সিডনিতে শঙ্খনাদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন
প্রতিবছরের মতো এবারও সিডনির শঙ্খনাদ কমিউনিটি তাদের দুর্গোৎসব উদ্যাপন করেছে। অতিমারির কড়াকড়ির মধ্যে নিয়ম মেনে দুর্গোৎসব উদ্যাপন করা হয়। সিডনির ইঙ্গেলবার্ন সবার্বের গ্রেগ পারসিভাল হলে আয়োজন করা হয়েছিল এবারের উৎসব। আর অতিমারির নিয়মতান্ত্রিকতার জন্য একবারে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও সীমিত রাখা হয়েছিল। উপরন্তু দেবী দর্শন করতে গেলে অভ্যর্থনাতে কোভিডের টিকার ছাড়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
১৪ ও ১৫ অক্টোবর ছিল উৎসবের আয়োজন। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ছিল এ আয়োজন। দুই দিনই অনেক পুণ্যার্থী ভিড় করেন পূজামণ্ডপে। অতিমারির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হওয়ার পর এটাই ছিল বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটির প্রথম উৎসব। তাই মণ্ডপের সামনে সারা দিনই ছিল পুণ্যার্থীদের চোখে পড়ার মতো ভিড়।
আয়োজকেরা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম হয়তো শ পাঁচেক লোকের আগমন হবে। কিন্তু দর্শনার্থী এসেছিলেন দেড় হাজারের ওপরে।’
সিডনিতে বাংলাদেশের পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতিবছর বিভিন্ন সংগঠন পালন করে আসছে এই শারদীয় দুর্গোৎসব। কিন্তু অতিমারির কারণে অনেকেই এবার শেষ মুহূর্তে আয়োজন করা থেকে সরে এসেছিল। তার চেয়ে সবাই ঘরোয়াভাবে এ উৎসব পালনের ব্যাপারে মনোযোগী ছিলেন। উৎসবে শামিল হয়েছিলেন স্থানীয় বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পূজার দুই দিন ইঙ্গেলবার্নের গ্রেগ পারসিভাল হল যেন নেচে উঠেছিল ঢাক আর কাঁসরের শব্দে। ‘আসছে বছর আবার হবে’ এ মর্মবাণীর মাধ্যমে শেষ হয় এবারের উৎসব।