কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রবাসী চালকদের ইংরেজি শেখাচ্ছে দূতাবাস
বিশ্বকাপের দেশ কাতার বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শীর্ষস্থানীয় শ্রমবাজার। রাজধানী দোহাসহ অন্যান্য শহরে বিভিন্ন পেশায় বাংলাদেশি কর্মীরা কর্মরত। এসবের মধ্যে অন্যতম পেশা গাড়ি চালানো।
কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাসের হিসাবমতে, দেশটির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে কর্মরত বাংলাদেশি চালকদের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। দিন দিন এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। এর বাইরে আরও অনেক প্রবাসী কর্মী মোটরসাইকেলে খাবার সরবরাহের (ফুড ডেলিভারি) সঙ্গে যুক্ত।
আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কাতার-২০২২ উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে যেসব দর্শনার্থী আসছেন, তাঁদের পরিবহনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি চালকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। কাতারে আগত ফুটবলভক্ত বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলা এবং কথার ফাঁকে বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী চালকেদের প্রয়োজনীয় ইংরেজি শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
২৩ অক্টোবর ১৫ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতারের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন লিমুজিন কোম্পানির বাংলাদেশি স্বত্বাধিকারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রতিদিন একটি করে লিমুজিন কোম্পানির ৩০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দূতাবাসের আশা, এভাবে পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিজেদের কোম্পানির অন্য চালকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদেশি দর্শনার্থীদের সেবা প্রদানকালে তাঁদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলা এবং ভালো আচরণ করলে তা বাংলাদেশকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এ ছাড়া সব যাত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার এবং রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক আইন মেনে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে সহায়তা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশি চালকদের সম্পর্কে কাতারি জনগণের মধ্যে ভালো ধারণা তৈরি করা সম্ভব।
এ প্রশিক্ষণের কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন ও প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাতারের বাংলাদেশি শিক্ষক ও অধ্যাপকদের সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমিক কমিউনিটি কাতার।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোর্স কারিকুলাম নিয়ে একটি গাইড বই প্রস্তুত ও প্রকাশ করা হয়েছে। দূতাবাস থেকে প্রথমবারের মতো এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।