বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

  • প্রচ্ছদ
  • আয়োজন
  • দূর পরবাস
  • সফলতা
  • পাঠক
  • সংস্কৃতি
  • ভ্রমণ
  • ছবি
দূর পরবাস

সিডনিতে অমর একুশ ও বইমেলা

কাউসার খান, সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) থেকে
আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭: ১২

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে উদ্‌যাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশ। ২১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় কর্মদিবস হওয়ায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার দিবসটি পালন করেন সিডনিপ্রবাসী বাঙালিরা। গত বিশ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সিডনির অ্যাশফিল্ড পার্কে দিনব্যাপী অমর একুশ উদ্‌যাপন ও বইমেলার আয়োজন করে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়া। দিবসটি শুরু হয় প্রভাতফেরি ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনের পর মাতৃভাষা স্তম্ভের পাশে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়া পরিবেশন করে শোকগাথা একুশের গান।

তারপর সারা দিনব্যাপী চলে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, সিডনির বিভিন্ন সংগঠনের শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা, বাংলাদেশের আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা, লেখক-সাহিত্যিকদের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, রক্তদান কর্মসূচিসহ আরও নানা আয়োজন।
সম্প্রতি বাঙালিদের গৌরবময় এ দিবসটি অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয়ভাবে পালনের বিল পাস হয়েছে দেশটির ফেডারেল সংসদে। তাই এ বছর এই দিবস পালনে সিডনির বাঙালিদের মধ্যে ছিল এক নতুন উচ্ছ্বাস। সিডনির অনেকগুলো বাংলাদেশি সংগঠন প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করে। প্রভাতফেরির সময় অ্যাশফিল্ড পার্কের আকাশে-বাতাসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি …’ গানের যথার্থ অনুভূতি ভেসে বেড়ায়। সেই সঙ্গে সিডনিপ্রবাসী বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় অ্যাশফিল্ড পার্ক।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বইমেলায় বিভিন্ন লেখকের বই নিয়ে স্টল বসে। বাংলাদেশের বরেণ্য লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী লেখকদের বইও শোভা পায় স্টলে স্টলে। নতুন নতুন বইয়ের প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল এবারের মেলায় আগতদের। সেই সঙ্গে প্রিয় লেখকদের বইও কিনেছেন অনেকেই। এ ছাড়া বইমেলায় বেশ কয়েকটি বাঙালিয়ানা খাবারের দোকানও ছিল।
অন্যদিকে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত রনেশ মৈত্রকে এ বছর একুশে পদক পাওয়ায় বিশেষ সম্মাননা জানান মেলা কর্তৃপক্ষ। তিনি মঞ্চে তাঁর সময়ের একগুচ্ছ ঘটনাবলি বিনিময় করেন উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে। এ ছাড়া, প্রতিবছরের মতো এবারের এই বইমেলা লেখক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার পুরস্কার পান খাইরুল চৌধুরী।

মেলায় অন্যান্যের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টির অন্যতম মুখপাত্র টনি বার্ক উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ফেডারেল সাংসদ জুলি ওয়েন্স, নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সাংসদ জিহাদ ডিবসহ অস্ট্রেলিয়ার মূলধারার আরও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, স্থানীয় বাংলাদেশি কাউন্সিলর, লেখক-সাংবাদিকসহ আরও অনেকে বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থেকে দিবসটি উদ্‌যাপন করেন।
বইমেলা উপলক্ষে ‘মাতৃভাষা’ নামে একটি স্মারক প্রকাশিত হয়।

দূর পরবাস থেকে আরও পড়ুন
  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
  • বইমেলা
  • অস্ট্রেলিয়া দূর পরবাস
মন্তব্য করুন