হাজার-হাজার দশকের উপস্থিতিতে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস রাজ্যের উচিটায় এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড বিউটি কনটেস্টে-২০১৭ শ্রীলংকার আনুশিয়া গোমেজ মিস উচিটা নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের সুন্দরী তরুণী জোহরা বাতুল রিচি ফটোজেনিকে এশিয়ায় সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতিবারের মতো এবারও আমেরিকার ক্যানসাস রাজ্যের উচিটা শহরের ডাউন-টাউনের সেঞ্চুরি কনভেনশন হলে ২৮ অক্টোবর হয়ে গেল ৩৭-তম সুন্দরী প্রতিযোগিতা ও এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল। এতে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার ৯টি দেশ এতে অংশগ্রহণ করে। এশিয়ার নানা দেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরায় লক্ষ্যে এ নান্দনিক আয়োজন। চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকার সুন্দরী প্রতিযোগীরা দীর্ঘ তিন মাস নানা ধরনের ইনডোর-আউটডোর প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সবশেষ হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে পাঁচজন বিচারকের চুলচেরা বিশ্লেষণে শ্রীলংকা মিস উচিটা এবং বাংলাদেশ (ফটোজেনিক) এ নির্বাচিত হয়েছেন। মঞ্চে ২০১৬ সালের মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগীদের প্রশ্ন করেন-বাংলাদেশি সুন্দরী রিচির কাছে প্রশ্ন ছিল-‘তোমার দেশের একজন নামকরা ব্যক্তির কথা বলো যিনি তোমার আদর্শ হতে পারে?’ তিনি লাল-সবুজের দেশ বাংলাদেশে নোবেল লরিয়েট ড. মো. ইউনুসের কথা দুহাত উঁচিয়ে বলে গেলেন।
এ সময় গ্যালারি থেকে মূহুর্মুহু করতালি ভেসে আসতে থাকে।
উচিটা ডাউন-টাউন সেঞ্চুরি কনভেনশন হলের আলোআধাঁরী মঞ্চের পাশে করিডরে সাজানো ছিল এশিয়ার নানা দেশের মুখরোচক খাবার ও পণ্যসামগ্রীর স্টল। এবারে বাঙালিয়ানা বাংলাদেশি খাবারের স্টল চোখে পড়ার মতো ছিল।
ঘড়ির কাঁটায় ছিল ঠিক বিকেল সাড়ে পাঁচটা। হলের গেট খুলে দেওয়া হলো। লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা পৃথিবীর নানা দেশের সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ হলে ঢোকেন। বিশাল হলের প্রবেশ মুখে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এশিয়ার এগারোটি দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিসহ ছোট-ছোট বুথের সামনে সুন্দরী রমণী প্রতিযোগীরা হাসিমুখে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান। হলে ঢুকতে সবাই যেন নিজের দেশকে খুঁজে পেল। আবেগ-আপ্লুত হয়ে আপন দেশের গন্ধে নিজ দেশের সুন্দরী রমণীদের সঙ্গে সেলফি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রতিবছরের মতো এবারও উচিটা এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড বিউটি কনটেস্ট ২০১৭ করেন।
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে, পাগল আমার মন জেগে ওঠে-বাংলাদেশর সুন্দরী রমণী শরমী-রোমানা নেচে-গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে তোলেন। এ ছাড়া চাইনিজ ড্রাগন নৃত্য, জাপানের টেকো সম্প্রদায়ের ড্রাম নৃত্য ভিয়েতনামি ফ্যান নৃত্যসহ এগারোটি দেশের ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে-ফাঁকে সুন্দরী প্রতিযোগীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়। এতে সার্বিক বিবেচনায় শ্রীলংকার সুন্দরীকে বিজয়ী ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়েছে।