, তখন পশ্চিমা বিশ্ব অনেকটা ন্যক্কারজনকভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করেছে। পশ্চিমা বিশ্ব প্রথমে রাশিয়াকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম সুইফট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরপর রাশিয়ার ৩০০ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ জব্দ করে নিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের এই রাজনৈতিক কারণে আর নিজেদের সুবিধার্থে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা অনেক দেশের টনক নড়িয়ে দিয়েছে। কারণ ভারত, চায়না, ব্রাজিল, তুরস্ক, ইরানের মতো দেশগুলো ভাবছে ভবিষ্যতে যদি আমাদের সঙ্গে আমেরিকার কোনো বিরোধ বাধে, তাহলে রাশিয়ার মতো আমাদের সব ডলার রিজার্ভ পশ্চিমা বিশ্ব জব্দ করে নিতে পারে। সুতরাং ডলারের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। এ কারণে এই দেশগুলো তাদের রিজার্ভ ডলার থেকে গোল্ডে রূপান্তর করা শুরু করে দিয়েছে। যে কারণে গোল্ডের দাম এখন বিশ্ববাজারে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি। তা ছাড়া বর্তমানে এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ডলারের পরিবর্তে নিজেদের মুদ্রা ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। আবার ভবিষ্যতে যাতে সুইফট ব্যবহার করতে না হয়, এ জন্য নতুন পন্থায় কীভাবে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা যায়, সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে।
১৯৪৪ সালে আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে আমেরিকান ডলার ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটার পরিণতি যে কত সুদূরপ্রসারী, সেটা মনে হয় না সেই সময় কেউ অনুধাবন করতে পেরেছিল। এর পরিণতি আরও ভয়াবহ করে তোলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭১ সালে রিচার্ড নিক্সন ঘোষণা দেন যে আমেরিকা আর ডলারের বিপরীতে গোল্ড রিজার্ভ রাখবে না। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, নিক্সনের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকাকে তার খুশিমতো যখন প্রয়োজন তখন ডলার ছাপানোর সুযোগ করে দেয়। কারণ, ডলারের বিপরীতে গোল্ড রিজার্ভ রাখার তো আর বাধ্যবাধকতা রইল না। অতএব যুদ্ধের জন্য বা বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য যা ডলার দরকার, শুধু ছাপাও আর বন্ড ছাড়ো। এ কারণে ভিয়েতনাম, কোরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইউক্রেন, গাজার মতো ব্যয়বহুল যুদ্ধ আমেরিকা করেছে এবং করে যাচ্ছে। আর আমেরিকার ইচ্ছামতো ডলার ছাপানোর জন্য পৃথিবীতে যে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি হয়, সেটা বিশ্বের সব দেশকে বহন করতে হচ্ছে। বলা যায়, অনেকটা মগের মুল্লুক।
যুগে যুগে সব সাম্রাজ্যেরই একসময় অবসান ঘটেছে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, কোনো সাম্রাজ্যই আর্থিক দেনা নিয়ে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। সব সময় যুদ্ধে লিপ্ত থাকা, অতিরিক্ত খরচ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খরচের ধাক্কায়। আমি মনে করি, আমেরিকার রাজনীতিবিদদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার। আমেরিকার রাজনীতিবিদেরা আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে যে বাজেট করতে হয়, এটাই ভুলে গেছেন। ২০০১ সালে আমেরিকা সর্বশেষ উদ্বৃত্ত বাজেট দেয়, এরপর প্রতিবছর বাজেটে ঘাটতি বেড়েই চলছে। এভাবে বাজেটে ঘাটতি চলতে থাকলে ২০৩৪ সাল নাগাদ শুধু দেনার সুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। সুতরাং এই ক্রমবর্ধমান জাতীয় দেনা আর ডি-ডলারাইজেশনই আমেরিকার আর্থিক পতন ডেকে আনবে এবং এটা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
*লেখক: সাহিদুর রাহমান, মিনেসোটা, আমেরিকা
**দূর পরবাসে গল্প, ভ্রমণকাহিনি, ভিডিও, ছবি, লেখা ও নানা আয়োজনের গল্প পাঠান [email protected] এ