হিন্দু ও সাঁওতালদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সিডনিতে মানববন্ধন
![মানববন্ধনের দৃশ্য](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2016%2F11%2F27%2F0217cb4327bc1b80aaac55f28cd837be-Pic-4-1.jpg?auto=format%2Ccompress)
বাংলাদেশের নাসিরনগরসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু এবং গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মানববন্ধন ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সিডনির মার্টিন প্লেসে এই মানববন্ধন ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটি এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশি হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. সমীর সরকার।
ইংরেজিতে লেখা ব্যানার-পোস্টার হাতে শিশুসহ প্রায় সকল বয়সের মানুষের উপস্থিতি ও প্রতিবাদ ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্মসূচিতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে কিছু সংখ্যক মুসলমানও অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও লেখক রনেশ মৈত্র, প্যারাম্যাটা সিটি কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর প্রবীর মৈত্র, নজরুল ইসলাম, লেখক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত, মুক্তমঞ্চের সম্পাদক আল-নোমান শামীম, রাজনীতিবিদ ও লেখক ড. রতন কুণ্ডু, সামাজিক সংগঠক নির্মল পাল, কলামিস্ট ও কথাসাহিত্যিক ড. শাখাওয়াৎ নয়ন এবং সংস্কৃতিকর্মী অনিলা পারভিন প্রমুখ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদী বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে যে সেক্যুলারিজম ছিল, তা ফিরিয়ে আনতে হবে।
![মানববন্ধনের দৃশ্য](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2016%2F11%2F27%2Fd532b9b67ead63173d4d2df1b2e5302b-Pic-4.jpg?auto=format%2Ccompress)
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে পাঠদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের তা পালন করতে বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সাঁওতাল ও আদিবাসী) যে অত্যাচার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। অপরাধীদের দ্রুত বিচার আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার এবং হেফাজত ইসলাম, জামায়াত ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, এ সব বর্বরতা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে হিন্দু ও সাঁওতালদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ওপরও তারা জোর দেন।