হামবুর্গে অমর একুশে বইমেলা

জার্মানির অন্যতম বন্দরনগরী হামবুর্গে ৩ মার্চে অনুষ্ঠিত হলো অমর একুশে বইমেলা। বইমেলার আয়োজনে ছিল বাংলাদেশি হামবুর্গ কমিউনিটির অঙ্গসংগঠন বাংলার পার্বণ নামক প্রতিষ্ঠান। বইমেলা উপলক্ষে বৃহত্তর হামবুর্গ শহরে বসবাসকারী বাঙালিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল। হামবুর্গ শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ভাইসেনহফে একটি বড় হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এই বর্ণিল বইমেলা।

মেলা প্রাঙ্গণে শুধু বাঙালি নয়, অবাঙালিদেরও দেখা মেলে, যাঁরা উপস্থিত থেকে বাঙালির ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হন ও বাংলাদেশের খাবার আস্বাদনের সুযোগ পান। অনুষ্ঠানে ভিনদেশি অতিথিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হামবুর্গ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের অধ্যাপক কালি শুক। মেলায় বিক্রি হয় সব বাঙালি লেখকের বই। যার মধ্যে অন্যতম ছিল হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস, মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা শিশুতোষ গল্পসমগ্রসহ নানা রকমের শিক্ষামূলক বই, বাংলায় অনুবাদ গল্পসমগ্র, উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা ও ভ্রমণকাহিনি। এ ছাড়া ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের জন্য অনুষ্ঠানে ছিল চিত্রাঙ্কনের ব্যবস্থা।

এই মিলনমেলায় শুধু বই আহরণ নয়, আয়োজনে ছিল বাহারি রকমের দেশীয় খাবার ও চায়ের স্টল। মেলায় আসা অতিথিদের জন্য ব্যবস্থা ছিল মিষ্টি, দই, নানা রকমের পিঠা, চটপটি, ফুচকা, ঝালমুড়ি। ছিল নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার, যেমন শিঙাড়া, বেগুনি, আলুর চপ। ভিনদেশে দেশীয় খাবার তৈরি করেছিল অন্য রকম এক দেশীয় আবহ, যা সচরাচর বিদেশে খুব একটা দেখা যায় না। মিষ্টান্নের মধ্যে ছিল জিলাপি ও বাহারি পদের কালোজাম, চমচমের ব্যবস্থা। পুরো বইমেলার একটি অংশজুড়ে ছিল মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে স্থানীয় বাঙালি শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য, গান ও কবিতা আবৃত্তি হয়।

**দূর পরবাসে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস [email protected]