স্পেনে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুনর্মিলনী

ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।
ছবি: সংগৃহীত

স্পেনে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ জুলাই (রোববার) পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেনে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা নাচ, গান এবং কৌতুক পরিবেশন করেন।
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথম বার্সেলোনা সফরের সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বার্সেলোনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সুন্দর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে দেশের মান অক্ষুণ্ন রাখারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ আপনাদের জন্যে স্বল্প সময়ের জন্য কর্মযজ্ঞ করতে এসেছি এবং সময় শেষ হলে চলেও যাব। আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি কিন্তু আপনারা প্রবাসীরা এখানে বাংলাদেশের সত্যিকারের স্থায়ী প্রতিনিধি।’

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা।
ছবি: সংগৃহীত

শহরের স্থানীয় একটি হলরুমে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন স্পেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং সংগঠনের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বার্সেলোনায় নিযুক্ত অনারারি কাউন্সিলর রামন পেদ্রো বেরনাউস, ফাউন্ডেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা নূরে জামাল খোকন, ফাউন্ডেশনের সভাপতি খাদিজা আক্তার মনিকা এবং সাধারণ সম্পাদক নূরে আমীন টোকন।

স্পেনে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের একাংশ।
ছবি: সংগৃহীত

ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদিকা মাসুদা পারভিন মুন্নির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নাসরিফা হক ও ফারহানা আলমের যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মনজুরুল হাসান শুরুতে সংগঠনের কর্মপরিকল্পনার কথা জানান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা নাচ, গান এবং কৌতুক পরিবেশন করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল, ফার্স্ট সেক্রেটারি (লেবার উইং) মো. মোতাসিমুল ইসলামসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে কুইজের মাধ্যমে তিন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।