বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: বর্তমান এবং আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে কিছু ভাবনা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে অংশ নেওয়া মানুষের একাংশছবি: প্রথম আলো

প্রায় ১৬ বছর আগের ঘটনা। তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সে সময় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সে সময় হায়দার হোসেনের একটি গান ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে সময়কার যুবসমাজ বিশেষত একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে যাঁরা কায়মনোবাক্যে কাজ করে যেতেন, তাঁদের অনেকের কণ্ঠে গানটি প্রায় ধ্বনিত হতো। যে গানটির কথা বলছি, তার মধ্যে একটি লাইন বারবার ঘুরে ফিরে আসত—‘তিরিশ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।’

আমার মনের গহিন কোণে একটি প্রশ্ন সে সময় থেকে বারবার ঘুরপাক খেত। প্রথমত, আমাদের দেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। জাতিসংঘে আমাদের দেশের সদস্যপদ রয়েছে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা এবং এ ভাষায় আমরা স্বাধীনভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। এমনকি এ দেশে যেসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন, তাঁরাও স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ভাষার চর্চা করতে পারেন। নিজস্ব পতাকা রয়েছে। এমনকি এ দেশের নাগরিকেরা নিজস্ব পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতে পারেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত যাঁরা আমাদের দেশের শাসনকাজ পরিচালনা করেছেন, তাঁদের সবাই এ মাটির সন্তান। অনেকে এখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রসঙ্গ এনে আমার এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। কেননা এরশাদের জন্ম হয়েছিল কোচবিহারে।

ওই সময় আমার ভাবনার পরিধি ছিল অত্যন্ত সীমিত। স্বাধীনতার সংজ্ঞা আমার কাছে ছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এ স্থায়ী ভূখণ্ড, জাতিসংঘের সদস্যপদ, স্বতন্ত্র পাসপোর্ট ও নিজস্ব সরকার ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ৯ বা ১০ বছরের বালকের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটা অবান্তর বৈ অন্য কিছু নয়। আমাদের এক শিক্ষক ছিলেন, যার নাম ছিল ইমরান আলী। তিনি নড়াইল, খুলনা, যশোর, ঢাকা, খুলনাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। আমার জানামতে, তিনি একসময় ফরিদপুর জিলা স্কুল এবং পরে খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ক্লাস চলাকালে মাঝেমধ্যে হায়দার হোসেনকে খোঁচা মারতেন। ৩০ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি; এখানে স্বাধীনতা অর্থ কী, সে প্রশ্নটি তিনি বারবার করতেন। তাঁর চিন্তাভাবনা ছিল আমার মতো সরল। বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁর সমর্থনও ছিল। এ দলটি এ উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশকে তিনি স্বাধীনতা হিসেবে দেখতেন। গানের অন্য অংশগুলো নিয়ে ওই সময় আমি কখনো বিশ্লেষণ করিনি।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার অন্য সবার মতো আমার চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ‘স্বাধীনতা’ এ শব্দটির মর্মার্থ যে কেবল নিজস্ব পতাকা, একটি সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ড, স্বতন্ত্র পাসপোর্ট বা নিজস্ব সরকারব্যবস্থার মধ্যে আবদ্ধ নয়, সেটা আজ বুঝতে পারি। স্বাধীনতা শব্দটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আমার ভাবনার বাইরে কয়েক আলোকবর্ষ দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। হায়দার হোসেনের এ গানটিকে তাই আজ যখন কান পেতে শুনি, তখন বুকের ভেতরটা বারবার দুমড়েমুচড়ে ওঠে। আজকে বুঝি গীতিকার কেন বিদগ্ধ সুরে সেদিন বলেছিলেন:

‘আজ নেই বর্গি, নেই ইংরেজ, নেই পাকিস্তানি হানাদার,

আজও তবু কেন আমার মনে শূন্যতা আর হাহাকার?

আজও তবু কি লাখো শহীদের রক্ত যাবে বৃথা?

আজও তবু কি ভুলতে বসেছি স্বাধীনতার ইতিকথা?’

‘খোকা ঘুমালো,

পাড়া জুড়ালো,

বর্গি এলো দেশে,

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে,

খাজনা দেবো কিসে?...

ছেলেভোলানো গানটি শুনলে আজও আমার গা শিহরে ওঠে। নবাব আলীবর্দি খাঁ বাংলাকে বর্গিদের আক্রমণ থেকে বারবার রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। বর্গিদের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভূত বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত যদি হিসাব করি অর্থাৎ প্রায় ৫৩ বছরে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ড, একটি পতাকা, নিজস্ব পাসপোর্ট ও সরকারব্যবস্থা থাকার পরও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ থেকে আমরা কেনো আজ বহু দূরে। নাগপুরের মারাঠাভাষী বর্গিরা আজ আর এ দেশ হানা দেয় না। ইংরেজরাও এ দেশ ছেড়ে চলে গেছে প্রায় ৭৭ বছর আগে। পাঞ্জাব, সিন্ধু প্রদেশ, খাইবার পাখতুনখাওয়া বা বেলুচিস্তানের কেউ আজ আমাদের রাষ্ট্রের প্রধান নন।

১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারত। দুর্ভাগ্যবশত এরশাদের পতন ছাড়া আমরা এ গণ-অভ্যুত্থান থেকে তেমন কোনো কিছু অর্জন করতে পারিনি। ওই সময় সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রধানত তিনটি জোট ছিল। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন পৃথক ওই জোট তখন পরিচিতি পায় ‘তিন জোট’ হিসেবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে তিন জোট একটি রূপরেখা তৈরি করে। পরে সরকারব্যবস্থা কেমন হবে, সেটাই ছিল এ তিন জোটের  রূপরেখার মূলকথা। সেই রূপরেখা সম্পর্কে দেশের নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগ মানুষ খুব একটা জ্ঞাত নয়। কেননা ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত যেসব রাজনৈতিক দল এ দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের কারোরই এ রূপরেখা বাস্তবায়নে কার্যত উদ্যোগ দেখায়নি।

আজকের দিনে বাংলাদেশের যেদিকে তাকানো যায়, শুধু বৈষম্য ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বৈষম্য চোখে পড়ার মতো। দেশের বেশির ভাগ খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান ঢাকায়। এমনিতে আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবার মান খুব একটা আশানুরূপ নন। উচ্চবিত্ত তো বটে, মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত কিংবা থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরের মুখাপেক্ষী। দেশের মধ্যে যতটুকু চিকিৎসাসেবা রয়েছে, তার প্রায় পুরোটা ঢাকাকেন্দ্রিক। এ জন্য দূরবর্তী জেলাগুলোর অনেক মানুষ দেশের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো চিকিৎসাসেবা পাওয়ার আশায় ঢাকায় ছুটে আসেন। ঢাকার ভেতর যেসব এলাকা অবকাঠামোগত দিক থেকে সমানভাবে উন্নত, সেটা বলা যাবে না। রাজধানী শহরে গুলশান ও বনানীর মতো অভিজাত এলাকা যেমন রয়েছে, ঠিক একইভাবে কড়াইলের মতো বস্তি রয়েছে। উচ্চবিত্ত এমনকি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মা তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোয় পাঠান। এসব স্কুল যুক্তরাজ্যের কোর্স কারিকুলাম অনুসরণ করে। এমনকি ন্যাশনাল কারিকুলামে যাঁরা ইংরেজি ভার্সনে লেখাপড়া করেন, তারাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধনী পরিবারের সন্তান। একেবারে সাধারণ পরিবারের সন্তানেরা বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করেন। অন্যদিকে মাদ্রাসাগুলোয় যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন, তাঁদের বেশির ভাগের পরিবার অসচ্ছল। একটা দেশে তিন শ্রেণির মানুষের জন্য তিন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা, যা সত্যি হতাশাজনক।

কোটাকে একটি দেশের উন্নয়নের একটি সূচক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। দেশে যদি সত্যিকার অর্থে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে, তাহলে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানেরও উন্নতি হওয়ার কথা। এ হিসেবে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বিভিন্ন চাকরির আবেদনে কোটার হার কমে আসার কথা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কি আমরা তেমনটি দেখেছি? স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকেও আমরা অর্থনৈতিক আর সামাজিক বৈষম্য দূর করতে পারিনি, বরং আজকের দিনে এ বৈষম্য আরও তীব্র হয়েছে।

গণতন্ত্রের প্রথম ও প্রধান উপাদান হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় ভোটের অধিকার হচ্ছে একজন মানুষের প্রধান রাজনৈতিক অধিকার। অথচ আমরা ভোট দিতে পারি না। মিয়ানমারের মতো একটি দেশ যে দেশে সামরিক বাহিনী সর্বেসর্বা সেখানেও ২০২০ সালে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যাঁরা এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মেট্রোরেলসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির কথা বলছেন, তাঁরা বেমালুম ভুলে গেছেন যে এসব অবকাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা সম্ভব। কিন্তু যে বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে হারিয়েছেন, তাঁরা কি কোনো দিন তাঁদের সন্তানকে ফিরে পাবেন? যাঁরা আহত হয়েছেন, বিশেষত যাঁরা চোখ হারিয়েছেন বা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাঁরা কি আর কোনো দিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন? মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কী হতে পারে?

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ নূর হোসেনের একটি ছবি এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। নূর হোসেনের বুকে ও পিঠে লেখা ছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আজকের বাংলাদেশে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, রিয়া গোপের মতো ছোট্ট শিশুসহ যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে উজ্জীবিত করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকে একেকজন নূর হোসেন। ইউরোপের দেশগুলোয় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেশি। ইউরোপে তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় হচ্ছে আমাদের পরিবার। প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের ভালোবাসার সেতুবন্ধন রচিত হয় তাঁদের পরিবারের মধ্য দিয়ে। আমার সহপাঠীরা বা শিক্ষক–শিক্ষিকারা যখন জানতে পারেন যে বিয়ের তিন দশক পরও আমার বাবা ও মায়ের বন্ধন অটুট রয়েছে তখন তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। আজকে এ আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন বা যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের কথা ভেবে আমার অন্তর কেঁদে উঠছে। এমনকি যে পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁর সন্তানের কথা ভেবেও আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে হয়তো বা এত স্বল্প সময়ে এত অধিকসংখ্যক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর নজির আছে বলে আমার জানা নেই।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় বলতে গেলে—

‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান:

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে

চ’লে যেতে হবে আমাদের।

চ’লে যাবে—তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’

দেশের সাধারণ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, বিবেক ও নীতিনৈতিকতার আলোকে আমাদের সবাইকে উদ্ভাসিত হতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বত্র জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সব নাগরিক যাতে তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এআই ও ন্যানোটেকনোলজির এ যুগে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক সংস্কার একটি প্রধান দাবি হওয়া উচিত। একটি বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকা বা চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকার সন্তান যে ধরনের শিক্ষা–সুবিধা লাভ করে, ভূরুঙ্গামারী থানার একজন সন্তানও যাতে ওই একই রকম শিক্ষা–সুবিধা পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। দেশের প্রতিটি স্তরে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। পুরো রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন। সবকিছুকে ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। জানি, সবকিছু একদিনে অর্জন করা সম্ভব নয়। আমাদের ধীরগতিতে ক্রমাগত পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন বা বিভিন্নভাবে এ আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছেন, তাঁরা আমাদের এ পথের সন্ধান দিয়েছেন। আমাদের সে পথ ধরে সামনে অগ্রসর হতে হবে।

* লেখক: রাকিব হাসান রাফি, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, স্লোভেনিয়া।