জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে তাঁদের জীবন, স্বাস্থ্য, আবাসস্থল, সামাজিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের গতিপথ হুমকির মুখে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে ‘মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন’–সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার প্রাক্কালে প্রদত্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সমন্বয়ে গঠিত কোর গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশ এই নেগোসিয়েশনে নেতৃত্ব দেয়। প্রস্তাবটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জলবায়ু তহবিলের মধ্যকার বিদ্যমান বিরাট ব্যবধান এ প্রস্তাবে প্রতিফলিত হয়েছে। গৃহীত প্রস্তাবটিতে জলবায়ু অর্থায়ন এবং এর বাস্তবায়নের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে সম্ভাব্য কার্যকর পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল প্রাপ্তির সুযোগ সহজীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রস্তাবের সবচেয়ে উল্লখযোগ্য দিক হলো, এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন, বর্ধিত, উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের উপায় খুঁজে বের করার পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে। তদুপরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত দেশসমূহ তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এ প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি এবং সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত প্রতিকার এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এই বার্ষিক প্রস্তাবে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ এবং সব মানুষের জন্য মানবাধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং বাধাগুলো কার্যকরভাবে দূর করার লক্ষ্যে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬৩তম অধিবেশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে এ প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে আজকে সমাপ্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তি